1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জিম্বাবোয়েতে কলেরা দুর্যোগ

রিয়াজুল ইসলাম১৭ ডিসেম্বর ২০০৮

আন্তর্জাতিক রেড ক্রস জানিয়েছে যে জিম্বাবোয়ের কলেরা পরিস্থিতি এখন ক্রমেই দুর্যোগের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে৷ অপরদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে যে জিম্বাবোয়ের এমন পরিস্থিতি সত্ত্বেও তহবিলের অভাবে তারা সেখানে খাদ্য সহায়তা কমিয়ে দিতে পারে৷

https://p.dw.com/p/GHhB
কলেরায় বিপর্যস্ত জিম্বাবোয়েছবি: AP

একদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা অপরদিকে মহামারি, সত্যিকার অর্থেই জিম্বাবোয়ের বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক৷ আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা রেড ক্রস মঙ্গলবার জানিয়েছে, খুব দ্রুত যদি মানবিক ত্রাণ সাহায্য বিপর্যস্ত মানুষগুলোর কাছে পৌঁছে না দেয়া হয় তাহলে দুর্যোগের সৃষ্টি হবে৷ জাতিসংঘের তথ্য মতে গত আগস্টের পর সেদেশে এখন পর্যন্ত ৯৭৮ জন মারা গেছে৷ তবে সংশ্লিষ্টদের মতে প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ কেননা এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার লোক কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে বলে স্বাস্থ কেন্দ্রগুলোর পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে৷

এদিকে জিম্বাবোয়ের আসন্ন বর্ষা মৌসুমে মহামারি আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশংকা করছে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস৷ সেখানে কর্মরত রেড ক্রসের কর্মকর্তা জন রচে জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএকে বলেন, বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও অনেক খারাপ হবে৷ এমুহূর্তেই যদি কোন মানবিক সাহায্য না আসে তাহলে পরিস্থিতি দুর্যোগের দিকে এগিয়ে যাবে৷

এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে যে জিম্বাবোয়ের বর্তমান পরিস্থিতি সত্ত্বেও তারা সেখানে তাদের খাদ্য সহায়তা কমিয়ে দিতে পারে৷ কেননা খাদ্য সহায়তার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ তহবিল নেই বলে জানিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী বা ডব্লিউএফপি৷ সংস্থার মুখপাত্র এমিলিয়া ক্যাসেলা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, খাদ্য সহায়তা কমিয়ে দেয়া হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এ মাসের শেষ দিকে৷ তিনি বলেন,আমরা আশা করছি দাতারা এ বিষয়ে সাড়া দেবেন৷ নয়তো এর প্রভাব পড়বে মূলত শিশু এবং দুর্গত মানুষগুলোর ওপর৷

উল্লেখ্য, প্রায় চল্লিশ লাখ নাগরিক জাতিসংঘের খাদ্য সহায়তা পেয়ে থাকে৷ এজন্য প্রতিমাসে বিতরণ করা হয় প্রায় ৪৭ হাজার টন খাদ্য৷ ডব্লিউএফপি আশা করছে, আগামী মাস থেকে তারা পঞ্চাশ লাখেরও বেশি লোককে খাদ্য সহায়তা দিতে পারবে৷ তবে ডব্লিউএফপির ১৪ কোটি ডলারের চাহিদার বিপরীতে দাতা দেশগুলো এখন পর্যন্ত মাত্র এক কোটি ৬০ লাখ ডলার দিয়েছে৷