জাভায় জেগে উঠেছে আগ্নেয়গিরি সেমেরু
ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের সবচেয়ে উঁচু আগ্নেয়গিরি সেমেরু পর্বতের অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে৷ আশেপাশের বাসিন্দাদের সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ৷ ছবিঘরে বিস্তারিত৷
দূর থেকে
রোববারই নড়েচড়ে ওঠে জাভার পূর্বে অবস্থিত সেমেরু পর্বত৷ স্থানীয় সময় দুপুর তিনটা পর্যন্ত তিন হাজার ৬৭৬ মিটার অগ্ন্যুৎপাত রেকর্ড করেছে কর্তৃপক্ষ৷ এ সময় বিশাল ধোঁয়ায় আকাশ ঢেকে যায়৷ সুমবারউলুহ গ্রামের বাসিন্দারা দূর থেকে সেই দৃশ্য দেখছেন৷
ধোঁয়াচ্ছন্ন আকাশ
লাভা ছড়িয়ে পড়ে পর্বতের চারপাশে৷ ঢেকে যায় ধানক্ষেত, সড়ক, সেতু৷ কালো হয়ে যায আকাশ৷ স্থানীয় একজন কর্মকর্তা থলিব ভেতেলেহান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘গতকাল বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেক বেশি ছিল, এতে পর্বতের চূড়া থেকে সমস্ত উপাদান নীচে গলে পড়েছে৷’’
ভেঙ্গে পড়েছে সেতু
অগ্ন্যুৎপাতে আশেপাশের যোগাযোগ ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ ছবিতে লুমাজাংয়ে অবস্থিত গ্লাদাক পেরাক সেতুর নাজুক পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে৷
সর্বোচ্চ সতর্কতা
সোমবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আগ্নেয়গিরির আশেপাশের এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে৷ আট কিলোমিটারের মধ্যে চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ গ্রামবাসীরা তাদের জরুরি জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটে গেছেন৷
উদ্ধার কাজ
পরিস্থিতি তদারকি করছেন উদ্ধারকর্মীরা৷ দুই হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে সক্ষম হন তারা৷
আশ্রয়কেন্দ্র
আশপাশ থেকে গ্রামবাসীকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে৷ লুমাজাংয়ে একটি জেলা কার্যালয়কে সাময়িক আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে৷ সেখানে বিশ্রাম নিচ্ছেন মানুষ৷ এখন পর্যন্ত কোন হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি৷
গবাদি পশু
গবাদি পশু যাদের আছে তারা পড়েছেন বেশি বিপাকে৷ কাজার কুনিং নামের একটি গ্রামের দুই বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে তাদের ছাগল সরিয়ে নিতে দেখা যাচ্ছে৷
অগ্ন্যুৎপাতের পর
আশেপাশের কয়েক কিলোমিটার জমিতে লাভা ছড়িয়ে পড়েছে৷ তৈরি হয়েছে ছাইয়ের আস্তরণ৷ অগ্ন্যুৎপাতের পর দুই বাসিন্দা ফিরে এসেছেন তাদের জমির পরিস্থিতি দেখতে৷
প্রাণঘাতী
গত বছর সেমেরুর অগ্ন্যুৎপাতে ৫০ জনেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছেন৷ কয়েক হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেন৷
শতাধিক আগ্নেয়গিরি
১৭ হাজার দ্বীপ নিয়ে গঠিত ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চল৷ দেশটিতে ১৪২টি আগ্নেয়গিরি রয়েছে৷ বিশ্বের আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি সবচেয়ে বেশি মানুষ বসবাস করেন ইন্দোনেশিয়াতে৷