1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নগদ অর্থ সরাতে চায় ইরান

১০ জুলাই ২০১৮

জার্মানির হামবুর্গ থেকে কয়েকশ' মিলিয়ন ইউরো নগদ অর্থ তেহরানে নিয়ে যেতে চাচ্ছে ইরান সরকার৷ তবে এই প্রক্রিয়ায় অবৈধ কোনো কিছু ঘটছে কিনা তা তদন্ত করে দেখছে জার্মান কর্তৃপক্ষ৷

https://p.dw.com/p/317hc
Symbolbild Haushalt
ছবি: picture alliance/dpa

যে তিনশ' মিলিয়ন ইউরো ইরান সরকার নিয়ে যেতে চাচ্ছে, তা বর্তমানে ইউরোপিয়ান-ইরান ট্রেড ব্যাংকে রক্ষিত আছে৷ ব্যাংকটির মালিক ইরান রাষ্ট্র হলেও সেটি জার্মানির হামবুর্গে নিবন্ধিত৷ জার্মানির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইরানের এই ব্যাংকটির অনুমোদন দিয়েছে৷

হঠাৎ করে ইরানের এই অর্থ নগদ সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্তের কারণ অবশ্য সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা৷ সম্প্রতি  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে সরে গেছে এবংদেশটির উপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা আগস্ট মাস থেকে কার্যকর হবে৷ নতুন এই নিষেধাজ্ঞার কারণে বিদেশে থাকা ইরানের সম্পদ জব্দ করা হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে তিনশ' মিলিয়ন ইউরো নিজের দেশে নিয়ে যেতে চাচ্ছে দেশটি৷

তবে ইরান যদি এই অর্থ নগদ সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কড়া প্রতিক্রিয়া দেখাবে৷ জার্মানিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড গ্রেনেল ইতোমধ্যে জনপ্রিয় জার্মান পত্রিকা ‘বিল্ড'-কে জানিয়েছেন যে, সম্ভাব্য এই ইউরো ট্র্যান্সফার নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং জার্মান কর্তৃপক্ষকে ইরানে পরিকল্পনায় বাধা দিতে আহ্বান জানিয়েছেন৷

EU unites against Trump

বিল্ড পত্রিকা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, মূলত যেসব ইরানি আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ করেন এবং যাঁদের নগদ বিদেশি মুদ্রা প্রয়োজন, তাঁদেরকে সহায়তার উদ্দেশ্যে তিনশ' মিলিয়ন ইউরো নিজ দেশে নিয়ে যেতে চাচ্ছে ইরান৷

এদিকে জার্মান অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইরান যদি টাকাগুলো সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়, তাহলে তা হবে জার্মানির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নগদ অর্থ স্থানান্তর৷ এর আগে জার্মানি থেকে অন্য কোনো দেশে এত টাকা নগদ সরানো হয়নি৷

জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নগদ অর্থ এভাবে সরাতে গিয়ে ইরান ইতোমধ্যে আরোপিত কোনো নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করছে কিনা এবং পুরো প্রক্রিয়ায় কোনো কিছু অবৈধভাবে হচ্ছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে৷

তবে গোটা ব্যাপারটা নিয়ে একটু অস্বস্তিতেই আছে জার্মানি, কেননা,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে সরে এলেও ইউরোপ আসেনি৷এখন ইরানের অর্থ স্থানান্তরের প্রক্রিয়ায় বাধা দিলে তা হবে মার্কিন অবস্থানকে সমর্থন করার শামিল, যা পরমাণু চুক্তিকে আরো দুর্বল করে দিতে পারে৷

এআই/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)