1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান চিড়িয়াখানার এক প্রাণী খাবে অন্য প্রাণীর মাংস

১৬ এপ্রিল ২০২০

করোনা ভাইরাসের কারণে জার্মানির সব চিড়িয়াখানা বন্ধ রয়েছে৷ একটি চিড়িয়াখানা জানিয়েছে, খরচ বাঁচাতে তাদের প্রাণী হত্যা করতে হতে পারে৷

https://p.dw.com/p/3azSk
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Rehder

জার্মানির শ্লেসভিগ-হোলস্টাইন এ নয়ম্যুনস্টার চিড়িয়াখানায় করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর তা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ৷ দীর্ঘসময় বন্ধ থাকায় নেই কোনো আয়৷ তাই খরচ কমাতে তারা সেখানকার প্রাণী হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এরই মধ্যে একটি তালিকা তৈরি করে ফেলেছে কর্তৃপক্ষ৷ 

চিড়িয়াখানাটির পরিচালক ভেরেনা কাশপারি জানালেন, তারা একটি তালিকা তৈরি করেছেন কোন্ প্রাণীগুলোকে আগে মেরে ফেলা হবে৷ সেসব প্রাণীর মাংস খাওয়ানো হবে ঈগল, মেরু ভাল্লুকসহ কয়েকটি প্রাণীকে৷ এখানে রয়েছে জার্মানির সবচেয়ে বড় শ্বেত ভাল্লুক, যেটি লম্বায় ১১ ফুট৷ হত্যার তালিকায় আছে ছাগল ও হরিণ৷ কিন্তু কোন বিরল প্রাণী এই তালিকায় নেই বলে জানিয়েছেন ভেরেনা৷ তহবিলে টান পড়ায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানালেন তিনি৷ মাছ ও মাংসের সংকট দেখা দিলেই তারা তালিকা অনুযায়ী প্রাণী মেরে ফেলা শুরু করবেন৷

করোনা সংক্রমণ রোধে জার্মানি পদক্ষেপ নেয়ার পর থেকেই মার্চ মাসের ১৫ তারিখ থেকে বন্ধ রয়েছে এই চিড়িয়াখানা৷ এখানে মোট সাতশো প্রাণী রয়েছে৷ এপ্রিলের শেষ নাগাদ এটি খুলে দেয়া হলেও তাদের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে এক লাখ ৭৫ হাজার ইউরো, যা টিকেট বিক্রি ও অনুদান থেকে পাওয়া যেতো৷ এটি বেসরকারি হওয়ায় সরকারি সহায়তার বাইরে৷

গবেষণা বলছে, ৭৫ ভাগ জার্মান চিড়িয়াখানা যেতে পছন্দ করেন৷ ইস্টারে প্রতি বছর এত পর্যটক আসেন যে সেই অর্থ দিয়ে শীতকালে প্রাণীদের খাবারের ব্যবস্থা হত বলে জানালো এই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ৷ 

যমজ লাল পান্ডার ছুটোছুটি

সব চিড়িয়াখানাই সংকটে পড়েছে৷ ডুইসবুর্গ চিড়িয়াখানা জানিয়েছে, তাদের পর্যাপ্ত পশু খাদ্য থাকলেও পর্যটক না থাকায় জনবলের তেমন প্রয়োজন পড়ছে না৷ ফলে অনেক কর্মীকে তারা ছাটাই করতে বাধ্য হচ্ছেন৷ 

প্রাণী অধিকার কর্মীরা অবশ্য বলছেন, এ ধরণের প্রাণী হত্যা চিড়িয়াখানাগুলোতে নতুন কিছু নয়৷ যখন চিড়িয়াখানায় স্থান সংকট হয় তখন তারা প্রাণী হত্যা করে সেই মাংস অন্য প্রাণীদের খাওয়ায়৷ প্রাণী অধিকার সংস্থা পিইটিএ এর মুখপাত্র ইওভনে ভ্যুৎস জানালেন, ন্যুরেমব্যর্গ চিড়িয়াখানা প্রতি বছর ৬০টি করে প্রাণী হত্যা করে৷

জার্মান চিড়িয়াখানাগুলোর সংস্থা ভিডিজেড চিড়িয়াখানাগুলোর জন্য ১০ কোটি ইউরো অর্থ সাহায্য চেয়েছে৷ শ্লেসভিগ-হোলস্টাইন রাজ্য সরকার ৫০ লাখ ইউরো অর্থ সাহায্য ঘোষণা করলেও সেটা এখনই হাতে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানালেন নয়ম্যুনস্টার চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ৷

প্রতিবেদন: কেট মার্টায়র/এপিবি