1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ছোট দলের নির্বাচনের খরচ জোগায় রাষ্ট্র

৪ ডিসেম্বর ২০১৮

নির্বাচনি প্রচারণার জন্য অনেক টাকার দরকার হয়৷ পোস্টার, টিভি বিজ্ঞাপন আর মিটিং-মিছিল আয়োজনের খরচ জোগাড় করা বড় দলগুলোর জন্য সহজ৷ কিন্তু ছোট দলগুলো যাতে পিছিয়ে না থাকে, সেজন্য সহায়তা করে জার্মান রাষ্ট্র৷

https://p.dw.com/p/39Nis
Deutschland Andrea Nahles, Bundesvorsitzende der SPD in Berlin
ছবি: Getty Images/AFP/J. MacDougall

জার্মানির বড় রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর জন্য নানাভাবে অর্থ পেয়ে থাকে৷ বিভিন্ন দলের সদস্যরা দল থেকে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করেন, যা বাধ্যতামূলক৷ পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেও আলাদাভাবে দান গ্রহণের সুযোগ আছে৷ তবে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কিংবা লবি গ্রুপের এই দান গ্রহণ করতে গিয়ে অনেক সময় রাজনৈতিক দলগুলো চালাকির আশ্রয় গ্রহণ করে৷

জার্মান আইন অনুযায়ী, একটি দলকে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ৫০ হাজার ইউরোর বেশি অর্থ দান করলে সেটা ঘোষণা করতে হয়৷ অর্থাৎ, দলটি কার কাছ থেকে একবারে এই টাকা পেয়েছে, সেটা জনগণ যাতে জানতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হয়৷ কিন্তু এই আইনে একটা ফাঁক রয়ে গেছে৷ সেটা হচ্ছে, পঞ্চাশ হাজার ইউরো বা তার নীচে যদি দান করা হয়, তাহলে সেটা আলাদাভাবে জানাতে হয় না৷

নিজেদের নাম-পরিচয় গোপন রাখতে জার্মানির অনেক প্রতিষ্ঠান তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে একবারে টাকা না দিয়ে সারা বছর জুড়ে টাকা দেয়৷ এভাবে একটি প্রতিষ্ঠান তার পছন্দের দলকে বড় অংকের টাকা নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর জন্য দিতে পারে৷ সুবিধা হচ্ছে, এতে করে প্রতিষ্ঠানটির রাজনৈতিক আনুগত্যের ব্যাপারটি সাধারণ মানুষ জানতে পারে না৷

এর একটি নেতিবাচক দিক আছে৷ আর তা হচ্ছে, একটি দল এভাবে অর্থ সংগ্রহ করে ক্ষমতায় যাওয়ার পর যেসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সহায়তা নিয়েছে, তাদের জন্য সুবিধাজনক কাজ করার একটা দায়বদ্ধতা তৈরি হয়৷ সাধারণ ভোটারদের সেটা না জানিয়ে করা হলে তা এক ধরনের প্রতারণার মধ্যেই পড়ে৷

ফলে, জার্মানির এই আইন পরিবর্তনের দাবিও উঠেছে কোনো কোনো মহল থেকে৷ তাদের কথা হচ্ছে, আইনটা এমনভাবে করা হোক যাতে কোনো প্রতিষ্ঠান একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো দলকে সর্বোচ্চ পঞ্চাশ হাজার ইউরোর বেশি দিতে না পারে৷ পাশাপাশি কেউ যাতে বেনামে কোনো দলকে অর্থ দিতে না পারে, সেই দাবিও উঠেছে৷ বর্তমানে একবারে পাঁচশ' ইউরো অবধি নিজের নাম পরিচয় গোপন রেখে যে কোনো দলকে দান করা যায়৷

Arafatul Islam Kommentarbild App
আরাফাতুল ইসলাম, ডয়চে ভেলে

জার্মানির রাজনৈতিক দলগুলোর আয়-ব্যয়ের পরিসংখ্যান ঘাটলে দেখা যায়, গত বছর জাতীয় নির্বাচনের সময় সবচেয়ে বেশি অনুদান পেয়েছিল চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দল খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দল সিডিইউ এবং দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ব্যবসায়ীবান্ধব দল এফডিপি৷ তাদের তুলনায় সবুজ দল এবং শ্রমিকবান্ধব এসপিডি'র অনুদানের পরিমান অনেক কম ছিল৷

তবে নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর ক্ষেত্রে যাতে শুধু বড় দলগুলোই এগিয়ে না থাকে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখে জার্মান রাষ্ট্র৷ এক্ষেত্রে কিছুটা সমতা আনতে ছোট দলগুলোকে রাষ্ট্রীয় অনুদান দেয়া হয়৷ ছোট দলগুলো, এমনকি যাদের সংসদে কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই, তারাও এই অনুদান পেতে পারে৷ তবে সেই দলকে আগের নির্বাচনে নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোট পেতে হবে৷ সেই ভোটের হিসেবে দলটিকে অনুদান দেয়া হয়, যা দলটির নিজস্ব আয়ের চেয়ে বেশি হতে পারবে না৷

জার্মানিতে ছোট দলগুলোকে সহায়তার এই উদ্যোগ ইতিবাচক হলেও বড় দলগুলোর নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর অর্থের উৎস সম্পর্কে আরো স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি৷ তাহলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উপর লবিস্টদের প্রভাব কমানোর পথ সুগম হবে৷

আরাফাতুল ইসলামের লেখাটি কেমন লাগলো জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য