1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে বড়দিনের প্রার্থনায় করোনার প্রভাব

২৪ ডিসেম্বর ২০২০

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলাফেরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে জার্মান সরকার৷ বড়দিনের আগে এমন সব পদক্ষেপ প্রভাব ফেলেছ ধর্মীয় উৎসবটি উদযাপনে৷

https://p.dw.com/p/3nC2B
জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহর
জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরছবি: Michael Probst/AP Photo/picture alliance

শহরের ভবনগুলোতে নেই ক্রিসমাস ট্রির আলোকছটা৷ তীব্র ঠাণ্ডায় জমে থাকা ডিসেম্বরের এ সময়ে শপিংমলগুলোতে থাকে উপচে পড়া ভিড়৷ তবে এ বছর করোনার কারণে অতি প্রয়োজনীয় দোকাটপাট ছাড়া সব বন্ধ রাখা হয়েছে৷ ইউরোপে বড়দিনের এমন দশা অন্যান্য বছরের তুলনায় বড্ড বেমানান৷ 

দু'সপ্তাহ আগে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল দেশটির রাজ্যপ্রধানদের সাথে বৈঠকের পর করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেন৷ বলা হয়, গীর্জা, মসজিদ বা সিনাগগে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ধর্মীয় আচার পালন করতে হবে৷ আর স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় প্রার্থনা সংগীতের উপর৷

নিষেধাজ্ঞার ফলে এ বছর আর প্রার্থনা সংগীতের আয়োজন করতে পারছে না গির্জা কর্তৃপক্ষ৷ ঐতিহাসিক আচার অনুযায়ী, বড়দিনে এ ধর্মের অনুসারীরা গির্জায় জড়ো হয়ে যিশুর উদ্দেশ্যে ও পার্থিব শান্তি কামনায় প্রার্থনা করে থাকেন৷ এ সময় সমবেতভাবে নানা ধরনের ধর্মীয় গান গাওয়ারও রেওয়াজ আছে৷

এদিকে রাজ্যপ্রধানরা নিজ নিজ এলাকায় করোনা পরিস্থিত বিবেচনায় নিয়ে আরোপ করেছে শক্ত বিধি৷ দেশটির বাভারিয়া রজ্যে জারি করা হয়েছে সান্ধ্যকালীন কারফিউ৷

এমন নিষেধাজ্ঞার ফলে এ রাজ্যের গির্জাগুলো রাতের প্রার্থনার আয়োজন করতে পারছে না৷

বড়দিনে গির্জা চালু রাখার বিষয়ে অনেকের মনেই অনীহা ছিল৷ করোনার কারণে যেখানে জরুরি দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছে এমন পরিস্থিতে গির্জা খোলা রাখার বিষয়টি মানতে পারছিলেন না তারা৷

প্রথমে অনেকটা অনমনীয় থাকলেও শেষ পর্যন্ত সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন পাদ্রিরা। সব বিধিনিষেধ মেনে ধর্মাচার পালনের আহ্বান জানিয়েছেন তারা৷

অনুসারীদেরকে নিজ নিজ এলাকার করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ধর্মীয় আচার পালনের আহ্বান জানান জার্মান বিশপ কাউন্সিলের মুখপাত্র মাঠিয়াস কপ৷ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, গির্জাগুলোকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷

আরআর/কেএম (কেএনএ)