জার্মানির প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত জীবনের কথা
নিজের স্ত্রীকে কিডনি দান করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর থাকাকালীন প্রতিবেশীর সন্তানদের বেবিসিটিং করতেন৷ এমনকি নিজের বাগানের ঘাসও নিজেই কাটেন তিনি৷ ইনি আর কেউ নন, জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার৷
কিডনি দান
৫৫ বছর বয়সি বিচারক এল্কে ব্যুডেনবেন্ডার স্টাইনমায়ারের স্ত্রী৷ তবে স্টাইনমায়ার যখন আইনের প্রফেসর ছিলেন, তখন এলকে ছিলেন তাঁর সহকারী৷ শোনা যায়, সেই বিশ্ববিদ্যালয়েই তাঁদের পরিচয়, প্রণয়৷ ২০১০ সালে প্রিয়তমা স্ত্রী এলকেকে নিজের একটি কিডনি দান করেন স্টাইনমায়ার৷
বেবিসিটার
৬১ বছর বয়সি ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রফেসার থাকাকালীন বাচ্চাদের দেখাশোনা করতেন, অর্থাৎ ‘বেবিসিটার’ ছিলেন জার্মানির এই সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ আর বেবিসিটার হিসেবে প্রতিবেশীদের মধ্যে বেশ সুনামও কুড়িয়েছিলেন তিনি৷ তাঁর মেয়ে মেরিটের বয়স এখন ২০ বছর৷
প্রিয় খাবার স্প্যাগেটি
ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ারের প্রিয় খাবার স্প্যাগেটি আর টুন ফিশ৷ তবে তিনি রুটি খেতেও খুব পছন্দ করেন৷ ছোটবেলায় তিনি নাকি খুব আনন্দের সঙ্গেই সকাল সকাল পরিবারের সকলের জন্য বেকারি থেকে রুটি নিয়ে আসতেন৷
জিন টনিক
পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন সরকারি কাজের শেষে বিমান-ভ্রমণের সময় পুরো টিমকে নিয়ে খুব আনন্দের সঙ্গে ‘জিন অ্যান্ড টনিক’ পান করতেন স্টাইনমায়ার৷
পাহাড়প্রেমী
অবসর সময়ে জার্মানির প্রেসিডেন্ট পাহাড়ে উঠতে খুব ভালোবাসেন৷ পাহাড়প্রেমী মানুষটি তাই ছুটি কাটাতে প্রায়ই চলে যান ইটালির দক্ষিণ টিরোল-এর পর্বতে৷ হাঁটাহাঁটি করেন প্রকৃতির কোলে৷
নিজেই বাগান করেন
বাগানের ঘাস নিজে কাটতেই পছন্দ করেন স্টাইনমায়ার৷ শুধু তাই নয়, ‘ইকেয়া’ বা ‘আইকিয়া’ কোম্পানি থেকে আসবাবপত্র কিনে, তার বিভিন্ন অংশ নিজেই জোড়া লাগাতে পছন্দ করেন জার্মানির প্রেসিডেন্ট৷ অথচ দামে সস্তা এ সব আসবাব কিন্তু সাধারণত তরুণরাই কেনে, তাদেরই মানায় এগুলো৷
ভিন্ন ধরণের পোশাক
একসময় অদ্ভুত পোশাক পরতেন বলে নাম ছিল স্টাইনমায়ারের৷ আর সেই সব পোশাক তিনি নিজেই পছন্দ করে কিনতেন৷ শোনা যায়, চকমকে বেগুনি রঙের স্যুটের সাথে সবুজ রঙের চশমা পরে তিনি সাক্ষাৎকার দিতে গিয়েছিলেন হ্যানোফারে, তাও আবার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গেয়ারহার্ড শ্র্যোডারের সঙ্গে৷
ফুটবল প্রেমিক
স্টাইনমায়ার নাকি শিশু ও তরুণদের গ্রুপে মিডফিল্ডার হিসেবে ফুটবল খেলতেন এবং বেশ জনপ্রিয়ও ছিলেন৷ পরবর্তীতে তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে৷