1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ধর্মীয় নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

৬ জুলাই ২০১৮

১৯৯৫ সালে জাপানের সাবওয়েতে সারিন গ্যাস হামলার দায়ে শুক্রবার একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর নেতাসহ সাতজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে জাপান৷ ঐ হামলায় ১৩ জন নিহত ও প্রায় ছয় হাজার জন আহত হয়েছিলেন৷

https://p.dw.com/p/30vtY
শোকো আসাহারাছবি: picture-alliance/AP Photo/Kyodo News

‘আউম শিনরিকিয়ো’ নামের ঐ ধর্মীয় গোষ্ঠীর নেতার নাম শোকো আসাহারা৷ আংশিকভাবে অন্ধ আসাহারা যোগব্যয়ামের শিক্ষক ছিলেন৷ বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মের কিছু বিশ্বাসের সঙ্গে মহাকালের শিক্ষা মিশিয়ে তিনি এক ধরনের ধর্মবিশ্বাস প্রচার করতেন৷ জাপানের উল্লেখযোগ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ অনেকেই আউম শিনরিকিয়োর সদস্য ছিলেন৷

১৯৯৫ সালের মার্চ মাসে টোকিওর সাবওয়েতে সারিন গ্যাস হামলা হয়েছিল৷ আউম শিনরিকিয়োর সদস্যরা পলিথিন ব্যাগে সারিন ভরে সাবওয়ের বগিতে ফেলে রেখেছিলেন৷ পরে ছাতা দিয়ে ফুটো করে পালিয়ে যায় তারা৷ এই হামলায় ১৩ জন নিহত হন৷ আহত হন কমপক্ষে ৫,৮০০ জন৷

এই হামলা চালানোর দায়ে শুক্রবার সকালে প্রথমে আসাহারার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়৷ এরপর একে একে বাকিদেরও ঝোলানো হয়৷ বিভিন্ন জেলখানায় তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়৷ জাপানে সাধারণত মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর সেই খবর প্রকাশ করা হয়৷ দেশটির বিচারমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া আজ এক সংবাদ সম্মেলনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া সাত জনের নাম পড়ে শোনান৷ এ সময় তারা ‘খুবই নৃশংস’ কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেন বিচারমন্ত্রী৷

হামলায় নিহত এক ব্যক্তির স্ত্রী শিজু তাকাহাশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, তাকে ঝোলানো ঠিক হয়েছে৷’’

জাপানে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা বিরল হলেও ২০১৫ সালে করা সরকারি এক জরিপ বলছে, দেশটির প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ মৃত্যুদণ্ডের রায় সমর্থন করে৷ ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে দেশটিতে ২৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাপানের বিচার মন্ত্রণালয়৷

মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে৷ ‘‘আজকের ঘটনা জাপানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা৷ আউম যে হামলা চালিয়েছে তা ঘৃণার যোগ্য অপরাধ এবং এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অবশ্যই শাস্তি পাওয়া উচিত৷ কিন্তু মৃত্যুদণ্ড কখনোই এর উত্তর নয়,’’ বলেন সংস্থার পূর্ব এশিয়া বিষয়ক গবেষক হিরোকা শোজি৷

জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, এপি)