জার্মানির প্রেম অ্যাসপারাগাস দিয়ে!
জার্মানিতে বসন্তের আগমন মানে অ্যাসপারাগাসের বার্ষিক উৎসব শুরু হওয়া৷ সাদা অ্যাসপারাগাস সাদা সোনার মতোই৷
পথেই যায় চেনা
অ্যাসপারাগাসের মরশুম মানে সর্বত্র খাদ্যতালিকায় অ্যাসপারাগাস হাজির৷ তা সে গৃহস্থের পাতে হোক, বা রেস্তোরাঁয়৷ নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়ায় ১৪০টি খামারকে ‘অ্যাসপারাগাস স্ট্রাসে’ বা অ্যাসপারাগাসের রাস্তা নামেই ডাকা হয়৷
মরসুমি তন্বী
প্রতি বছরে এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে অ্যাসপারাগাসের জোগান শুরু হয়৷ জুনের ২৪ পর্যন্ত এর দেখা মেলে৷ সুপারমার্কেট, দোকান, বাজার থেকে শুরু করে রাস্তাঘাটেও এর পসরা হাজির হয়৷ দাম প্রতি কেজিতে মাত্র ৬ দশমিক ৭০ ইউরো৷
স্বাদে অনন্য
সাদা অ্যাসপারাগাস রান্নার আগে ছাড়িয়ে নিতে হয়৷ তারপর স্যুপ বা ওমলেট যা কিছুর সংগে খাওয়া যায়৷ ‘সবজির রাজা’কে সেদ্ধ আলু বা হ্যাম সহযোগে মাখন বা হল্যান্ডীয় সস দিয়ে খাওয়ার বিকল্প হয় না৷
ইতিহাস কী বলছে
রোমান ঐতিহাসিক থেকে পঞ্চদশ লুই – অ্যাসপারাগাসের গুণমুগ্ধ সকলেই৷ সেই ভালো লাগার ট্র্যাডিশন এখনও চলছে৷
হাতের জাদু যেখানে
জমি থেকে অ্যাসপারাগাস তুলতে প্রচুর শ্রমিক দরকার৷ পোল্যান্ড, রুমানিয়া থেকে আসা শ্রমিকেরাই মূলত এই কাজ করেন৷ এই অল্প সময়েই ১ লাখ টনের বেশি অ্যাসপারাগাস জার্মানি থেকে সরবরাহ হয়৷
অ্যাসপারাগাস রানি
নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়ার ১৮ থেকে ২৫ বছরের মেয়েদের নিয়ে শুরু হয় ‘অ্যালপারাগাসের রানি’ প্রতিযোগিতা৷ মূলত যাঁরা অ্যাসপারাগাস ফলান, তাঁদের মেয়েরাই অ্যাসপারাগাসের প্রচারে নামেন৷
রাজকীয় আয়োজন
এমন রাজকীয় বস্তুটি জাদুঘরে ঠাঁই পেয়েছে ৷ ১৯৮৫তে এই জাদুঘর ইউরোপের একমাত্র অ্যাসপারাগাস জাদুঘর হিসেবে স্বীকৃত৷ সাহিত্য, ইতিহাস বা কৃষিতে অ্যাসপারাগাসের গুরুত্ব বুঝতে এই জাদুঘর ঘুরে আসা চাইই৷