জার্মানির স্কুলে শিশুদের খাবার নিয়ে অভিযোগ
দুপুরের খাবার একে তো ঠান্ডা তার ওপর স্বাদও নেই৷ এমন খাবারই পরিবেশন করা হয় জার্মানির নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের স্কুলগুলোতে৷ এ কারণে খাবারের অনেকটাই শিশুরা ফেলে দেয় ডাস্টবিনে৷ এমনটাই অভিযোগ উঠেছে৷
অস্বাস্থ্যকর খাবার
স্কুলে শিশুদের দুপুরের খাবারের মধ্যে প্রায়ই থাকে নুডলসের সাথে টমেটোর সস৷ দেওয়া হয় আঠালো ভাত, গলে যাওয়া সবজি, চর্বিযুক্ত মাংস৷ তাছাড়া সে খাবার প্রায়ই থাকে ঠান্ডা, যা কিনা প্রতি চারজন শিশুর একজনই খেতে পছন্দ করে না৷ ফলে তার অনেকটাই চলে যায় ডাস্টবিনে৷
দামও বেশি
যদিও স্কুলের খাবারের জন্য কমিউনিটি থেকে প্রতিবছর ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ইউরো দেওয়া হয়, তারপরও শিশুদের মা-বাবাকে প্রতি বাচ্চার একবেলার খাবারের জন্য সাড়ে ৩ ইউরো করে দিতে হয়৷
শেষ পর্যন্ত খাবার যায় ডাস্টবিনে
শিশুদের জন্য রান্না করা শতকরা ২৫ ভাগ খাবারই ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়, অর্থাৎ একজন বাচ্চা বছরে ২৫ কেজি খাবার ফেলে দেয়৷
মজা না লাগার কারণ
স্কুলের খাবারগুলো কিন্তু স্কুলের কিচেনে নয়, রান্না করা হয় বাইরে অন্য কোথাও এবং পরে সেগুলো পৌঁছে দেয়া হয় স্কুলে৷ সে খাবার শিশুদের পরিবেশন করতে করতেই ঠান্ডা হয়ে যায়৷ তাছাড়া এত মানুষের রান্না একসাথে করলে খাবারের গুণগত মানও খুব ভালো থাকে না৷
খাবারের মান
তাছাড়া কোনো খাবার দ্বিতীয়বার গরম করলেও তা তাজা বা ফ্রেশ থাকে না ৷ প্রতিটি মা-বাবাই চান তাঁদের সন্তান দুপুরে যেন ফ্রেশ এবং স্বাস্থ্যকর খাবার পায়৷ স্কুলের খাবারের মান নিয়ে সন্তানদের মা-বাবারা বেশ অসন্তুষ্ট৷
যা করা যেতে পারে
তবে স্কুলে শিশুদের তাজা খাবার দিতে হলে কিছু নিয়ম-কানুন মানতে হবে বলে মনে করেন, নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের স্কুল কতৃপক্ষ উটে স্টাইনকে৷ তিনি জাপানের উদাহরণ দিয়ে বলেন, সেদেশে শিশুদের স্কুলে দুপুরের খাবারে একটিমাত্র পদ বা আইটেম থাকে৷ আর সে কারণে তা সহজে ফ্রেশ এবং গরম রাখা সম্ভব৷ তবে তিনি মনে করেন, জার্মানিতে তা কখনো সম্ভবই নয়৷
বড় ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীরা যা করে
একটু বড় ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকেই স্কুলের খাবার ভালো না লাগায় আশেপাশের দোকান থেকে অন্যকিছু খেয়ে নেয়৷
সহজে সমাধান সম্ভব নয়
খাবার যদি পুরোপুরি রান্না না করে, অর্থাৎ অর্ধেক রান্না বা কিছুটা তৈরি করে স্কুলে আনার পর বাকিটুকু করা হয় তাহলে হয়তো শিশুদের ফ্রেশ খাবার দেওয়া সম্ভব হতে পারে৷ তবে স্কুলে করতে হলে যে চুলা বা মেশিনের প্রয়োজন, তার মূল্য ৮০০০ ইউরোর মতো৷ কাজেই সময় এবং ব্যয়সাপেক্ষ বলে তা কতটা সম্ভব হবে সেই প্রশ্নের উত্তরও খুঁজছেন স্কুল পরিচালক৷