জার্মানিতে প্রশিক্ষণ শেষে ভারতে ফিরলো ছয় ফুটবলার
৪ সেপ্টেম্বর ২০০৮অন্য তিনজন হলো- বর্ধমানের জিয়ারত্ আলি মন্ডল আর শুভম সরকার, এবং গোয়ার জোয়েল ফার্নান্ডেজ৷ জার্মানিতে প্রশিক্ষণ পেয়ে ছয়জনই অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত৷ যদিও, ট্রেনিং-এ যে হারভাঙ্গা খাটুনি ছিল - তা স্বীকার করলো প্রত্যেকেই৷
জানা গেল, বায়ার্ন মিউনিখের অ্যাকাডেমিতে প্রতিদিন দুবেলা কঠোর অনুশীলন হতো৷ ব্রেকফাস্টের পর, সকাল সাড়ে ন'টা থেকে শুরু করে দুপুর বারোটা পর্যন্ত চলতো অনুশীলন৷ তারপর লাঞ্চ, কিছুক্ষণ বিশ্রাম৷ কিন্তু, দুপুর আড়াইটে বাজতে না বাজতেই আবার শুরু হতো প্র্যাকটিস৷ চলতো বিকেল চারটে পর্যন্ত, পাঁচ-পাঁচটি মাঠে৷
সকালের সেশনে মূলত হতো শরীর চর্চা আর শোখানো হতো বলের উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর নানা টেকনিক৷ অন্যদিকে, সেকেন্ড হাফে থাকতো হেডিং, পাসিং ইত্যাদিতে দক্ষতা আনার কারিগরি৷ প্র্যাকটিকাল ছাড়াও থিওরি ক্লাসও করতে হতো তাদের৷ প্রশিক্ষণ দিতেন অলিভার আন্দ্রে, রুমেনিগের মতো বিখ্যাত ফুটবলাররা৷ তাই এদের কাছে প্র্যাকটিস করার অভিজ্ঞতার যে তুলনা হয় না - সেটা তো বলাই বাহুল্য৷
ভারতীয় এই ছয়জন ছাড়া, সাতদিনের ঐ ট্রেনিং-এ অংশ নিয়েছিল ভিন্ন ভিন্ন দেশ থেকে আসা ৭৫ জন শিক্ষার্থী৷ তাদের প্রত্যেকেরই বয়েস কিন্তু ১৬ বছরের কম৷ অনুশীলনের সময় তাদের দেখাশোনা করার জন্য সব সময় উপস্থিত থাকতেন দুজন চিকিত্সক এবং একজন ফিজিওথ্যারাপিস্ট৷
সত্যি, সমবয়সী বিদেশী শিক্ষার্থীরা স্কিল ও স্ট্যামিনায় কতো এগিয়ে৷ কতো দ্রুত পাস দিতে পারে তারা৷ আর অযথা বল হোল্ডও করে না৷ অবাক ভারতীয় তরুণরা৷ এছাড়া, জার্মানির মাঠ, পিচ, আবহাওয়া - এক কথায় ছিল দারুণ৷ আর তার উপর বায়ার্ন মিউনিখের সিনিয়র দলের ফুটবলাররা অনুশীলন করতেন পাশের মাঠেই৷ তাদের দেখার সৌভাগ্য - সে কি আর যে সে ব্যাপার?