জার্মানির যত বিচিত্র সংগঠন
অনেক মানুষই সমমনা বন্ধু খোঁজেন৷ নিজের প্রিয় কাজটি আর যাঁরা করেন, তাঁদের খোঁজে সংগঠনের সঙ্গে জড়িত হন অনেক জার্মান৷ ছবিঘরে এমন কিছু সংগঠনের কথা তুলে ধরা হচ্ছে, যা দেখে হয়ত আপনার মনে হতে পারে, যা বাবা, এমন সংগঠনও হয়!
কাস্তেওয়ালাদের সংগঠন
বাগানপ্রিয় প্রায় প্রত্যেক জার্মানের ঘরে ঘাস-কাটার যন্ত্র রয়েছে৷ কিন্তু একসময় তাঁরাও ঘাস কাটতে কাস্তে ব্যবহার করেছেন৷ সেই বিষয়টি আজও অনেকের প্রিয়৷ তাই তাঁরা একটি সংগঠন গড়ে তুলেছেন, যার নাম ‘জেজেনফেয়ারাইন ডয়েচলান্ড ই.ভি.’৷ সংগঠনের সদস্যদের কাছে কাস্তে দিয়ে ঘাস কাটা পরিবেশবান্ধব একটি উপায়৷ এছাড়া এটি একটি ভালো অনুশীলনও৷ সংগঠনের নতুন সদস্যদের জন্য সঠিকভাবে কাস্তে ব্যবহারের প্রশিক্ষণও রয়েছে৷
লম্বা মানুষদের সংগঠন
ছবিতে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা ব্যক্তি সুলতান কোসেনকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট মানুষের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে৷ জার্মানিতে ‘ক্লুব লাঙার মেনশেন’ নামে লম্বা মানুষদের একটি সংগঠন রয়েছে৷ কমপক্ষে ছয় ফুট তিন ইঞ্চির পুরুষ ও পাঁচ ফুট ১১ ইঞ্চির নারীরা এর সদস্য হতে পারেন৷ সদস্যদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে নিয়মিত একটি সংবাদপত্র প্রকাশ করে থাকে সংগঠনটি৷ এছাড়া ইউরোপজুড়ে বিভিন্ন নেটওয়ার্কিং অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করে তারা৷
চিনি সংগ্রহ করেন তাঁরা
একটি সংগঠন আছে যার সদস্যরা চিনির প্যাকেট সংগ্রহ করেন৷ একে অপরের সঙ্গে তাঁরা প্যাকেট বিনিময়ও করেন৷ রাল্ফ শ্র্যোডার নামে এক ব্যক্তির কাছে ২০১৩ সালে ১৪ হাজার ৫০২টি বিভিন্ন রকমের চিনির প্যাকেট ছিল৷ ফলে তাঁর নাম উঠে গেছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে৷
ববি কার রেসার
বাচ্চাদের এই খেলনাটি ১৯৭২ সালে জার্মানিতে উদ্ভাবিত হয়৷ তবে নব্বইয়ের দশকে এক্সট্রিম অ্যাথলিটরা এই কার দিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু করেছিলেন৷ বর্তমানে এই খেলনা দ্রুতগতিতে চালিয়ে যাওয়ার সর্বোচ্চ রেকর্ড হচ্ছে ঘণ্টায় ১১৯ কিলোমিটার৷ এই প্রতিযোগিতা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য রয়েছে একটি সংগঠন, যার নাম ‘ববি কার স্পোর্ট ফেয়াবান্ড ই. ভি.’৷
অদ্ভুত দাড়ি-গোঁফওয়ালাদের ক্লাব
দাড়ি, গোঁফ নিয়ে চর্চা করার জন্য জার্মানিতে বেশ কয়েকটি ক্লাব রয়েছে৷ এর মধ্যে একটি ‘বেলে মুসটাশ ই.ভি.’৷ ছবিতে ডানের যে ব্যক্তিকে দেখছেন, তাঁর নাম ইয়ুর্গেন বুর্কহার্ড্ট৷ ক্লাবটি তাঁর তৈরি করা৷ অদ্ভুত গোঁফের কারণে তিনি বেশ কয়েকবার বিশ্ব সেরা নির্বাচিত হয়েছেন৷
হাসির ব্যায়াম
প্রাণ খুলে হাসা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো৷ বলা হয়, একজন হাসতে শুরু করলে নাকি অন্যদের মাঝেও তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে৷ তাই জার্মানিতে শুধু হাসার জন্য ক্লাব রয়েছে৷
বাইকারদের সংগঠন
‘দ্য স্ট্রিটবানিক্রু’ জার্মানির বাইকারদের একটি সংগঠন, যারা দাতব্য কাজ করে থাকে৷ তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্য তারা যখন রাস্তায় নামে, তখন গোলাপি খরগোশ সেজে নামে৷ এতে নাকি গণমাধ্যমে ভালো কাভারেজ পাওয়া যায় এবং অর্থ সংগ্রহের কাজটিও বেশ ভালো হয়৷
জাগার প্লেয়ারদের সংগঠন
১৯৮৯ সালে অস্ট্রেলীয় এক মুভিতে ‘জাগার’ নামে একটি খেলা দেখানো হয়েছিল৷ সেখান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে একটি খেলার চল শুরু হয়, তার নামও দেয়া হয়েছে জাগার৷ নিয়ম হচ্ছে, একটি দল ফোমের তৈরি একটি কুকুরের কঙ্কাল নিয়ে প্রতিপক্ষ দলের জায়গায় পৌঁছানোর চেষ্টা করবে৷ প্রথম আন্তর্জাতিক জাগার প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল জার্মানি৷