1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে ইসলামিক সংগঠনকে অর্থায়ন বন্ধ

৩১ আগস্ট ২০১৮

জার্মানিভিত্তিক তুর্কি-ইসলামিক সংগঠন ডিটিব-এর বিভিন্ন জঙ্গিবাদবিরোধী এবং শরণার্থীবান্ধব প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে জার্মান সরকার৷ সম্প্রতি বেশ কয়েকটি কেলেঙ্কারির ঘটনার কারণে বিপাকে রয়েছে সংগঠনটি৷

https://p.dw.com/p/346x1
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg

সরকার বৃহস্পতিবার ঘোষণা দিয়েছে যে, জার্মানির সবচেয়ে বড় ইসলামিক সংগঠন ডিটিব পরিচালিত কোনো প্রকল্পে আর অর্থায়ন করা হবে না৷ চলতি বছরের শুরু থেকেই অবশ্য সংগঠনটির কোনো প্রকল্প অনুমোদন করেনি কেন্দ্রীয় সরকার৷ এমনকি অতীতে অনুমোদিত আগামী বছরের বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থায়নও স্থগিত করা হয়েছে৷

ডিটিব-এর যেসব প্রকল্পে সরকার অর্থায়ন করেছে, সেসবের অধিকাংশই জঙ্গিবাদবিরোধী এবং শরণার্থীবান্ধব৷ ২০১২ সাল থেকে সংগঠনটিকে ছয় মিলিয়ন ইউরোর মতো প্রদান করেছে সরকার৷ জার্মানির পরিবার মন্ত্রণালয় গতবছরই ডিটিব-এর প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছে৷ 

কোলনভিত্তিক সংগঠনটি জার্মানিতে নয়শ' মসজিদ পরিচালনা করছে, যেগুলো আবার তুরস্কের ধর্মবিষয়ক দপ্তরের সঙ্গেও সম্পৃক্ত৷ এসব মসজিদে ইমাম সরবরাহ করে তুরস্ক৷ দেশটিতে ২০১৬ সালের ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পর প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানের পক্ষে জার্মানিতে কাজ করার অভিযোগ ওঠে ডিটিব-এর বিরুদ্ধে৷ এমনকি কিছু ইমামের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগও ওঠে যে, তাঁরা এর্দোয়ান সরকারের পক্ষে গুলান মুভমেন্টের সঙ্গে সম্পৃক্তদের উপর গোয়েন্দাগিরি করেছেন৷

আরেক ঘটনায় তুর্কি ইমামরা সিরিয়ার আফ্রিনে কুর্দদের বিরুদ্ধে তুরস্কের সেনাবাহিনী যাতে জয়লাভ করে সেজন্য প্রার্থনা করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে৷ ডিটিব-এর এসব কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দলের এক মুখপাত্র ক্রিস্টোফ ডি ভ্রাইস বলেন, ‘‘যারা জাতীয়তাবাদের পক্ষে এবং খ্রিষ্টান, ইহুদি ও নাস্তিকদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালায় কিংবা তুর্কি সরকারের পক্ষে গোয়েন্দাগিরি করে, তারা ধর্মীয় উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জার্মানির পাশে থাকতে পারে না৷''

উল্লেখ্য, ডিটিব-এর সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজ্য সরকারও নিজস্ব মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারে৷ তবে, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি জার্মান রাজ্য ডিটিব-এর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে নিয়েছে৷ এবার, কেন্দ্রীয় সরকারও সংগঠনটির পাশ থেকে সরে দাঁড়ানোয় সংগঠনটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে৷

এআই/এসিবি (ডিপিএ, ইপিডি, কেএনএ)