জার্মানিতে রেস্তোরাঁয় খাওয়া ও খাওয়ার নিয়ম
অন্য দেশের মতো জার্মানিতেও রেস্তোরাঁয় খাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে৷ রেস্তোরাঁয় জার্মানরা কী খেতে ভালোবাসেন, কিংবা ভুল খাবার পরিবেশন করা হলে কী হয় অথবা খাবার অপচয় রোধ করতে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়- এরকম নানা কিছু নিয়েই এই ছবিঘর৷
পিৎসা এবং পাস্তা
এক সমীক্ষায় জানা যায়, জার্মানরা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন ইটালীয় খাবার পিৎসা এবং পাস্তা৷ জার্মানির ভুর্টসবুর্গ শহরের এলিফান্টেন গাছে প্রথম সেই ১৯৫২ সালে পিৎজারিয়া বা পিজা রেস্তোরাঁ খোলা হয়৷ তবে সে সময় সেখানে যাঁরা খেতে যেতেন, তাঁদের বেশিরভাগই ছিলেন অ্যামেরিকান সৈন্য৷
অনলাইনে অর্ডার
পিৎসা, সুশি কিংবা মেক্সিকান- যে খাবারই হোক না কেন, আজকাল অনলাইনে সব ধরনের খাবারের অর্ডার দেওয়ার প্রবণতাই দিনদিন বাড়ছে৷ ২০১৫ সালের এক সমীক্ষায় এর সংখ্যা ছিলো আনুমানিক ৬ মিলিয়ন৷ তবে ২০২১ সালে এই সংখ্যা শতকরা ২০০ ভাগ বেড়ে ১৮ মিলিয়ন হবে বলে জানিয়েছে জার্মান পরিসংখ্যান পোর্টাল৷
শিশুরাও কেনা খাবার বেশি খায়
শিশুদের ক্ষেত্রে সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার বাড়িতে খাওয়ার প্রবণতা ২০০৫ থেকে ২০১৫-এর মধ্যে অনেক কমে গেছে৷ কনজিউমার্স চয়েস-এর করা এক সমীক্ষা থেকে জানা যায় এ কথা৷
পেশাজীবী মায়ের সংখ্যা বাড়ছে, তাই...
আগের তুলনায় সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বেশি মা পেশাজীবী৷ রান্নাবান্নার ক্ষেত্রে তাঁদের সময় কমে গেছে৷ আর এ কারণেই অনেক শিশুকে দু’বেলাই বাইরের কেনা খাবার খেতে হচ্ছে৷
ভুল খাবার পরিবেশ করলে যা হয়
আপনি রেস্তোরাঁয় যে খাবারটি অর্ডার দিয়েছেন তার পরিবর্তে কি অন্য কোনো খাবার আপনাকে দেয়া হয়েছে? এমন হলে যদি আপনি সাথে সাথেই ওয়েটারকে তা জানিয়ে দেন, তাহলে আপনাকে নতুন করে আপনার অর্ডার অনুযায়ী খাবার দেওয়া হবে৷
পরে অভিযোগ করে লাভ নেই
আর যদি কিছু না বলে ভুল খাবার চুপচাপ খেয়ে নেন এবং পরে সে কথা জানান বা অভিযোগ করেন, তাহলে কিন্তু কোনো লাভ হবে না৷
আইনি অধিকার
আর হ্যাঁ, যদি কোনো রেস্তোরাঁয় অর্ডার দেওয়ার দেড় ঘন্টা পরে খাবার পরিবেশন করা হয়, তাহলে দীর্ঘ অপেক্ষার কারণে বিলের শতকরা ৩০ভাগ কম মূল্য আপনি পরিশোধ করতে পারেন৷ জার্মানিতে এটা আপনার আইনসঙ্গত অধিকার৷
‘অপচয় ’ না করে পেট ভরে খান!
অন্যান্য অনেক দেশের মতো জার্মনিতেও এমন অনেক রেস্তোরাঁ রয়েছে যেগুলোতে লেখা থাকে ‘অল ইউ ক্যান ইট’, অর্থাৎ আপনি যত খুশি তত খান, বিল কিন্তু একই থাকবে৷ এ ক্ষেত্রে খাবার যাতে নষ্ট না করা হয় সেজন্য জার্মানির কিছু রোস্তোরাঁয় খাবার টেবিলেই লেখা থাকে, ২০০ গ্রামের বেশি খাবার নষ্ট বা প্লেটে রেখে দিলে তার জন্য নির্ধারিত অংকের ইউরো জরিমানা দিতে হবে৷