1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দ্বিতীয় বৃহত্তম রেডিও টেলিস্কোপ

অ্যান্ডি বুডিমান / এসি২৫ জানুয়ারি ২০১৪

জার্মানির এফেল্সব্যার্গ-এ রয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রেডিও টেলিস্কোপ৷ সেখানেই আছে ‘লোফার গার্ডেন’, সেটি এক অন্য ধরনের টেলিস্কোপের সমষ্টি৷ এই দুই মিলিয়ে জোতির্বিজ্ঞানীরা পাল্সার, কোয়াসার ইত্যাদির খোঁজ করেন৷

https://p.dw.com/p/1AwhQ
DW TV Aufnahme beim Radioteleskop Effelsberg
ছবি: DW/F. Essen

জার্মানির বাড ম্যুনস্টার-আইফেল এলাকার এফেল্সব্যার্গ-এ এই সুবিশাল ডিশ অ্যান্টেনাটি লাগানো আছে৷ এটি হল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রেডিও টেলিস্কোপ৷

রমেশ কারুপ্পুস্বামী-র জন্ম ভারতে৷ মাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর অ্যাস্ট্রোনমি-তে জোতির্বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করেন৷ প্রতিষ্ঠানটিতে এফেল্সব্যার্গ-এর যান্ত্রিক রেডিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করে জ্যোতির্মণ্ডলের বিভিন্ন বস্তু পর্যবেক্ষণ করা হয়৷ রমেশ বলেন, ‘‘আমরা বাইরে যা দেখছি, সেটি হল এফেল্সব্যার্গ-এর একশো মিটার ব্যাসের রেডিও টেলিস্কোপ৷ এফেল্সব্যার্গ হল বন শহরের কাছে, আর এটি হল বিশ্বের বৃহত্তম ‘স্টিয়ারেবল' টেলিস্কোপগুলির অন্যতম, যা দিয়ে আমরা জ্যোতির্মণ্ডলের নানা বস্তু পর্যবেক্ষণ করতে পারি৷''

জ্যোতির্বিজ্ঞানী হিসেবে কুরুপ্পুস্বামী পাল্সার অথবা নিউট্রন স্টার-এর মতো বস্তু পর্যবেক্ষণ করতে চান: এগুলি হল সূর্যের চাইতে বড় আকারের বিভিন্ন ধ্বংসপ্রাপ্ত নক্ষত্রের অবশেষ৷

এফেল্সব্যার্গ-এর ১০০ মিটার ব্যাসের রেডিও টেলিস্কোপটি দিয়ে পাল্সার-দের খোঁজ পাওয়া যায়৷ পাল্সার-রা ১০০ গিগাহার্ত্স পর্যন্ত ফ্রিকোয়েন্সির বেতার তরঙ্গ বিকিরণ করে৷ রমেশ বলেন, ‘‘এটা জোতির্মণ্ডলের বিভিন্ন মহাজাগতিক বস্তু পর্যবেক্ষণ করতে খুব সাহায্য করে৷ পাল্সার পর্যবেক্ষণ করে আমরা জানতে পারি, মাধ্যাকর্ষণ কীভাবে ‘স্পেসটাইমের' আকার বদলে দেয়৷''

তিনশো' মিটার দূরে বাগানের মাটিতে এক পর্যায় অমনি-ডাইরেকশনাল অ্যান্টেনা বসানো আছে৷ এটি হল একটি ‘লোফার' বাগান৷ লোফার, এলওএফএআর, অর্থাৎ লো-ফ্রিকোয়েন্সি অ্যারে হলো একটি নতুন ধরনের টেলিস্কোপ, যা তার অ্যান্টেনাগুলিতে সংগৃহীত ইলেকট্রনিক ডাটা-কে ডিজিটাল ডাটায় পরিণত করতে পারে৷ এফেল্সব্যার্গ-এর লোফার গার্ডেন হল ইউরোপের ১১টি দেশে ছড়ানো একটি মহাশূন্য পর্যবেক্ষণ প্রণালীর অঙ্গ৷

অন্যান্য টেলিস্কোপের সঙ্গে লোফার-এর তফাৎ এই যে, লোফার বহু ছোট ছোট, সমান্তরাল অ্যান্টেনার সমষ্টি৷ ছোট কেবেল যুক্ত এই খাড়া অ্যান্টেনাগুলো অতি নিম্ন ফ্রিকোয়েন্সির সন্ধান দিতে সক্ষম৷ রমেশ বলেন, ‘‘এই টেলিস্কোপের কোনো সচল যন্ত্রাংশ নেই৷ যার অর্থ, এটা কোনোদিকে ঘোরানোর কাজটা পুরোপুরি ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে করা হয়৷ সিগনাল ধরা, প্রসেসিং, সব কিছুই চলে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে৷ ফলে এই টেলিস্কোপ তৈরির খরচ খুবই কম৷''

বিরল নক্ষত্রপুঞ্জের ঝাঁক এবং কোয়াসার খুঁজতে জোতির্বিজ্ঞানীদের সাহায্য করতে এই লোফার সৃষ্টি করা হয়েছিল৷ আইটি-টেলিস্কোপ হওয়ার কারণে লোফার যুগপৎ আকাশের বিভিন্ন অংশে নজর রাখতে পারে৷ অনেকটা জায়গা জুড়ে সাজানো অ্যান্টেনাগুলোর পাঠানো ডিজিটাইজড সিগনাল জুড়ে যে রেডিও চিত্র সৃষ্টি হয়, তা বেশ স্পষ্ট ও নিখুঁত৷

লোফার টেলিস্কোপ এবং যান্ত্রিক রেডিও টেলিস্কোপ মিলে এফেল্সব্যার্গ কেন্দ্রকে একটি প্রশস্ত দৃষ্টিকোণ দিয়েছে৷ রমেশ বলেন, ‘‘আমরা জানতে চাই, সূর্য কোথা থেকে এসেছে, পৃথিবী কোথা থেকে এসেছে৷ পৃথিবীর আয়ু কতদিন, সূর্য কতদিন থাকবে৷ সূর্য কি অনন্তকাল থাকবে? এগুলো খুবই দার্শনিক প্রশ্ন৷ আমরা জোতির্বিজ্ঞান ব্যবহার করে এ সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে পারি৷''

শহর থেকে দূরে গ্রামাঞ্চলে অবস্থিত হওয়ার ফলে এফেল্সব্যার্গ এই রেডিও টেলিস্কোপের জন্য আদর্শ৷ চতুর্দিকের সবুজ পাহাড় আবার মানুষের পাঠানো ইলেকট্রনিক সিগনাল থেকে এফেল্সব্যার্গকে বাঁচিয়ে রাখে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য