জাপানে বয়ঃপ্রাপ্তির উৎসব
জাপানে জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সোমবারে বয়ঃপ্রাপ্তির উৎসব পালন করা হয়৷ আগের বছরের দোসরা এপ্রিল থেকে নতুন বছরের পয়লা এপ্রিলের মধ্যে যেসব ছেলে-মেয়ের বয়স বিশ বছর হচ্ছে, তাদের জন্যই এই উৎসব৷
বয়ে চলেছে ঐতিহ্যের ধারা...
রঙচঙে কিমোনো পরা মেয়েদের প্রজাপতির মতো দেখায় – সঙ্গে হাতব্যাগ থাকা চাইই চাই৷ ছেলেদের কালো কোট-প্যান্ট পরলেই চলে, তবে কখনো কখনো তাদের কিমোনো পরা অবস্থাতেও দেখা যায়৷
বড় হওয়ার বড় জ্বালা
‘হুঁকোমুখো হ্যাংলা, বাড়ি তার বাংলা, মুখে তার হাসি নেই, দেখেছ?’ সুন্দর সাজগোজ করা মেয়েদের হঠাৎ এমন গোমড়া মুখ কেন? আর কেন, মেয়র সাহেব সমাজের প্রতি তরুণ প্রজন্মের কর্তব্য নিয়ে লেকচার দিচ্ছেন বলে৷ সেই সুযোগে অনেকে মেলটা চেক করে নিচ্ছে...৷
ছবিই যদি না উঠল...
...তো সাজগোজ করে লাভ? আনুষ্ঠানিক দিকটা শেষ হবার পর এবার নিছক মজা৷ সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে আত্মীয়স্বজনকে ফটো তোলার সুযোগ দেওয়া৷ বয়ঃপ্রাপ্তি বলে কথা, তার একটা প্রমাণ থাকবে না?
ট্রাফিক লাইটে ভিড়
খেয়াল করবেন, সামনের ভদ্রলোক বোধহয় বেরিয়েছেন অফিসের কাজে – স্পষ্টতই তাঁর নিজের সেইজিন নো হাই উৎসব অনেক বছর আগেই সমাপ্ত হয়েছে৷ কাজেই সেইজিন-শিকি অনুষ্ঠান থেকে সদ্য মুক্তি পাওয়া কিমোনো পরিহিতাদের দলে তিনি যেন হংসমধ্যে বক যথা৷ পিছনে কালো সুট পরা দুই তরুণ কিন্তু নিজেরাই নভিস৷
একটু ছেলেমানুষি না হলে চলে?
প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের গুরুত্ব ও দায়িত্ব নিয়ে কর্তাব্যক্তিদের বক্তৃতা শোনার পর নাগরদোলায় চেপে একটু ছেলেমানুষি করে নিলে দোষ কি?
স্মার্টফোন কী বলে?
সাজগোজ হলো, সেইজিন-শিকি হলো, অ্যামিউজমেন্ট পার্কে গিয়ে মজা করা হলো – কিন্তু স্মার্টফোনের ছবি সব ঠিকঠাক উঠেছে তো? এস্ক্যালেটর দিয়ে সাবওয়েতে নামার সময় সেটা একবার চেক করে নেওয়া দরকার...৷
আধুনিকা কে বা কারা?
১৯৪৮ সাল থেকে সেইজিন নো হাই জাপানে একটি সরকারি ছুটির দিন৷ কিমোনো পরা তরুণীদের মধ্যে জিনস আর কালো ওভারকোট পরা প্রবীণা সম্ভবত তাঁর নিজের সেইজিন নো হাই-এর স্মৃতিচারণে মগ্ন৷