1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রেসিডেন্ট অবাঞ্ছিত হলেও চ্যান্সেলর স্বাগত

১৩ এপ্রিল ২০২২

অতীতের ‘পুটিন-প্রীতি'-র কারণে কিয়েভ সফরের ইচ্ছা পূরণ হলো না জার্মান প্রেসিডেন্টের৷ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বরং জার্মান চ্যান্সেলর শলৎসকে আমন্ত্রণ জানালেন৷

https://p.dw.com/p/49sIf
Edi Rama, Ministerpräsident von Albanien in Berlin
ছবি: Soeren Stache/REUTERS

ইউরোপের একের পর পর এক শীর্ষ নেতা সম্প্রতি যুদ্ধ সত্ত্বেও কিয়েভ সফর করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কির পাশে দাঁড়িয়েছেন৷ ঝুঁকি সত্ত্বেও তাদের এই প্রতীকী সফর নজর কেড়েছে৷ কিন্তু জার্মানি থেকে কোনো শীর্ষ নেতা এখনো কিয়েভে যান নি৷ জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার সেই উদ্যোগ নিলেও কিয়েভের নেতৃত্ব নাকি তাকে সেখানে চায় না৷ সোমবার পোল্যান্ড সফরের সময়ে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন খোদ জার্মান প্রেসিডেন্ট৷ উল্লেখ্য, পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ওন্দ্রে দুদা সম্প্রতি পোল্যান্ড, জার্মানি ও বাল্টিক অঞ্চলের তিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের যৌথ কিয়েভ সফরের উদ্যোগ নিচ্ছিলেন৷ সেই উদ্যোগে শামিল হওয়া সম্ভব নয় বলে জানালেন জার্মান প্রেসিডেন্ট৷

প্রথমে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী. তারপর প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্টাইনমায়ার বরাবর রাশিয়া তথা সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার আন্তরিক চেষ্টা চালিয়ে গেছেন বলে সাম্প্রতিক যুদ্ধের সময় থেকেই ইউক্রেনে তার প্রতি ক্ষোভ দেখা যাচ্ছিল৷ জার্মানিতে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত আন্দ্রিই মেলনিক খোলাখুলি জার্মান প্রেসিডেন্টের ‘পুটিন-প্রীতি' সম্পর্কে মন্তব্য করার পর স্টাইনমায়ার নিজে এমন মনোভাব ব্যাখ্যা করে আত্মসমালোচনা করেন৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও কিয়েভের ক্ষোভ প্রশমন হয় নি বলে মনে করা হচ্ছে৷

এমনই প্রেক্ষাপটে ইউক্রেন সরাসরি জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসকে কিয়েভে আমন্ত্রণ জানিয়েছে৷ বিশেষ করে আরও জোরালো অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের বিষয়ে জেলেনস্কি তার সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনা করতে চান৷ শলৎস অবশ্য এ ক্ষেত্রে একক পদক্ষেপের বদলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সমন্বয়ের পক্ষে সওয়াল করেছেন৷ মেলনিক বলেন, প্রতীকী সফরের তুলনায় ইউক্রেনকে অবিলম্বে আরও সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বেশি জরুরি৷ ইউরোপের একাধিক দেশ যেভাবে একক উদ্যোগে ইউক্রেনকে ভারি অস্ত্র পাঠাচ্ছে, জার্মানিরও তেমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন৷

ইউক্রেন সংকটকে ঘিরে ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে রয়েছে জার্মানি৷ অতীতের নীতি ঝেড়ে ফেলে বার্লিন যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র ও সামরিক সহায়তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেও রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানির প্রশ্নে এখনো ‘সাহসি' পদক্ষেপ নিতে নারাজ শলৎসের সরকার৷ সরকারের মতে, নিজস্ব অর্থনৈতিক স্বার্থে রাশিয়া থেকে পেট্রোলিয়াম ও গ্যাস আমদানি অবিলম্বে বন্ধ করতে অক্ষম জার্মানি৷ ‘আত্মরক্ষামূলক' সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করলেও যুদ্ধ ইউক্রেনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে ‘আক্রমণাত্মক' অস্ত্র সরবরাহে এতকাল দ্বিধা দেখিয়ে এসেছেন শলৎস৷ কিন্তু ইউক্রেনে রুশ সেনাবাহিনীর তাণ্ডবের কারণে জ্বালানি ও অস্ত্র – দুই ক্ষেত্রেই আরও কড়া অবস্থান নিতে চাপের মুখে পড়ছে তার সরকার৷ সরকারি জোটের তিন প্রভাবশালী সংসদ সদস্য কিয়েভ সফর করে ইইউ স্তরে যত দ্রুত সম্ভব রাশিয়া থেকে পেট্রোলিয়াম আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণার পক্ষে সওয়াল করেছেন৷ কারণ এভাবেই রাশিয়ার আয়ের প্রধান উৎস বন্ধ করা সম্ভব হবে বলে তারা মন্তব্য করেছেন৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য