1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান-সৌদি কূটনৈতিক বিরোধের অবসান

২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

প্রায় এক বছর ধরে চলা কূটনৈতিক বিরোধ মেটাতে সম্মত হয়েছে জার্মানি ও সৌদি আরব৷ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে এক বৈঠকের পর এ ঘোষণা দেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস৷

https://p.dw.com/p/35WJV
USA Deutschland und Saudi-Arabien legen diplomatische Krise am Rande der UN-Vollversammlung bei | Heiko Maas und Adel bin Ahmed Al-Jubeir
ছবি: imago/photothek/F. Gaertner

মাস বলেন, ২০১৭ সালে যে ‘ভুল বোঝাবুঝির' কারণে সৌদি আরব বার্লিন থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করেছিল, জার্মানি সেজন্য দুঃখিত৷

বৈঠকের পর সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-যুবাইরকে পাশে নিয়ে মাস বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আমাদের সম্পর্কে একটা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল৷ তবে সৌদি আরবের সাথে আমাদের সম্পর্ক বেশ শক্তিশালী ও কৌশলগত, আমরা এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি৷''

তিনি বলেন, ‘‘জার্মানি ও কিংডমের (সৌদি আরব) মধ্যে এ ধরনের ভুল বোঝাবুঝি যাতে না ঘটে, সেজন্য আমাদের যোগাযোগ ও কর্মপন্থা আরো স্পষ্ট হওয়া উচিত ছিল৷''

লেবানন ও মধ্যপ্রাচ্য বিতর্ক

গত বছরের নভেম্বরে সাবেক জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েল সৌদি আরবের বিরুদ্ধে লেবাননের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলেন৷ এরপরই বার্লিন ও রিয়াদের মধ্যে সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়৷

সেসময় লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি সৌদি আরবে অবস্থান করছিলেন৷ সেখান থেকেই তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন৷ অভিযোগ ওঠে, সৌদি আরব হারিরিকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে৷ এই অভিযোগ অবশ্য স্বভাবতই অস্বীকার করে দেশটি৷ তবে কিছুদিন পর পদত্যাগের ঘোষণা ফিরিয়ে নিয়ে লেবাননে ফেরেন হারিরি৷

মধ্যপ্রাচ্যে ‘অ্যাডভেঞ্চারিজম' বা ‘হঠকারিকতা' চলছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন গাব্রিয়েল৷ বিশেষ করে যখন সৌদি ও আমিরাতের নেতৃত্বাধীন জোট ইরান-ঘেঁষা হুতি বিদ্রোহী দমনে ইয়েমেনে হামলা চালাচ্ছে, তখন এমন মন্তব্যকে নিজেদের পররাষ্ট্রনীতির ওপর আক্রমণ বলে অভিযোগ তোলে সৌদি আরব৷

গাব্রিয়েলের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ রিয়াদ তাৎক্ষণিকভাবে বার্লিন থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে, রিয়াদে জার্মান দূতকে স্বীকৃতি দিতেও অস্বীকার করে৷

এরপর থেকেসৌদি আরবের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে আসছে জার্মানি৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল নিজে এ বিষয়ে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে টেলিফোনে কথাও বলেছেন৷

ইয়েমেন সংকটে জড়িত কোনো দেশের কাছে অস্ত্র বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নিলেও সম্পর্ক উন্নয়নের অংশ হিসেবে সম্প্রতি সৌদি আরবে বড় আকারের অস্ত্র সরবরাহের অনুমতি দিয়েছে জার্মানি৷

জার্মানির এমন অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন আল-যুবেইর৷ হাইকো মাসকে সৌদি আরব সফরের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন তিনি৷

এডিকে/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান