1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অভিবাসন কমলে বাড়ির সংকট দূর হতে পারে

২৩ জুলাই ২০১৯

জার্মানিতে এখন প্রতিবছর গড়ে চার লাখের বেশি মানুষ অভিবাসী হচ্ছে৷ এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে পর্যাপ্ত ফ্ল্যাট তৈরি হচ্ছে না৷ ফলে বাড়ি ভাড়া বাড়ছে৷ তবে কয়েক বছর পর অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে৷

https://p.dw.com/p/3MbDE
Andrang bei Wohnungsbesichtigung
ছবি: imago/Friedrich Stark

জার্মানির ইকোনমিক ইনস্টিটিউট, আইডাব্লিউ সোমবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ এতে বলা হচ্ছে, গত তিন বছরে প্রতি বছর গড়ে দুই লাখ ৮৩ হাজার নতুন ফ্ল্যাট তৈরি হয়েছে, যা চাহিদার মাত্র ৮০ শতাংশ৷ চাহিদা পূরণ করতে চলতি বছর ও ২০২০ সালে গড়ে তিন লাখ ৪০ হাজার ফ্ল্যাট তৈরি করতে হবে বলে মনে করছেন আইডাব্লিউর প্রতিবেদনের লেখকরা৷

তবে তাঁদের ধারনা, জার্মানিতে এখন যে পরিমাণ  অভিবাসী আসছে  সেটা সবসময় এক থাকবে না৷ ফলে সেই সময় বাড়ির সংকট নাও থাকতে পারে৷ আইডাব্লিউ মনে করছে, ২০২৫ সাল নাগাদ ফ্ল্যাটের চাহিদা প্রতিবছর দুই লাখ ৬০ হাজারে নেমে যেতে পারে৷ ২০৩০ সাল নাগাদ সেই সংখ্যা আরও কমে দুই লাখ ৪৬ হাজার হতে পারে৷

আইডাব্লিউ বলছে, জার্মানির বড় শহরগুলোতে ফ্ল্যাটের সংকট বেশি৷ কোলন আর স্টুটগার্টে সমস্যাটি সবচেয়ে বড়৷ ঐ দুই শহরে গত তিন বছরে ফ্ল্যাটের চাহিদার মাত্র অর্ধেক নির্মিত হয়েছে৷ 

রাজধানী বার্লিন, মিউনিখ ও ফ্রাঙ্কফুর্টের মতো শহরগুলোতেও চাহিদার তুলনায় কম ফ্ল্যাট তৈরি হয়েছ৷ তবে সেখানকার সমস্যা কোলন আর স্টুটগার্টের মতো নয়৷

কারণ কী?

রেগেন্সবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল রিয়েল এস্টেট বিজনেস স্কুলের সায়েন্টিফিক ডাইরেক্টর টোবিয়াস ইয়স্ট বলছেন, ভবন তৈরির মতো পর্যাপ্ত জমির অভাব রয়েছে৷ বড় শহরগুলোর এখন যে কাঠামো সেখানে প্রতিবছর গড়ে তিন লাখ ফ্ল্যাট তৈরি সম্ভব নয়৷ তাই ছোট শহরগুলোতে সরকারি অফিস বসিয়ে সেখানকার গুরুত্ব বাড়াতে হবে, যেন মানুষজন সেখানে বসবাসে আগ্রহী হয়৷ এছাড়া ঐ শহরগুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থাও সহজ করতে হবে বলে মনে করছেন ইয়স্ট৷

এছাড়া নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিতে ধীরগতি, কঠোর নীতিমালা, দক্ষ নির্মাণ শ্রমিকের অভাব, নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধি - এগুলোও বাড়ি সংকটের কারণ বলে মনে করেন তিনি৷

কেয়ার্স্টেন ক্নিপ/জেডএইচ