1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে চাকরির জন্য যেভাবে আবেদন করবেন

৪ আগস্ট ২০১৯

কোনো কাজের জন্য আবেদন করতে প্রত্যেক দেশের মতো জার্মানিরও নিজস্ব ও স্বতন্ত্র কিছু নিয়ম আছে৷ অনেক কোম্পানিই এই প্রক্রিয়া সহজ করার চেষ্টা করছে৷

https://p.dw.com/p/3NJHB
Bewerbungsunterlagen anfertigen
ছবি: picture alliance/dpa/S. Marks

তবে এখনও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগ সিভির সঙ্গে একটি ছবি দেখতে পছন্দ করে।

যে কোনো চাকরির আবেদন করাই জটিলতার৷ কিন্তু জার্মানিতে বিষয়টি আরো বেশি জটিল৷

একটা সময় ছিল যখন আবেদনকারীকে একটি বড় খামের ভেতর সিভির সঙ্গে পাসপার্ট আকারের ছবি জুড়ে দিয়ে পোস্ট করতে হত৷ এখন আর সেই অবস্থা নেই, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনলাইনে আবেদন নেয়া হয়৷

কীভাবে চাকরি খুঁজবেন

চাকরি খোঁজার অনেকগুলো পদ্ধতি আছে৷ এরমধ্যে ইউরোপের জব পোর্টাল এবং বিভিন্ন কোম্পানির ওয়েবসাইেট খোঁজ করা যেতে পারে৷ কারণ এসব সাইট সব সময় হালনাগাদ থাকে৷ এছাড়া সংবাদপত্র, চাকরি মেলা, নিয়োগকারী সংস্থা এবং পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের মাধ্যমে খবর পাওয়া যায়৷

গতানুগতিক এসব পদ্ধতির বাইরে কিছু কোম্পানি নিজ থেকে অনলাইন প্ল্যার্টফর্ম এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে মেধাবীদের সন্ধান করে৷

ক্যারিয়ারভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্ম এক্সইং-এর নিয়োগ বোর্ডের প্রধান ক্যাটরিন হুগোর মতে, সবারই একটি হালনাগাদ প্রোফাইল 'অপরিহার্য', কারণ সংস্থাগুলি সক্রিয়ভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগ্যকর্মীদের খোঁজ করে৷

যে কাজ পারবেন তা পেতে আবেদন করুন

চাকরির বিজ্ঞপ্তি ভালোমত পড়ে যে কাজ আপনি করতে পারবেন সে ধরনের পদে আবেদন করুন৷ বিদ্যালয় পাসের সনদ নিয়ে সিইও পদে আবেদন করবেন না৷ তবে একইসঙ্গে নিজেকে কম দামে বিক্রিও করা যাবে না৷ কোম্পানিগুলো সাধারণত একেকজন আবেদনকারীকে পাঁচ মিনিট করে সময় দেয়৷ ওই সময়ের মধ্যে যে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন তার সঙ্গে আপনার পড়াশোনার কোনো মিল খুঁজে না পেলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অযোগ্য বলে চিহ্নত করে৷

অসম্পূর্ণ আবেদন পাঠানো যাবে না

চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে যেসব তথ্যউপাত্ত চাওয়া হয়েছে তার সব ঠিকমত আবেদনের সঙ্গে দেয়া হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত হতে হবে৷ কাগজপত্র এমনভাবে রাখুন যেন অল্প সময়ে তা পাঠানো যায়৷ একটি কভার লেটার, সিভি, রেফারেন্স লেটার ছাড়াও সকল সনদপত্রের পিডিএফ কপি পাঠাতে হবে৷

বেনামে আবেদন পাঠাবেন না

'যার জন্য প্রযোজ্য', 'ডিয়ার স্যার', 'ডিয়ার ম্যাডাম' এসব আবেদনপত্রে লেখা যাবে না৷  যে প্রতিষ্ঠানে আবেদন করছেন সেখানকার প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তার নাম সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনে সময় নিন৷ কারণ এটা ওই কোম্পানিতে আপনার চাকরি পাওয়ার আগ্রহের বিষয়টিকে তুলে ধরবে৷ এজন্য কোম্পানির ওয়েবসাইট, লিংকডইন বা এক্সিংয়ের মতো নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর সহায়তা নিতে পারেন৷ আপনার আবেদনপত্রে কোম্পানির ঠিকানা ঠিকমত লিখেছেন কি না তাও নিশ্চিত করুন।

বানান চেকার ব্যবহার করুন

আবেদনপত্রে আপনি যা লিখছেন তা যেন নির্ভুল হয় তা নিশ্চিত করতে হবে৷ বানানের পাশাপাশি লাইন স্পেসিংয়েও যেন কোনো ভুল না থাকে তা পরীক্ষার জন্য বানান চেকার ব্যবহার করুন৷

অন্যের সহায়তা নিন

আপনি জার্মান নাগরিক না হলে বা জার্মান ভাষা জানা না থাকলে অন্য কারো সহায়তা নিন৷ আপনি আবেদনপত্রের সঙ্গে যা পাঠাচ্ছেন তা ঠিক আছে কি না যাচাই করিয়ে নিন৷ ইংরেজিতে সিভি লিখলে জার্মান ভাষায় কাভার লেটার লেখা উচিত৷

বেমানান কিছু যেন না থাকে

জীবনবৃত্তান্ত একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে লিখুন৷ কারণ লেখার ফ্রন্ট, স্পেসিং, হেডিং এসব বিষয় নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ প্রথমেই দেখেন৷ সিভিতে যা উল্লেখ করছেন তা সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে৷ আবেদন খুব ছোটা না লিখে একটু বড় করে লেখাই ভালো৷ একসঙ্গে ৩০টির বেশি পিডিএফ দেবেন না৷

অনলাইনে কী পোস্ট করছেন নজর রাখুন

অনেকে মাতাল হওয়া ছবি অনলাইনে পোস্ট করেন, কিন্তু কল্পনা করুন আপনার ভবিষ্যতের কোনো বস তা দেখেছেন৷ আপনার নেটওয়ার্কিং প্রোফাইলগুলো  হালনাগাদ রাখুন যাতে তার মধ্য দিয়ে একটি ইতিবাচক চিত্র প্রতিফলিত হয় এবং আপনি যে চাকরির সন্ধান করছেন তার জন্য আপনিই উপযুক্ত প্রার্থী তা বোঝা যায়৷

অন্যান্য

সিভিতে ছবির ব্যবহার জার্মান ঐতিহ্য হলেও এখন আর তা নেই৷ তবে মানবসম্পদ কর্মকর্তারা সিভিতে একটি ছবি দেখতে পছন্দ করেন কারণ তারা মনে করেন এতে তাদের হাতে সব কিছুই থাকছে৷

সব সময় সঠিক তথ্য দিতে হবে৷

টিমোথি রুকস/এসআই