1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানতে ২০০ কট্টরপন্থি সেনা!

২৩ অক্টোবর ২০১৭

জার্মানির সেনাবাহিনীতে ডানপন্থিদের প্রতি সহানুভূতির বিষয়টির সমালোচনা করে এক সংসদ সদস্য হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, চিহ্নিত উগ্রপন্থিরা তাদের সামরিক জ্ঞান নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে৷

https://p.dw.com/p/2mLQv
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Charisius

জার্মানির মিলিটারি কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (এমএডি) ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর ২০০ সৈনিককে ডানপন্থি উগ্রবাদি হিসেবে চিহ্নিত করেছে৷ সোমবারে এক স্থানীয় দৈনিক মিটেলডয়চে সাইটুং-এ প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়, প্রতিরক্ষা দপ্তর এক তদন্ত সাপেক্ষে এ সংখ্যা প্রকাশ করেছে৷ অভ্যন্তরীন নীতিনির্ধারনী বিষয়ক মুখপাত্র ইরিন মিহালিচের মতে, সেনাবাহিনীতে বছরে ২০ জনের মতো ডানপন্থি উগ্রবাদির যোগদান দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ৷ এসব সেনা তাদের সামরিক প্রশিক্ষন নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যবহার করতে পারে৷

এমএডি প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টোফ গ্রাম এ মাসের শুরুতে সংসদে সংখ্যাটি  ৮ জন বলে জানিয়েছিলেন, যার সাথে সম্প্রতি প্রকাশিত এ তথ্যের ব্যবধান বিস্তর৷ মিহালিচের মতে, এ অসামঞ্জস্যতা পরিস্থিতি বিশ্লেষণে অনিশ্চয়তা তৈরি করে৷ তিনি বলেন, এ বিষয়ে কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের উচিত সংসদকে নিয়মিত জানানো, বিশেষ করে যখন তা নীতিনির্ধারনের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ৷ 

এ বছরের এপ্রিলে লেফটেন্যান্ট ফ্রাঙ্কো এ. নামের এক জার্মান সেনাকর্মকর্তার সিরীয় শরণার্থী সেজে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনার বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর ওপর ডানপন্থিদের বিষয়ে চাপ দেয়া হয়৷ সেপ্টেম্বরে জার্মান সেনাবাহিনীতে ২৮৬ জন উগ্রবাদী থাকার কথা বলা হলেও এমএডির এ মাসের হিসাব অনুযায়ী, এ সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে৷ যদিও এ সংখ্যা কমে যাওয়ার পিছনের কারণ সম্পর্কে এমএডি কিছুই জানায়নি৷ তবে সাম্প্রতিক তথ্যের সূত্র ধরে সেনাবাহিনীতে ডানপন্থিদের কার্যক্রম বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে কর্তৃপক্ষ৷

বার্লিনে ডানপন্থিদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

প্রায় ছয় দশক পরে জার্মানির সংসদে প্রবেশ করতে যাচ্ছে ডানপন্থি দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি বা এএফডি৷ অন্যদিকে, উগ্রপন্থিদের ঘৃনা ছড়ানো বরদাস্ত না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রোববার  বার্লিনে বিক্ষোভ করেছেন ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ৷ বিক্ষোভকারীদের মতে, মাত্র ১৩ শতাংশ ভোটার এএফডির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে, তার মানে ভোটারদের মধ্যে বেশিরভাগ অংশই তাদের পক্ষে ভোট দেয়নি এবং এ আপত্তির জায়গাও শোনা উচিত৷ অভিবাসী এবং ইসলামবিরোধী হিসেবে পরিচিত এএফডির শরণার্থীদের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব এবং ‘জার্মানিকে ইসলামকরণ করা হচ্ছে’, এমন মন্তব্যের রেশ ধরে বার্লিনে এ বিক্ষোভ হয়৷

আরএন/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)