জার্মানিতে সাইকেল চুরি
জার্মানিতে প্রতিবছর গড়ে ৩৪০,০০০টি সাইকেল চুরির ঘটনা রেজিস্ট্রার করা হয়৷ তবে ধারণা করা হয়, এই সংখ্যা তার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি৷ তবে একটু সতর্ক হলে চোরের হাত থেকে আপনার সাইকেলটি রক্ষা করতে পারেন৷ এবার সেই উপায়গুলোই জেনে নিন৷
মাত্র তিন মিনিট
একটি সাইকেল চুরি করতে প্রয়োজন মাত্র ‘তিন মিনিট’ বলেন সাইকেল বিশেষজ্ঞ টোমাস গাইসলার৷ মাত্র তিন মিনিটেই নাকি সাইকেলের একটি সাধারণ তালা খুব সহজে খোলা বা ভাঙা যায়৷ ফলে সাধারণ তালা সাইকেল চুরির পথ আরো সহজ করে দেয়৷
চোর প্রতিরোধকারী তালা
মজবুত তালা লাগানো দেখলে চোর সতর্ক হয়ে যায়৷ তাই বিশেষ তালা লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে৷ অর্থাৎ এমন তালা লাগাতে হবে, যে তালা চোর খুলতে বা ভাঙতে গেলে অ্যালার্ম বেজে উঠবে৷ যেমন বর্ডো অ্যালার্ম ৬০০০ এ, উইথ ১০০০ ডেসিবেল৷ এই তালাটির মূল্য ১৪০ ইউরো৷
অজান্তে চোরকে সাহায্য করবেন না
জায়গা নিরিবিলি হলে চোরের জন্য স্বাভাবিকভাবেই চুরি করাটা আরো সহজ হয়ে যায়৷ তাই সাইকেল স্ট্যান্ড একটু দূরে হলেও, যেখানে মানুষের আনাগোনা নেই বা কম আনাগোনা, সেরকম জায়গায় নিত্যদিনের সাথি প্রিয় সাইকেলটিকে না রাখাই শ্রেয়৷
জায়গা পরিবর্তন করুন!
কর্মস্থলের সামনে কিংবা বাড়ির সামনে একই জায়গায় প্রতিদিন সাইকেল না রাখাই উচিত৷ কারণ সাইকেল চোর নিয়মিত লক্ষ্য রাখে, সাইকেলের মালিক কতক্ষণ বাইরে বা ভেতরে থাকেন৷ আর সেভাবে প্ল্যান করে কোনো সমস্যা ছাড়াই চোর নিশ্চিন্তে আপনার শখের সাইকেলটি নিয়ে পালিয়ে যেতে পারে৷
খোদাই করে রাখুন
ইউরোপে ভালো একটি সাইকেলের মূল্য অনেক সময় পুরনো একটি গাড়ির চেয়েও বেশি পড়ে৷ এ সব ক্ষেত্রে সাইকেলের ওপর নিজের নাম বা নিজের পছন্দের কিছু খোদাই করে লিখিয়ে নিন৷ এতে পুলিশের জন্য আপনার মূল্যবান সাইকেলটি যে চুরি করেছে, তাকে ধরার পথ অনেক সহজ হয়ে যাবে৷
উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার
দামি সাইকেলে জিপিএস ট্রান্সমিটার লাগানোরও ব্যবস্থা থাকে৷ তাই প্রয়োজনে সেসব ব্যবস্থা নিন৷ কারণ প্রিয় সাইকেল চুরি হয়ে যেখানেই থাকুক না কেন, তা অ্যাপের মাধ্যমে আপনার মোবাইলই জানিয়ে দেবে৷ তবেই বঝুন, চোর পালিয়ে যাবে কোথায়!
ই-বাইক বা ইলেক্ট্রনিক বাইক
আপনার সাইকেলটি যদি ইলেকট্রনিক হয়, তাহলে অবশ্যই সাইকেলের ব্যাটারি-প্যাক সাথে নিয়ে যেতে ভুলবেন না! কারণ ওটা ছাড়া সাইকেল একেবারেই মূল্যহীন, অর্থাৎ চোরের কোনো লাভই হবে না৷