1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ!

২৫ জুলাই ২০২০

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এরিমধ্যে জার্মানিতে হানা দিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির স্যাক্সোনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মিচায়েল ক্রেটশমার৷ নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটির রোগনিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান আরকেআই৷

https://p.dw.com/p/3ftzA
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এরিমধ্যে জার্মানিতে হানা দিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির স্যাক্সোনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মিচায়েল ক্রেটশমার৷ নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটির রোগনিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান আরকেআই৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Sohn

সংবাদপত্র রাইনিশে পোস্টকে মিচায়েল ক্রেটশমার বলেন, ‘‘(জার্মানিতে) করোনা ভাইরাস এরিমধ্যেদ্বিতীয় আঘাত হেনেছে৷ প্রতিদিনই আক্রান্ত বাড়ছে৷ আমরা প্রতিদিনই সংক্রমণের নতুন ক্লাস্টার পাচ্ছি যা উচ্চ সংখ্যায় বৃদ্ধি পেতে পারে৷’’

রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটের (আরকেআই) পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত এক সপ্তাহে জার্মানিতে করোনায় দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০০৷  সংস্থার একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা ডিপিএ-কে বলেছেন, ‘‘এই পরিবর্তন খবই শঙ্কার৷ আরকেআই খুবই নিবিড়ভাবে তা পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে৷’’ সংক্রমণের আরো ভয়াবহতা ঠেকানো অনিবার্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷

শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জার্মানিতে ৭৮১ জন নতুন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন৷ আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ৮১৫৷ রোগী প্রতি সংক্রমণের হার আগে যেখানে এক ভাগের কম ছিল তা বেড়ে হয়েছে এক দশমিক শূন্য আটজন৷ অর্থাৎ একজন করোনা আক্রান্ত গড়ে একজনের বেশিজনকে সংক্রমিত করছেন৷ এই হার একের নিচে রাখার ব্যাপারে জোর দিয়ে আসছে আরকেআই৷

জার্মানির ১৬টি রাজ্যে অবশ্য আক্রান্তের সংখ্যা একইভাবে বাড়ছে না৷ নতুন শনাক্তদের ৬০ ভাগের বেশি নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়া এবং বাডেন ভুর্টেমব্যার্গে৷ জার্মানির ১৬ টি রাজ্যের সরকার স্বাধীনভাবে তাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো নিতে পারে৷ এ কারণে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হলেও তা সামাল দেয়ার বিষয়ে আশাবাদী মিচায়েল ক্রেটশমার৷ তিনি মনে করেন ফেডারেল ব্যবস্থার কারণে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থার তুলনায় জার্মানি দেশ হিসেবে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে৷ 

শুক্রবার পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় মোট শনাক্ত হয়েছেন প্রায় দুই লাখ পাঁচ হাজার জন, যাদের প্রায় এক লাখ ৯০ হাজার জনই সুস্থ হয়েছেন৷ মৃত্যুবরণ করেছেন নয় হাজার ১১৮ জন৷

এফএস/জেডএ (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান