1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানি: বর্ণবাদ ও বঞ্চনার শিকার, মুসলিম, কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয়রা

৯ নভেম্বর ২০২৩

কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয় ও মুসলিমদের জার্মানিতে বর্ণবাদী আচরণ বা বঞ্চনার মুখে পড়তে হয়, জানাচ্ছে সমীক্ষা।

https://p.dw.com/p/4Yao7
জার্মানিতে বর্ণবাদ ও বঞ্চনা প্রবলভাবেই আছে বলে সমীক্ষা রিপোর্ট জানিয়েছে।
জার্মানিতে বর্ণবাদ ও বঞ্চনা প্রবলভাবেই আছে বলে সমীক্ষা রিপোর্ট জানিয়েছে। ছবি: Christoph Soeder/dpa/picture alliance

যাদের গায়ের রং কালো বা বাদামি, যে মুসলিম মেয়েরা মাথায় হিজাব পরেন, যারা ভালো করে বা একেবারেই জার্মান বলতে পারেন না, তারা জার্মানিতে হামেশাই অপমানকর দৃষ্টি বা সরাসরি অপমানের মুখে পড়েন।

জার্মান সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেশন অ্যান্ড মাইগ্রেশনের(ডেজিম) রিপোর্ট ন্যাশনাল ডিসক্রিমিনেশন অ্যান্ড রেসিজিম মনিটর থেকে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, জার্মানিতে বসবাসকারী ৫৪ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ অন্তত একবার এই আচরণের শিকার হয়েছেন। কৃষ্ণাঙ্গ পাঁচজন নারীর মধ্যে একজন জানিয়েছেন, তারা বছরে একাধিকবার হুমকির মুখে পড়েছেন। ১৪ শতাংশ মুসলিম নারী ও ১৩ শতাংশ এশীয় নারীরও একই অবস্থা হয়েছে।

ডেজিমের ডিরেক্টর জানিয়েছেন, বারবার এই অভিজ্ঞতার প্রভাব স্বাস্থ্যের উপর পড়ছে, রাষ্ট্রীয় সংস্থার উপর থেকে আস্থা কমে যাচ্ছে, গণতন্ত্রের বিপদ বাড়ছে।

৪১ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ ও ৩৯ শতাংশ মুসলিম পুরুষ পুলিশের কাছ থেকে বর্ণবাদী বঞ্চনা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এমনকী স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও তারা বঞ্চনার শিকার হন। তাদের চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে অসুবিধা হয়। তাদের সমস্যাকে উপযুক্ত গুরুত্ব দেয়া হয় না। কৃষ্ণাঙ্গ, মুসলিম ও এশীয়রা জানিয়েছেন, তাদের চিকিৎসায় দেরি করা হয় বা এড়িয়ে যাওয়া হয় অথবা তাদের ঘন ঘন চিকিৎসক বদল করে দেয়া হয়।

ডেজিমের সহ-ডিরেক্টর ফ্র্যাংক ক্য়াল্টার জানিয়েছেন, ''এই আচরণ ও বঞ্চনার মুখে পড়ে অনেকেই অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। অনেকের অ্যংজাইটি ডিসঅর্ডার হয়।''

রাজনীতিকদের কাছে তিনি বলেছেন, এই সব মানুষকে সাহায্য করা দরকার এবং একটি গণতান্ত্রিক, স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তোলা উচিত। চিকিৎসার ক্ষেত্রে গায়ের রং বা পদবি কখনো বিচার্য হতে পারে না। চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসাকর্মীদের জন্য বর্ণবাদ-বিরোধী প্রশিক্ষণ খুবই জরুরি। সরকারি অন্য কর্মীদেরও এই প্রশিক্ষণ জরুরি বলে তিনি জানিয়েছেন।

শ্বেতাঙ্গ নারীদের অভিযোগ

শ্বেতাঙ্গ নারীরাও বঞ্চনার অভিযোগ করেছেন। তারা যৌন নিগ্রহের কথা বলেছেন।

পরিবার বিষয়ক মন্ত্রী লিসা পস ডিডব্লিউকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, ''বঞ্চনা ও বর্ণবাদী আচরণের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট করে ব্যবস্থা নিতে গেলে আরো নিয়মিত ও বিজ্ঞানসম্মত তথ্য দরকার।''

মার্সেল ফুরস্টেনাউ/জিএইচ