1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান পুলিশের চ্যাটে হিটলারের ছবি

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

জার্মান পুলিশের বর্ণবাদী চেহারা উন্মুক্ত হলো। সাসপেন্ড ২৯ জন পুলিশ কর্মী। চ্যাটে গ্যাস চেম্বারের কাল্পনিক ছবিও শেয়ার করা হয়েছে।

https://p.dw.com/p/3iaZR
ছবি: Franz Perc/picture-alliance

তাঁদের কাজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। সমস্ত ধর্ম-বর্ণের মানুষকে সমান ভাবে নিরাপত্তা দেওয়া। কিন্তু জার্মানির পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ উঠল। তাঁদের ফোনের চ্যাট বক্সে পাওয়া গেল অ্যাডলফ হিটলারের ছবি। গ্যাস চেম্বারে শরণার্থীকে শাস্তি দেওয়ার ছবি। এই ঘটনার জেরে মোট ২৯ জন পুলিশ কর্মীকে আপাতত সাসপেন্ড করেছে জার্মান পুলিশ কর্তৃপক্ষ। এর পর তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্প্রতি জার্মান পুলিশ এসেন এবং নর্থ রাইন ওয়েস্টফেলিয়ার বেশ কিছু পুলিশকর্মীর বাড়ি এবং ব্যুরোয় তল্লাশি চালায়। ২৯ জন বিতর্কিত পুলিশকর্মীকে সেখান থেকে চিহ্নিত করা হয়। ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তাঁদের ব্যবহার করা পাঁচটি গ্রুপ চ্যাট বার করা হয়। সেখানেই দেখা যায়, বর্ণবাদী কার্যকলাপ করছে পুলিশ। নিজেদের মধ্যে হিটলারের ছবি শেয়ার করছে। গ্যাস চেম্বারে শরণার্থীকে মারার কাল্পনিক ছবি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। জার্মানিতে এ ধরনের কাজ করা অপরাধ। পুলিশের বক্তব্য, যাঁরা ওই গ্রুপে আলোচনায় অংশ নেননি তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কেন তাঁরা এ ধরনের ঘটনার কথা উচ্চপদস্থ অফিসারদের কাছে রিপোর্ট করেননি তা জানতে চাওয়া হচ্ছে।

আপাতত ২৯ জনের মধ্যে ১৪ জনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জার্মান পুলিশ কর্তৃপক্ষ। তার মধ্যে ১১ জনের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল আইনে মামলা করা হবে। তবে বাকিরা আপাতত সাসপেন্ড থাকবেন বলেই জানানো হয়েছে।

পুলিশ কি বর্ণবাদী হয়ে পড়ছে? গত কয়েক মাস ধরে নতুন করে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে গোটা পৃথিবীতেই। অ্যামেরিকায় একের পর এক কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যা করেছে পুলিশ। যা নিয়ে তীব্র আন্দোলন শুরু হয়েছে। জার্মানিতেও একাধিকবার পুলিশের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ উঠেছে। শরণার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যবহার নিয়েও একাধিক অভিযোগ উঠেছে। তবে এই প্রথম হাতেনাতে পুলিশের বর্ণবাদী চরিত্র ধরা পড়ল।

বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, শরণার্থী সমস্যা জার্মানিতে অতি দক্ষিণপন্থীদের সমর্থন আগের চেয়ে অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। এএফডি-র মতো দল গত কয়েক বছরে বিপুল ভোট পেয়েছে। নিও নাৎসি আদর্শও ইদানীং আলোচনার বিষয়। পুলিশের মধ্যেও তার প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। পুলিশের একটি অংশ অতি দক্ষিণপন্থীদের মতামতকে সমর্থন করছে বলে মনে করা হচ্ছিল। সেই আশঙ্কা থেকেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এবং হাতেনাতে প্রমাণ পায়।

জার্মান পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পুলিশ যাতে নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করে সে দিকে আরও বেশি নজর দেওয়া হবে। প্রশাসনে বর্ণবাদের কোনও স্থান নেই।

এসজি/জিএইচ (ডিপিএ)