জার্মানিতে বড়দিনের প্রার্থনায় করোনার প্রভাব
২৪ ডিসেম্বর ২০২০শহরের ভবনগুলোতে নেই ক্রিসমাস ট্রির আলোকছটা৷ তীব্র ঠাণ্ডায় জমে থাকা ডিসেম্বরের এ সময়ে শপিংমলগুলোতে থাকে উপচে পড়া ভিড়৷ তবে এ বছর করোনার কারণে অতি প্রয়োজনীয় দোকাটপাট ছাড়া সব বন্ধ রাখা হয়েছে৷ ইউরোপে বড়দিনের এমন দশা অন্যান্য বছরের তুলনায় বড্ড বেমানান৷
দু'সপ্তাহ আগে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল দেশটির রাজ্যপ্রধানদের সাথে বৈঠকের পর করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেন৷ বলা হয়, গীর্জা, মসজিদ বা সিনাগগে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ধর্মীয় আচার পালন করতে হবে৷ আর স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় প্রার্থনা সংগীতের উপর৷
নিষেধাজ্ঞার ফলে এ বছর আর প্রার্থনা সংগীতের আয়োজন করতে পারছে না গির্জা কর্তৃপক্ষ৷ ঐতিহাসিক আচার অনুযায়ী, বড়দিনে এ ধর্মের অনুসারীরা গির্জায় জড়ো হয়ে যিশুর উদ্দেশ্যে ও পার্থিব শান্তি কামনায় প্রার্থনা করে থাকেন৷ এ সময় সমবেতভাবে নানা ধরনের ধর্মীয় গান গাওয়ারও রেওয়াজ আছে৷
এদিকে রাজ্যপ্রধানরা নিজ নিজ এলাকায় করোনা পরিস্থিত বিবেচনায় নিয়ে আরোপ করেছে শক্ত বিধি৷ দেশটির বাভারিয়া রজ্যে জারি করা হয়েছে সান্ধ্যকালীন কারফিউ৷
এমন নিষেধাজ্ঞার ফলে এ রাজ্যের গির্জাগুলো রাতের প্রার্থনার আয়োজন করতে পারছে না৷
বড়দিনে গির্জা চালু রাখার বিষয়ে অনেকের মনেই অনীহা ছিল৷ করোনার কারণে যেখানে জরুরি দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছে এমন পরিস্থিতে গির্জা খোলা রাখার বিষয়টি মানতে পারছিলেন না তারা৷
প্রথমে অনেকটা অনমনীয় থাকলেও শেষ পর্যন্ত সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন পাদ্রিরা। সব বিধিনিষেধ মেনে ধর্মাচার পালনের আহ্বান জানিয়েছেন তারা৷
অনুসারীদেরকে নিজ নিজ এলাকার করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ধর্মীয় আচার পালনের আহ্বান জানান জার্মান বিশপ কাউন্সিলের মুখপাত্র মাঠিয়াস কপ৷ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, গির্জাগুলোকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
আরআর/কেএম (কেএনএ)