1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাপানে বিশ্বনেতাদের সমাবেশের দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব

২৭ জুন ২০১৯

জাপানের ওসাকা শহরে দুই দিনের জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে একে একে পৌঁছাচ্ছেন বিশ্বনেতারা৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এরই মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আস্ফালন শুরু করে দিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/3L9ZD
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং
ছবি: Getty Images/AFP/N. Asfouri

শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলন শুরু হচ্ছে৷ বিশ্বের সেরা ২০টি অর্থনৈতিক শক্তি নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-বিবাদ ভুলে জলবায়ু পরিবর্তন, শরণার্থী সংকট, বিশ্ব বাণিজ্যে বাধাবিপত্তির মতো বিশাল চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করতে সক্ষম কিনা, এই দুই দিনে তার ইঙ্গিত পাওয়া যাবে৷ আয়োজক দেশ হিসেবে জাপান সম্মেলনের অ্যাজেন্ডা আঁকড়ে ধরতে চাইছে৷ তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কতটা পরিকল্পনা অনুযায়ী চলবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে৷

এই সম্মেলনের সুযোগ নিয়ে বিশ্বনেতারা বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেরও পরিকল্পনা করে রেখেছেন৷ বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠককে ঘিরে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে৷ দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ বন্ধ করতে তাঁরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেন কিনা, সেই প্রশ্নই বারবার উঠে আসছে৷ আপাতত উত্তেজনা কিছুটা কমলেও অগ্রগতি না হলে ট্রাম্প চীন থেকে আমদানির উপর আরো শুল্ক চাপানোর হুমকি দিয়েছেন৷ এই দুই দেশের সংঘাত বিশ্ব বাণিজ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে গোটা বিশ্ব এই সংকটের অবসান চাইছে৷ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প চীনের অর্থনীতির দুর্দশার উল্লেখ করে দ্রুত বোঝাপড়ার সম্ভাবনার কথা বলেছে৷

ইরানকে ঘিরে বর্তমান সংকটও বিশ্বনেতাদের মনে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে৷ এই প্রশ্নে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়বেন, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন ছাড়াও চীন ও রাশিয়া ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি মেনে চলতে চাইছে৷ কিন্তু মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে সেই পথে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে৷ ইরানও মরিয়া হয়ে পরমাণু চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করার হুমকি দিচ্ছে৷

দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, অ্যামেরিকা, রাশিয়া ও চীনের শীর্ষ নেতারা উত্তর কোরিয়ার বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচির বিষয়েও আলোচনা করবেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ চীনের প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি পিয়ং ইয়ং সফর করেছেন৷ অ্যামেরিকা ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতাদের শেষ বৈঠক বিফল হলেও সম্প্রতি ট্রাম্প ও কিম জং উন পরস্পরকে চিঠি লেখায় দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় অগ্রগতির আশা বাড়ছে৷ তবে ওয়াশিংটন উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র সম্পূর্ণ দূর করার যে দাবি করছে, পিয়ং ইয়ং তা মেনে নেবার কোনো লক্ষণ দেখাচ্ছে না৷

জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলার ক্ষেত্রেও ট্রাম্প প্রশাসনের সংশয় অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ আয়োজক দেশ হিসেবে জাপান ট্রাম্প প্রশাসনকে চটাতে চাইছে না৷ ফলে যৌথ ঘোষণাপত্রে কার্বন নির্গমন আরো কমানোর অঙ্গীকারের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসছে৷

ট্রাম্প ও আরো কয়েকজন বিশ্বনেতার দ্বিপাক্ষিক বৈঠককে ঘিরেও আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে৷ শুক্রবার ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন মিলিত হবেন৷ ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে অ্যামেরিকায় এই বৈঠক বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে৷ ২০২০ সালের নির্বাচনেও রাশিয়া হস্তক্ষেপের কোনো চেষ্টা করে কিনা সে দিকে বাড়তি নজর দেওয়া হবে৷

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত রসায়ন ভালো হলেও সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে সংঘাত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর কালো ছায়া ফেলছে৷ ভারত মার্কিন পণ্যের উপর সম্প্রতি যে বাড়তি শুল্ক চাপিয়েছে, এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)