1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানদের করের টাকা সিরিয়ার আসাদের পকেটে?

১৮ ডিসেম্বর ২০১৮

গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচতে ২০১৪ সাল থেকে অনেক সিরীয় নাগরিক জার্মানিতে পালিয়ে এসেছেন৷ তাঁদের অনেকে ‘সাবসিডিয়ারি প্রোটেকশন’ নিয়ে জার্মানিতে বাস করছেন৷ অর্থাৎ, তাঁরা এখনো ‘শরণার্থী’ হিসেবে বিবেচিত হননি৷

https://p.dw.com/p/3AIaD
Syrischer Pass
ছবি: picture alliance/dpa/M. Kappeler

জার্মানির আইন বলছে, যাঁরা বিভিন্ন রকমের রাজনৈতিক আশ্রয় বা সেই ধরনের সুরক্ষা নিয়ে জার্মানিতে আছেন, তাঁদের পাসপোর্টসহ পরিচিতিমূলক অন্যান্য নথিপত্র জোগাড় করে কর্তৃপক্ষকে দিতে হয়৷

আর এসব নথিপত্রের জন্য সিরীয়দের জার্মানিতে অবস্থিত সিরিয়ার দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোতে যেতে হয়৷

শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা অ্যাক্টিভিস্টরা জার্মানির এই নীতির সমালোচনা করেছেন৷ ‘‘এটা একটা কেলেঙ্কারি,'' ডয়চে ভেলেকে বলেন ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ জার্মান-সিরিয়ান অ্যাসিস্টেন্স গ্রুপস' এর ইয়েন্স-মার্টিন রোডে৷

তিনি বলেন, ‘ ‘জার্মানিতে প্রায় সাত লক্ষ সিরীয় আছেন, যাঁদের বেশিরভাগই সিরিয়ার সরকারের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে এসেছেন৷ সিরিয়ার দূতাবাস থেকে তাঁদের পাসপোর্ট সংগ্রহ করে আনতে বলা তাঁদের কাছে নানা কারণে অসহনীয় এক ব্যাপার৷''

এসব কারণের মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্যটি হচ্ছে, আসাদ সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হওয়ার আশঙ্কা৷ কারণ, জার্মানিতে পালিয়ে আসা সিরীয়দের অনেকআত্মীয়স্বজন সিরিয়ায় আছেন৷

পাসপোর্ট নিতে গিয়েসিরীয়দের তাঁদের ঠিকানা উল্লেখ করতে হওয়ায়আসাদ সরকার সহজেই তাঁদের আত্মীয়স্বজনদের তথ্য পেয়ে যাচ্ছে৷ পরে তাঁদের গ্রেপ্তার, ব্ল্যাকমেল করা কিংবা মেরে ফেলা হচ্ছে বলে অনলাইন ম্যাগাজিন ‘ফান'-এ লিখেছেন এক সিরীয় নাগরিক আরেফ হামজা৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘যাঁদের পরিবার এখনো সিরিয়ায় আছেন এবং তাঁদের আবাসিক ঠিকানা যদি সিরিয়ার গোয়েন্দা পুলিশের কাছে অজানা থাকে, তাহলে তাঁদের সিরিয়ার দূতাবাসে যাওয়া বিপজ্জনক৷''

অ্যাক্টিভিস্ট ইয়েন্স-মার্টিন রোডে ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, বার্লিনের সিরীয় দূতাবাস সিরিয়ার গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে থাকে৷

বিপুল অর্থ আসাদের পকেটে?

জার্মানির সবুজ দলের শরণার্থী বিষয়ক মুখপাত্র লুইস আমট্সব্যার্গ ডয়চে ভেলেকে জানান, চলতি বছরের শুরু থেকে সিরিয়ার দূতাবাস পাসপোর্ট ইস্যু করতে ২৫৫ ইউরো (মেয়াদ দুই কিংবা ছয় বছর যেটিই হোক না কেন) করে নিচ্ছে৷ ইউরোপের দেশগুলোর তুলনায় এটি অনেক বেশি বলে জানান তিনি৷

তবে অ্যাক্টিভিস্ট ইয়েন্স-মার্টিন রোডে বলছেন, একটি পাসপোর্টের জন্য সিরিয়ার দূতাবাস ৮০০ ইউরো পর্যন্ত নিচ্ছে৷ এছাড়া ঘুসও দিতে হয় বলে জানান তিনি৷ ‘‘আপনি যখন বিবেচনা করে দেখেন যে, জার্মানিতে সাত লক্ষ সিরীয় আছেন, যাঁদের মধ্যে চার লক্ষ জন আছেন সাবসিডিয়ারি প্রোটেকশন নিয়ে এবং তাঁদের প্রত্যেককে প্রতি দুই বছরের জন্য ২৫৫ ইউরো করে দিতে হচ্ছে, তাহলে আপনি হিসেব করে দেখুন, কী পরিমাণ টাকা নিয়ে আপনি কথা বলছেন৷''

তিনি বলেন, অনেক শরণার্থীর একমাত্র আয়ের উৎস হচ্ছে সরকার থেকে পাওয়া অর্থ সহায়তা৷ অর্থাৎ ‘‘জার্মান করদাতাদের অর্থ সরাসরি আসাদের দূতাবাসগুলো পাচ্ছে,'' মনে করছেন অ্যাক্টিভিস্ট ইয়েন্স-মার্টিন রোডে৷

সবুজ দলের মুখপাত্র লুইস আমট্সব্যার্গ জার্মান এক সংবাদপত্রকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এই রীতিকে ‘‘একটি সন্ত্রাসবাদী সরকারকে অর্থায়ন'-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন৷

জেফারসন চেজ/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য