জার্মানিতে পুলিশের ওপর হামলা
করোনাকালে জার্মানিতে যুবকদের তাণ্ডব এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা বাড়ছে। প্রথমে স্টুটগার্ট, তারপর ফ্রাঙ্কফুর্টে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। দুই শহরেই পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে। আক্রমণকারী যুবকরা মূলত অভিবাসী।
স্টুটগার্টের হাঙ্গামা
কয়েকশ যুবক গিয়ে দোকান ভাঙচুর করে। জিনিস লুঠ করে। রাস্তায় ফেলে। তারপর পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। দোকানের ভাঙা কাচে ভরে যায় রাস্তা।
ফ্রাঙ্কফুর্টেও সংঘর্ষ
ফ্রাঙ্কফুর্টের ছবিটাও আলাদা ছিল না। এখানে যুবকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোতল ছোড়ে। আশপাশের লোকেরা যুবকদের থামানো দূরের কথা, বরং তাদের উৎসাহিত করছিলেন।
ফ্রান্সের সঙ্গে তুলনা
স্টুটগার্ট ও ফ্রাঙ্কফুর্টে যা হয়েছে তার সঙ্গে ফ্রান্সের তুলনা করা হচ্ছে। ফ্রান্সের শহরতলিতেও একই ঘটনা ঘটেছে। জার্মানির মতো সেখানেও অভিবাসী যুবকরা দাঙ্গা করেছেন, পুলিশকে আক্রমণ করেছেন। জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ থেকে সহিংসতা হয়েছে।
করোনাকালে কেন
বিতর্কটা জার্মানিতে শুরু হয়ে গিয়েছে। করেনাকালের কড়াকড়ি, ঘরবন্দি থাকতে বাধ্য হওয়া, ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা ও হতাশার বহিঃপ্রকাশ কি এই হামলা? কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, করোনার সময়ে হতাশা আসা স্বাভাবিক। কিন্তু শুধু সে জন্যই এই হাঙ্গামা সেটা বলা অতি সরলীকরণ হবে। কারা হাঙ্গামা করছে, কেন করছে, সেটাও বুঝতে হবে।
কেন অভিবাসীরা
জার্মানি ও ফ্রান্সে হাঙ্গামা ও পুলিশকে আক্রমণের সঙ্গে জড়িত মূলত অভিবাসীরা। যে প্রশ্নটা উঠছে, তা হলো, এটা কি নিছক আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা, না কি সমস্যাটা অভিবাসীদের? নানা কারণে কি তাঁদের মধ্যে সহিংসতার প্রবণতা বাড়ছে? বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে একমত নন।