জার্মানির যে বিষয়গুলো পর্যটকদের নজর কাড়ে
অন্য সব দেশের মতো জার্মনিতেও রয়েছে নিজস্ব কিছু রীতি-নীতি বা আচার অনুষ্ঠান৷ জার্মানরা সুশৃঙ্খল জাতি হিসেবে পরিচিত৷ তাঁদের এমন কিছু বিষয় রয়েছে যা জার্মানিতে আসা যে কোনো নতুন মানুষকে অবাক করে৷
জার্মানদের পরিবেশ সচেতনতা
কাগজ, শক্ত কাগজের বাক্স, প্লাস্টিক, বাড়ির সাধারণ আবর্জনা, রান্নঘর বা বাগানের আবর্জনা, গ্লাস ইত্যাদি ফেলার জন্য জার্মানরা আলাদা এবং বিভিন্ন ধরণের ডাস্টবিন ব্যবহার করে থাকে৷ পরিবেশ রক্ষা করতে এসব আবর্জনা রিসাইক্লিং বা পুনর্ব্যবহার করার জন্যই এমনটি করা হয়৷ পরিবেশ সম্পর্কে জার্মানদের এতটা সচেতনতা জার্মানিতে নতুন আসা সব মানুষের নজর কাড়ে৷
নিঃসন্দেহে রোল মডেল
একে তো রাত, তার ওপর বৃষ্টিও হচ্ছে, রাস্তায় তেমন কোনো গাড়িও চলছে না৷ অথচ এক পথচারী তখনও রাস্তা পার হওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছে, সবুজ ট্রাফিক লাইট না জ্বলা পর্যন্ত তিনি রাস্তা পার হবেন না৷ জার্মানরা আইন-কানুন আর নিয়ম-নীতির প্রতিই এতটাই শ্রদ্ধাশীল৷
যার যার তার তার
জার্মানরা রেস্তোরাঁ বা কফি হাউজ যেখানেই একসাথে খেতে যান না কেন, খাওয়া-দাওয়ার পর প্রত্যেকে শুধু নিজের বিলই পরিশোধ করে৷ এটা দেখে অন্য দেশ বা সংস্কৃতি থেকে আসা মানুষ খুবই অবাক হন৷ তাদের বিস্ময় আরো বেড়ে যায় যখন দেখেন যে প্রেমিক-প্রেমিকারাও একই নিয়মে বিল পরিশোধ করছে৷ এ সম্পর্কে জার্মানদের মন্তব্য, ‘ভিন্ন দেশ, ভিন্ন রীতি৷’
পোষা প্রাণী
জার্মানিতে শতকরা ২৮জন মানুষ বেড়াল পোষেন আর বাড়িতে কুকুর পোষেন শতকরা ২৩ জন৷ জার্মানির অন্তত ৭০ লাখ মানুষের বাড়িতে কোনো-না-কোনো পোষা প্রাণী রয়েছে৷ তবে বেশিরভাগ মানুষই কিন্তু কুকুরের ভক্ত৷ যদিও সর্বত্র পোষ্য কুকুরের বিষ্ঠা পড়ে থাকে বলে অতি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন জার্মানরা প্রচন্ড বিরক্ত৷
আপনি, না তুমি?
জার্মান ভাষায়ও বাংলার মতো ‘আপনি’ ও ‘তুমি’ সম্মোধন রয়েছে৷ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হলে ‘তুমি’ আর একটু দূরত্ব থাকলে ভদ্রতা করে বা অফিসিয়াল সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘আপনি’ বলে সম্মোধন করা হয়৷