জার্মানিতে ইস্টারের শান্তি মিছিল
ইস্টারের শান্তি মিছিলের প্রথার সূচনা ব্রিটেনে, কিন্তু বছর দু’য়েকের মধ্যেই তা জার্মানিতে পৌঁছে যায় – সে আজ প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা৷ আজও এই খ্রিষ্টীয় পরবের একটি বার্তা যদি শান্তি হয়, তবে অপরটি সম্পীতি ও সহিষ্ণুতা৷
স্টুটগার্ট: ‘শান্তির জন্য চাই আন্দোলন’
যুদ্ধ, যাবতীয় রকমের সমরসজ্জা ও বিশেষ করে পারমাণবিক অস্ত্রসজ্জার বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন স্টুটগার্টের ইস্টার শান্তি মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা৷ ১৯৫৮-য় লন্ডনের একটি পরমাণুবিরোধী পদযাত্রা থেকে যার শুরু, ১৯৬০ সালেই তা জার্মানিতে পৌঁছে যায়৷ আজও জার্মানিতে শান্তি মিছিলের ঐতিহ্য বজায় আছে৷
বার্লিন: আর যুদ্ধ নয়
২০১৮ সালের ইস্টার সপ্তাহান্তে জার্মানির প্রায় ১০০টি শহরে শান্তি মিছিলের আয়োজন করা হয়৷ আন্দোলনকারীরা চান শান্তি, অস্ত্রবর্জন, অস্ত্র রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা বা পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ৷ তবে বিশ্বের বিশেষ বিশেষ ঘটনাবলীর দিকেও নজর দেওয়া হতে পারে, যেমন ইয়েমেনের যুদ্ধ৷ প্রায় ২,০০০ মানুষ বার্লিনের ‘ইস্টার মার্চ’-এ যোগ দেন বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন৷
গ্রোনাউ: কার্নিভালের মতো সাজগোজ, তবে বার্তা গুরুগম্ভীর
বেলজিয়ামের সীমান্তে অবস্থিত গ্রোনাউ শহরে যেন কোলনের কার্নিভাল আর গ্রিনপিসের গাঁটছড়া পড়েছে৷ ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখোশ খুললেই বেরিয়ে আসছে মৃত্যুর কঙ্কাল! শীতল যুদ্ধের আমলে আশির দশকে জার্মানিতে তিন লাখের বেশি মানুষ ইস্টার মার্চে অংশগ্রহণ করতেন৷ আজও ইস্টার মার্চে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বাদ যায় না৷
মিউনিখ: ‘পারমাণবিক সমরাস্ত্র নিষিদ্ধ করো’
২০১৮ সালে মিউনিখের ইস্টার শান্তি মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের বার্তা যেন আশির দশকের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে৷ নিয়মিত মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়, এমন সব দেশে জার্মানির অস্ত্র রপ্তানি নিয়েও সমালোচনা ধ্বনিত হয়৷ মিউনিখের শান্তি মিছিল শুরু হয় গির্জায় প্রার্থনাসভার মাধ্যমে৷
ডুইসবুর্গ: বাচ্চা কাঁখে, বেলুন হাতে
জার্মানির রুর শিল্পাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র ডুইসবুর্গ শহরে বেশ কয়েকশ’ মানুষ এবারের শান্তি মিছিলে অংশগ্রহণ করেছেন৷ কোলে বাচ্চা ও হাতে শান্তির পারাবত আঁকা সবুজ বেলুন যেন হিপি আমল এবং জার্মানিতে পরিবেশবাদী আন্দোলনের সূচনার কথা কথা স্মরণ করিয়ে দেয়৷
ব্রেমেন: রংধনু রঙে আঁকা
জার্মানির উত্তরের এই বন্দরনগরীটিতে ২০১৮ সালের ইস্টার শান্তি মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ছিল ২০১৭ সালের তুলনায় দ্বিগুণ৷ আয়োজকরা বলেছেন ১,০০০ আন্দোলনকারীর কথা, পুলিশ দেখেছে সাকুল্যে ৩০০৷ তবে শান্তি, সম্প্রীতি ও সহিষ্ণুতার প্রতীক রংধনু রঙের পতাকার কোনো কমতি ছিল না৷