1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে কাজ করতে এসে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন

৫ আগস্ট ২০২০

পশ্চিম বলকান অঞ্চলের দেশগুলো থেকে অন্তত ২৫ হাজার মানুষ প্রতিবছর জার্মানিতে কাজ করতে আসেন৷ এসে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন অনেকে৷

https://p.dw.com/p/3gSw0
ছবি: Privat

পশ্চিম বলকান অঞ্চলের দেশ আলবেনিয়া, বসনিয়া, কসভো, মন্টেনেগ্রো, উত্তর মেসিডোনিয়া এবং সার্বিয়ার নাগরিকদের ২০১৬ সাল থেকে বিশেষ বিবেচনায় কাজের অনুমতি দিয়ে আসছে জার্মান সরকার৷ এই দেশগুলোর নাগরিকরা সংশ্লিষ্ট কাজে পর্যাপ্ত যোগ্যতা না থাকলেও জার্মানিতে এসে কাজ করতে পারেন৷ এই সুযোগ ২০২৩ সাল পর্যন্ত থাকবে৷ এমন কর্মী এবং ‘যোগ্যতাসম্পন্ন’ কর্মী মিলিয়ে প্রতি বছর পশ্চিম বলকান অঞ্চলের এই দেশগুলো থেকে অন্তত ২৫ হাজার মানুষ জার্মানিতে আসেন কাজ করতে৷

জার্মানিতেএকা এলেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিবারকেও নিয়ে আসতে চান সবাই৷ আর সেখানেই বাধে বিপত্তি৷ কাজের অনুমতি বা সুযোগ যত তাড়াতাড়ি মেলে, ‘ফ্যামিলি রিইউনিয়ন’, অর্থাৎ ‘পরিবারের পুনর্মিলন’-এর ভিসামেলে তার চেয়ে অনেক বেশি দেরিতে৷ কারো কারো ক্ষেত্রে সময়টা কয়েক বছরও লেগে যায়৷

এর ফলে জার্মানিতে কাজ করতে আসা হাজারো মানুষ এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে দেখা দিয়েছে হতাশা আর ক্ষোভ৷ 

একজন তাই ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘ভাবছি লটারির টিকিট কেটে ভাগ্য বদলানোর চেষ্টা করবো৷ লটারি জেতা আর ফ্যামিলি রিইউনিয়ন ভিসা পাওয়া তো প্রায় সমান ব্যাপার!’’

সেলিকো সার্বিয়া থেকে ড্রাইভারের চাকরি নিয়ে জার্মানিতে এসেছেন ২০১৯ সালের শুরুর দিকে৷ বাভারিয়া রাজ্যের হফ শহরে চাকরি পেয়েই বড় একটা অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়েছিলেন৷ সন্তানদের নিয়ে স্ত্রী মিলিচা সিভোকিচ খুব তাড়াতাড়ি চলে আসবেন, এ আশা করেই বড় বাসা নিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু মিলিচা এখনো ভিসা পাননি৷গত জুনে ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘ভয়ঙ্কর খারাপ লাগছে৷ মনে হয় যেন জার্মানি নয়, আমরা কোনো পাগলের বাড়ির দরজায় অপেক্ষা করছি৷’’

বাবার সঙ্গে বসবাস শুরুর অপেক্ষায় থাকতে থাকতে সেলিকোর সাত বছরের ছেলের মানসিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে৷ স্থানীয় এক মনস্তত্ববিদ বলেছেন, ছেলের মতো সেলিকোর চার বছরের মেয়েও পড়েছে সমস্যায়৷ বাবা দীর্ঘ দিন ধরে দূরে থাকায় মেয়েটি মানসিক চাপে ভুগছে আর এ কারণে প্রস্রাবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে সে৷ 

এর চেয়েও খারাপ দৃষ্টান্ত আছে৷ ডয়চে ভেলে এমন কিছু ভিসার আবেদন পেয়েছে, যাতে দেখা যায়, বাবা এবং মা দুজনই কাজ করতে এসেছেন জার্মানিতে৷ তাদের সন্তানরা রয়ে গেছে দাদী বা নানীর কাছে৷

ভিসা দিতে এমন দেরির কথা জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছে৷ তবে করোনা সংকটের ডামাডোলে সারা বিশ্বই যখন প্রায় স্থবির, তখন এ সমস্যার দ্রুত সমাধানের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন না গ্যোকে আবুলুত৷ জার্মানির বাম দলের এই মুখপাত্র বলেন, ‘‘এসব (পশ্চিম বলকান) দেশের যে পরিবারগুলো জার্মানিতে বসবাস করছে, তারা নিজেদের দেশের অনেক পরিবারের চেয়ে অনেক ভালো আছে৷ তবে সব অভিবাসী কর্মী পরিবারের ক্ষেত্রে বাস্তবতা এমন নয়৷’’

এসিবি/ কেএম

১৮ জুনের ছবিঘরটি দেখুন...