1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এসপিডি দলে পালাবদল

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

১০০ শতাংশ থেকে শূন্য৷ মাত্র এক বছরের মধ্যে এই মাত্রায় সমর্থন হারিয়ে জার্মানির এসপিডি দলের সভাপতি হিসেবে বিদায় নিলেন মার্টিন শুলৎস৷ তাঁর এই সিদ্ধান্ত জার্মানির আগামী সরকার গঠনের পথ সুগম করবে কি?

https://p.dw.com/p/2seZq
বিদায় নিলেন মার্টিন শুলৎস
ছবি: Reuters/F. Bensch

প্রত্যাশা অনুযায়ী এসপিডি দলের সভাপতি হিসেবে পদত্যাগ করলেন মার্টিন শুলৎস৷ এক বছর আগে ১০০ শতাংশ রেকর্ড ভোট পেয়ে এসপিডি দলের হাল ধরেছিলেন তিনি৷ সেই উত্থানের এত কম সময়ের মধ্যে তাঁর এই নাটকীয় পতন জার্মান রাজনীতি জগতের বর্তমান উত্তাল পরিবেশস্পষ্ট করে দিচ্ছে৷ শীর্ষ নেতা হিসেবে বারবার নিজের অবস্থান আমূল বদলে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি৷ দলের মধ্যে তাঁর উপর চাপ বাড়ছিল৷ তবে বিদায়ী ভাষণে তিনি বলেন, মনের মধ্যে কোনো তিক্ততা ও বিরক্তি ছাড়াই তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন৷

শুলৎসের প্রস্তাব অনুযায়ী, সরাসরি কার্যনির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পেলেন না নারী নেত্রী আন্দ্রেয়া নালেস৷ আগামী ২২শে এপ্রিল দলীয় সম্মেলনে তিনি অবশ্য দলের প্রথম নারী সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হতে পারেন৷ বর্তমানে তিনি এসপিডি সংসদীয় দলের প্রধান৷ তবে দলের বর্তমান পরিবেশে  বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন না তিনি৷ রুদ্ধদ্বার বৈঠকে হাতে গোনা কিছু মানুষ এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন, দলের অনেকেই আর সেটা মেনে নিতে পারছেন না৷ এরই মধ্যে দলের আরেক নারী নেত্রী প্রার্থীতার ঘোষণা করেছেন৷ ফলে দলীয় সম্মেলনে ভোটাভুটির মাধ্যমে ফয়সালা হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ সেই সময় পর্যন্ত কার্যনির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন হামবুর্গ নগর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওলাফ শলৎস৷

অস্থিরতা কাটিয়ে এসপিডি দলের নেতৃত্ব বদলের সিদ্ধান্তের ফলে সদস্যরা অবশেষে প্রস্তাবিত কোয়ালিশন চুক্তি নিয়ে আলাপ আলোচনায় মন দিতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে৷ কার্যনির্বাহী সভাপতি শলৎস চান, প্রস্তাবিত সরকারে এসপিডি দলের অভাবনীয় প্রভাবের স্বীকৃতি দিয়ে সদস্যরা মহাজোট সরকারে অংশ নেবার পক্ষে ভোট দিন৷ বর্তমান সংকট কাটিয়ে এসপিডিকে জার্মানির সবচেয়ে শক্তিশালী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করারও ডাক দিয়েছেন তিনি৷ নেতৃত্বে রদবদলের ফলে এসপিডি সদস্যরা সরকারে যোগ দেবার প্রশ্নে নমনীয় অবস্থান নেবেন কিনা, সে বিষয়ে অবশ্য অনিশ্চয়তা থেকে যাচ্ছে৷