জার্মানিতে বাংলাদেশি শরণার্থীকে নিয়ে পাঠকরা যা বললেন | পাঠক ভাবনা | DW | 10.10.2018
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক মতামত

জার্মানিতে বাংলাদেশি শরণার্থীকে নিয়ে পাঠকরা যা বললেন

জার্মানিতে আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশি একজন শরণার্থীর জীবনযাত্রা নিয়ে ডয়চে ভেলে তৈরি করেছে একটি ভিডিও চিত্র৷ সে ভিডিও নিয়ে পাঠকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে আমাদের  ফেসবুক পাতায়৷

বক্তিয়ার মাহমুদের ধারণা, ‘‘এরা (আশ্রয়প্রার্থীরা) নিজের স্বার্থে বিদেশের মাটিতে মাতৃভূমি সম্পর্কে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়৷ জার্মানি যেতে ১০ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারে, কিন্তু দেশের মাটিতে কিছু করতে পারে না৷ তাইউরোপে শরণার্থী সংকটরা বিদেশে গিয়ে দেশকে অসম্মান করছেন৷''

তবে মো. মনিরুজ্জামান খন্দকার মনে করেন, জার্মানিতে আসা বাংলাদেশি শরণার্থী ‘‘বিদেশ থেকে দেশে রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশের উপকার করছেন৷'' তিনি মজা করে লিখেছেন, ‘‘এই ছেলেগুলোই যখন দেশে আসবে, তখন মানুষ মেয়ে বিয়ে দেয়ার জন্য চেষ্টা করবেন৷''

জার্মানিতে বাংলাদেশি শরণার্থীদের মাসিক আয় কত?

 ‘‘আপনাদের কী ধারনা? বাংলাদেশ বসবাসের অযোগ্য? এখানে গৃহযুদ্ধ চলছে? এখানকার রাজনৈতিক নিপীড়ন মানবাধিকারের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে যে দেশবাসীকে দেশ ছেড়ে পালাতে হচ্ছে? এখানে সভ্যতা বিলুপ্ত? ধর্মীয় মূল্যবোধ, পারিবারিক বন্ধন হারিয়ে আমরা অসভ্য?'' এ প্রশ্ন বক্তিয়ার মাহমুদের৷

অন্যদিকে বেলাল হোসেন কেন,কিভাবে  রাজনৈতিক আশ্রয় নিলেন, তার মামলার বিষয় বস্তু কী ছিল, এসব কথা জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন৷ পাঠক, ওসমান গনি প্রায় পাঁচ বছর ধরে জার্মানিতে আছেন৷ তিনি বক্তিয়ার মাহমুদ এবং পাঠক দেওয়ান রনির বক্তব্যের উত্তরে লিখেছেন, ‘‘আমার তো মনে হয় দেশে কোনো ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে৷ সেখানে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা চরম জটিল৷'' উদাহরণ হিসেবে তিনি লিখেছেন, ২০০৭-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমার্সের সিট হলো ৭৮০ আর প্রতিযোগী ৩৬০০০৷ পাঠক তুষার খান অবশ্য ওসমান গনির কথা  মানতে রাজি নন৷ তুষার খানের মতে, বাংলাদেশে ইনভেস্ট করাকে  মানুষ রিস্ক মনে করে৷

 

জার্মানিতে বাংলাদেশের আলীর অনিশ্চিত জীবন

ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় সুদীপ ঘোষের প্রশ্ন, ‘‘বাংলাদেশে তো কোনো গৃহযুদ্ধ বা অন্য দেশের সাথে যুদ্ধ বিগ্রহ চলছে না৷ তাহলে জার্মানিতে থাকা বাংলাদেশিদের শরণার্থী কেন বলা হচ্ছে?''

সুদীপ ঘোষকে  দেয়া ডয়চে ভেলের উত্তর, ‘‘বাংলাদেশিরা যেসব কারণে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন, সেসবের মধ্যে ধর্মীয় উগ্রতা, রাজনৈতিক আদর্শগত কারণে সরকারের নিপীড়ন, সংখ্যালঘু নির্যাতন, সমকামিতা রয়েছে৷ বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশে এসব কারণে মানুষ নির্যাতনের শিকার হওয়ার উদাহরণ অনেক৷ ফলে, রাজনৈতিক আশ্রয়ও অনেকে পেয়ে যান৷''

সংকলন: নুরুনাহার সাত্তার

সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্তী

নির্বাচিত প্রতিবেদন