1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির প্রাচীনতম কেল্লায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে

২৯ অক্টোবর ২০২১

ইতিহাসকে শুধু বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ না রেখে জীবন্ত করে তুললে কেমন হয়? আধুনিক প্রযুক্তির দৌলতে জার্মানির এক কেল্লার পাঁচ শতাব্দীর ইতিহাস দর্শকদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে চলে আসছে৷

https://p.dw.com/p/42MVJ
ইতিহাসকে শুধু বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ না রেখে জীবন্ত করে তুললে কেমন হয়? আধুনিক প্রযুক্তির দৌলতে জার্মানির এক কেল্লার পাঁচ শতাব্দীর ইতিহাস দর্শকদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে চলে আসছে৷
ছবি: Gerd Maiss/picture alliance

মাইসেন অঞ্চলে আলব্রেশটসবুর্গ জার্মানির প্রাচীনতম কেল্লা হিসেবে পরিচিত৷ পঞ্চদশ শতাব্দীতে এই স্থাপনা তৈরি হয়েছিল৷ ডয়চে ভেলের সাংবাদিক হানা হুমেল বিশ্ববিখ্যাত পোর্সেলিন বা চীনামাটির বাসনের উৎসের সন্ধানে সেখানে এসেছেন৷

গোটা কেল্লাটি আজ এক মিউজিয়ামে রূপান্তরিত হয়েছে৷ নতুন এক ডিজিটাল পদ্ধতিতে কেল্লার দীর্ঘ ইতিহাস সম্পর্কে জানার সুযোগ পাচ্ছেন দর্শকরা৷ হাতেনাতে সেই প্রযুক্তি পরখ করে হানা বলেন, ‘‘তৈলচিত্র দেখে অতীতে ঢুঁ মারা যায় বৈকি৷ কিন্তু কেল্লার নতুন প্রযুক্তির দৌলতে আমি সত্যি অতীতে পৌঁছে যেতে পারি৷’’

তথাকথিত ‘হিস্টোপ্যাড’ নামের ইন্টারঅ্যাক্টিভ ট্যাবলেট গাইড সেই অসাধ্যসাধন করে৷ অগমেন্টে়ড রিয়ালিটি ও থ্রিডি প্রেজেন্টেশনের দৌলতে কেল্লা দর্শনের অভিজ্ঞতা আরও রোমাঞ্চকর হয়ে উঠছে৷ কেল্লা স্থাপনার প্রধান উভে মিশেল বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘‘এই ট্যাবলেটের সুবিধা হলো, এখানে আমরা বিভিন্ন যুগের স্তর ফুটিয়ে তুলতে পারি৷ ফলে দর্শকরা কেল্লার কোনো অংশ নির্দিষ্ট কোনো যুগের সাজে দেখতে পারেন৷ তাঁরা তাঁদের হিস্টোপ্যাড একটি অংশে ধরলে ডিভাইসটি স্ক্যান করে সেই যুগ সক্রিয় করে তোলে৷ এখন আমরা ১৪৯৩ সালে চলে গেছি৷ ফ্রিডরিশ দ্য ওয়াইস বিদায় নিয়ে পবিত্র জেরুসালেম ভূমির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হচ্ছেন৷’’

জীবন্ত ইতিহাসে ভ্রমণ

নয়টি বিভিন্ন অংশে পঞ্চাদশ শতাব্দী পর্যন্ত কেল্লার ইতিহাস ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে৷ এভাবে দর্শকরা নির্দিষ্ট কোনো জায়গার প্রতি মনোযোগ দিতে পারেন৷ যেমন চিনামাটির বাসন তৈরির পদ্ধতি৷ সেই লক্ষ্যে ১৭১০ সালে আলব্রেশটসবুর্গের সম্প্রসারণ করা হয়েছিল৷ স্থাপনার মডেল দেখলে বোঝা যাবে, কীভাবে ইউরোপের প্রথম পোর্সেলিন উৎপাদন কেন্দ্রে সুপরিকল্পিতভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ উভে মিশেল বলেন, পাহাড়ের উপর এই কেল্লা প্রয়োজনে বিচ্ছিন্ন করা যেত৷ কেল্লার তোরণে কারখানায় প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হতো৷ প্রহরীদের চৌকি ছিল৷ পোর্সেলিন তৈরির পদ্ধতি যতকাল সম্ভব গোপন রাখাই ছিল উদ্দেশ্য৷’’

১৫৩ বছর ধরে সেখানে চিনামাটির বাসন তৈরি করা হতো৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ডিজাইন আরও জটিল হতে লাগলো৷ তারপর যে শৈলি সৃষ্টি হলো, তা আজও মাইসেন এলাকার পোর্সেলিনে শোভা পায়৷

উপর তলায় উৎপাদন প্রক্রিয়ার নানা দিক চোখে পড়ে৷ হিস্টোপ্যাড ওয়ার্কশপের খুঁটিনাটী বিষয়গুলি চাক্ষুষ করে তোলে৷ হানা হুমেল ট্যাবলেটের পর্দায় চোখ বুলিয়ে বলেন, ‘‘মানুষ কীভাবে কাজ করছে, তাও দেখা যাচ্ছে৷ কখনো ভাবতেই পারতাম না, যে জায়গাটি এমন দেখতে ছিল৷’’

অতীতকে জীবন্ত করে তোলাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য৷ এমন টাইম ট্র্যাভেলের সময় ঐতিহাসিক সেলফি না হলে কি চলে! কয়েক শতাব্দী আগের ফ্যাশন সম্পর্কে ধারণা পেতে হবে তো৷ হানা মনে করেন, ‘‘সত্যি, অসাধারণ অভিজ্ঞতা! আগে কখনো এমন কিছু করি নি৷ ৫০০ বছর আগে ফিরে যাবার রোমাঞ্চই আলাদা!’’

আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে আলব্রেশটসবুর্গ কেল্লায় সময় থেমে নেই৷

মেগিন লেই/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান