1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাপানকে হারিয়ে খেলায় ফিরল কোস্টারিকা

২৭ নভেম্বর ২০২২

আজ জিতলেই শেষ ষোলো নিশ্চিত ছিল এশিয়ান জায়ান্ট জাপানের৷ জার্মানিকে হারিয়ে এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম অঘটন ঘটিয়ে ফেলেছিল তারা৷ কিন্তু ফুলারের গোলে জাপানের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হল না৷ ম্যাচ জিতল কোস্টারিকা৷

https://p.dw.com/p/4K94i
গোলের পর উচ্ছ্বাসে ভাসলেন কোস্টারিকার ফুটবলাররা
গোলের পর উচ্ছ্বাসে ভাসলেন কোস্টারিকার ফুটবলাররাছবি: Darko Bandic/AP Photo/picture alliance

চারবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করে জাপান৷ অন্যদিকে স্পেনের সঙ্গে সাত গোলে হেরে যায় কোস্টারিকা৷ তাই এই খেলা নিয়ে উৎসাহী ছিল ক্রীড়ামহল৷ কিন্তু জাপানকে হারিয়ে গ্রুপ ই-র খেলা আরো বেশি উত্তেজনাপূর্ণ করে দিল কোস্টারিকা৷ পরের রাউন্ডে যাওয়ার জন্য জার্মানির আশা আরো একটু জোরদার হলো বলা যেতে পারে৷

কাতারের আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে দুই দলই আজ জয়ের লক্ষ্যে নেমেছিল৷ ম্যাচের প্রথমার্ধ অতিক্রান্ত হলেও দুই তরফে গোলের দেখা মেলেনি৷ ফল ছিল ০-০৷ যদিও বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল কোস্টারিকা৷ জাপান একটি কর্নার পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি৷

জাপানকে হারিয়ে গ্রুপ ই-র খেলা আরো বেশি উত্তেজনাপূর্ণ করে দিল কোস্টারিকা
জাপানকে হারিয়ে গ্রুপ ই-র খেলা আরো বেশি উত্তেজনাপূর্ণ করে দিল কোস্টারিকাছবি: Takuya Matsumoto/The Yomiuri Shimbun via AP Images/picture alliance

ম্যাচের ৩৮ মিনিটে গোলের সম্ভাবনা তৈরি হলেও কোস্টারিকার গোলরক্ষক কেইলর নাভাস তা আটকে দেন৷ ম্যাচের ৪১ মিনিটের মাথায় মায়া ইয়োসিদাকে ফাউলের অভিযোগে অ্যান্তনি কন্ত্রেরাসকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি৷ ম্যাচের ৪৩ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন জাপানের রক্ষণভাগের অন্যতম শক্তি মিকি ইয়ামানে৷

দ্বিতীয়ার্ধেও দুই দল কেউ একে অপরকে জায়গা ছাড়তে চায়নি৷ যদিও কোস্টারিকার তুলনায় জাপানকে খানিকটা দুর্বল মনে হয়েছিল৷ তবে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলতে থেকে দুদল৷ বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় জাপান৷ এরপর কিছুটা আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে কোস্টারিকা৷ বল পজিশন নিজেদের দখলে রেখে আক্রমণ শানাতে থাকে কোস্টারিকা৷

ম্যাচের ৮১ মিনিটের মাথায় জাপানের জালে বল জড়ায় কোস্টারিকা৷ গোল করেন কেইশের ফুলার৷ এই এক গোলই বদলে দিল ম্যাচের ভাগ্য৷ স্পেনের কাছে সাত গোলে পরাজয়ের পর এই ম্যাচ ছিল তাদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ৷

আরকেসি/এআই (ফিফা টিভি)