জার্মানির অন্যরকম ক্রিসমাস মার্কেট
রোস্ট করা বাদাম এবং ওয়াইনের মতো পানীয় জার্মানির বেশিরভাগ ক্রিসমাস মার্কেটে প্রধান খাবার। কিন্তু আপনি যদি স্ট্রিপ শো বা প্রাচীন মধ্যযুগীয় পরিবেশে থাকার মতো অভিজ্ঞতা পেতে চান, তাহলে এই ছবিঘর দেখুন
সান্তা পাওলি: হামবুর্গের ইরোটিক ক্রিসমাস মার্কেট
জার্মানির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর হামবুর্গ। এই শহরে রয়েছে বন্দর, অপেরা হাউস এবং বিখ্যাত রেড-লাইট জেলা রেপারবান। স্ট্রিপ শো এবং একাধিক অন্যরকম পারফরম্যান্সের জন্য ক্রিসমাস মার্কেটের চেয়ে ভাল জায়গা আর কী হতে পারে। তাই এই সান্তা পাওলি ক্রিসমাস মার্কেটের সত্যিই নিজস্ব চার্ম রয়েছে।
ম্যুলেনসডর্ফার ক্রিসমাস মার্কেটে প্রকৃতির টান
শীতে অরণ্যের মায়াবী সৌন্দর্য দেখতে চাইলে এখানে না এসে উপায় নেই। ২৫ বছর ধরে বার্লিন এবং লাইপজিশের মাঝামাঝি বনাঞ্চলে অবস্থিত ম্যুলেনসডর্ফার ক্রিসমাস মার্কেট পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র। সবাই এই মার্কেটের প্রশংসা করেন। বাচ্চাদের জন্য ট্রেনে চড়া এবং মোমবাতি তৈরির ব্যবস্থা রয়েছে। একটি স্মোকহাউসও রয়েছে, যেখানে ধূমায়িত মাছ এবং চিজ পাওয়া যায়।
স্প্রিভাল্ড অঞ্চলে ক্রিসমাস
এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ক্রিসমাস মার্কেটে ঘুরতে ঘুরতে জার্মানির শান্ত স্প্রিভাল্ড অঞ্চলের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? তাহলে ঐতিহাসিক ভবনগুলি দেখতে লেদের ওপেন-এয়ার মিউজিয়ামে যান। উৎসবের মরসুম বলে দারুণভাবে সাজানো হয়েছে ভবনগুলো। সেখান থেকে ছোট্ট একটা নৌকায় চেপে বন্দর সংলগ্ন গ্রোসে স্প্রিভাল্ডহাফেন ল্যুবেনাউ-এর দুর্দান্ত বাজারে ঘুরে আসুন।
ভার্টবুর্গ ক্যাসেল ক্রিসমাস মার্কেট
শীতকালে জার্মানির সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী ক্রিসমাস বাজার উপভোগ করতে টুরিঙ্গিয়ার ভার্টবুর্গ ক্যাসেলে ভিড় করেন পর্যটকেরা৷ ক্যাসলের উঠানো মোমবাতি থেকে লণ্ঠনসহ নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প বিক্রি হয়। সংগীতশিল্পী, গল্পকার এবং পুতুল নাচের পাপেট শিল্পীরাও সেই পুরনো দিনের ধাঁচে ক্রিসমাসের উৎসবে অংশ নেন। সুস্বাদু খাবারও মেলে এখানে।
ভূগর্ভে ক্রিসমাস মার্কেট
রাইনল্যান্ড-প্যালাটিনেট স্টেট আঙুর খেতের জন্য সুপরিচিত। তবে ট্র্যাবেন-ট্রারবাখ শহরে মাটির নীচে ওয়াইন সেলারসমেত ক্রিসমাস মার্কেট বসে। ওয়াইন উৎসাহীদের মুখে মুখে এই মার্কেটের কথা রটে যাওয়া তাই স্বাভাবিক। এই ওয়াইন সেলারগুলির মধ্যে কয়েকটি ষোড়শ শতকের। মোসেল ওয়াইন ছাড়াও ক্রিসমাস মার্কেটে আসা পর্যটকেরা নানা খাবার এবং সুস্বাদু স্থানীয় ওয়াইনও পাওয়া যায় এখানে।
মধ্যযুগীয় আমেজ
আপনি যদি স্টুটগার্টের কাছাকাছি কোথাও মধ্যযুগীয় আমেজ পেতে চান, তাহলে এসলিঙ্গেনের ক্রিসমাস মার্কেটে যান। আপনার তিরন্দাজির দক্ষতা কেমন সেটাও এই ক্রিসমাস মার্কেটে পরখ করতে পারেন। প্রাচীন শিল্পীরা কাজের সময় কেমন পরিশ্রম করতেন, তাও দেখতে পাবেন।
খনির মধ্যে বড়দিনের আনন্দ
ক্রিস্টকিন্ডলমার্কটি বাভারিয়ার হাউজেনবার্গে একটি পুরানো খনিসমৃদ্ধ এলাকায় অবস্থিত। এখানে স্থানীয় কারুশিল্পের পাশাপাশি প্রথাগত হস্তশিল্পের কৌশল যেমন পাথরের কাজও প্রদর্শিত হয়।
মিউনিখে গোলাপি ক্রিসমাস
মিউনিখের পিঙ্ক ক্রিসমাস মার্কেট প্রথম শুরু করে এলজিবিটিকিউ গোষ্ঠী। এখানে দুর্দান্ত খাবার এবং পানীয় পাবেন। খোলা মনের মানুষও পাবেন। রাতের পারফরম্যান্স সহ একটি দারুণ পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন। এটি শহরের প্রথম জলবায়ু-নিরপেক্ষ ক্রিসমাস মার্কেট।
রাভেনা জর্জ ক্রিসমাস মার্কেট
দক্ষিণ জার্মানির মনোরম পরিবেশে একটি উপত্যকায় অবস্থিত রাভেনা জর্জ৷ ৫৮ মিটার লম্বা (১৯০ ফুট) রেলওয়ে ওভারহেড এবং আশেপাশে জলপ্রপাতসহ এটি দেশের সবচেয়ে দর্শনীয় ক্রিসমাস মার্কেটের একটি। সরাসরি রূপকথার দৃশ্যের মতো দেখায় এই ক্রিসমাস মার্কেটটিকে।
বাভারিয়ার ক্রিসমাস দ্বীপ
উৎসবের সময় একটি দ্বীপে পালিয়ে যেতে চান? তাহলে বাভারিয়ার শিমসি লেকের ফ্রাউয়েনশিমসি দ্বীপে যেতে পারেন। ৩০০ জন বাসিন্দার বাড়ি রয়েছে এখানে। এলাকাটি খুব সুন্দর, পাশাপাশি আকর্ষণীয় ক্রিসমাস বাজার রয়েছে। দ্বীপটিতে কোনো গাড়ি চলে না। ফেরি করে যাতায়াত করেন পর্যটকেরা।