জার্মান চ্যান্সেলরদের আলোড়ন তোলা ব্যঙ্গচিত্র
চিত্রশিল্পীদের তীক্ষ্ণ পেন্সিলের ঘায়ে মাঝেমাঝেই কাবু হয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলররা৷ তাঁদের আঁকা কিছু আলোচিত ব্যঙ্গচিত্র নিয়ে একটি প্রদর্শনী হচ্ছে বনে৷ চলুন সেগুলো দেখে নেয়া যাক৷
আঙ্গেলা ম্যার্কেল (২০০৫ থেকে এখন অবধি)
উপরের ব্যঙ্গচিত্রটিতে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মার্কেলের অমনোযোগী আচরণের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে৷ মাঝেমাঝেই তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয় যে, তিনি গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ের দিকে সময়মতো মনোযোগ দেন না৷ বনের একটি মিউজিয়ামে ‘ট্যুস - দ্য চ্যান্সেলরস ইন কার্টুনস’ শিরোনামে একট প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে যা আগামী বছরের দশ মে অবধি চলবে৷
গেরহার্ড শ্রোয়েডার (১৯৯৮-২০০৫)
ম্যার্কেলের পূর্বসুরী গেরহার্ড শ্রোয়েডার জার্মান ইতিহাসে ‘গণমাধ্যম চ্যান্সেলর’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন৷ জনপ্রিয় বিনোদন বিষয়ক অনুষ্ঠানে তাঁকে যেমন দেখা যেতো, তেমনি জার্মান ট্যাবলয়েড বিল্ড পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি নীতিগত পরিবর্তন বিষয়ক নানা ঘোষণা দিতেন৷
হেলমুট কোল (১৯৮২-১৯৯৮)
শুধুমাত্র কার্টুনই নয়, টেলিভিশনে প্রচারিত বিদ্রুপাত্মক নানা অনুষ্ঠানও প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে৷ নব্বইয়ের দশকে জার্মান টেলিভিশনে হেলমুট কোলকে নিয়ে প্রচারিত একটি বিদ্রুপাত্মক শো-র স্ক্রিনশট এটি৷
হেলমুট স্মিড্ট (১৯৭৪-১৯৮২)
জার্মানির বন্দরনগরী হামবুর্গের বাসিন্দা হেলম্যুট স্মিড্টকে কার্টুনে প্রায়ই সমুদ্রগামী এমন এক নাবিকের বেশে উপস্থাপন করা হতো যিনি বিপজ্জনক বিভিন্ন সমুদ্রপথে নিজের দেশকে কৌশলে নিরাপদে চালিয়ে নিচ্ছেন৷ শিল্পীদের কাছে জার্মানির পঞ্চম চ্যান্সেলর একজন কর্মঠ মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন৷ শক্তভাবে নিজের মতামত তুলে ধরতেন তিনি৷
ভিলি ব্রান্ট
চ্যান্সেলর হিসেবে ভিলি ব্রান্টের মেয়াদের শেষ দিকে এই ব্যঙ্গচিত্রটি প্রকাশ হয়েছিল৷ সেসময় তিনি দৃশ্যত নিত্যদিনের রাজনৈতিক বিষয়াদি থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন৷ তাঁর এই নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে ডেয়ার স্পিগেল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করলে মনোঃক্ষুন্ন হন তিনি৷
ক্যুর্ট গেয়র্গ কিসিংগার (১৯৬৬-১৯৬৯)
নিজের নাৎসি অতীতের জন্য প্রায়ই সমালোচিত হতেন জার্মান চ্যান্সেলর ক্যুর্ট গেয়র্গ কিসিংগার৷ জার্মানির তৃতীয় চ্যান্সেলরকে নিয়ে আঁকা এই ব্যঙ্গচিত্রটি ষাটের দশকে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল৷
ল্যুডভিগ এরহার্ড (১৯৬৩-১৯৬৬)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ঘটনাবহুল বছরগুলোতে জার্মানির চ্যান্সেলর ছিলেন ল্যুডভিগ এরহার্ড৷ শিল্পীরা তাঁকে একজন দেশনায়ক হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইতেন৷ তাঁকে প্রায়শই সিগার হাতে দেখা যেতো৷
কনরাড আডেনাওয়ার (১৯৪৯-১৯৬৩)
জার্মানির প্রথম চ্যান্সেলর কনরাড আডেনাওয়ার ‘একজন বৃদ্ধ’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং কার্টুনে প্রায়ই তাঁকে ‘উইলি ফক্স’ হিসেবে উপস্থাপন করা হতো৷ তিনি চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন ৭৩ বছর বয়সে৷