জানুয়ারি মাসে ক্রিসমাস!
বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ও ধর্মীয় প্রথা পালিত হয় ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে৷ যেমন, রাশিয়ান অর্থোডক্সরা জানুয়ারির ৬ তারিখকে ‘ক্রিসমাস-ক্ষণ’ বলে ভাবেন৷ ইউরোপে জানুয়ারি মাসের নানা প্রথা নিয়ে আজকের ছবিঘর..
জানুয়ারি মাসে ক্রিসমাস?
ইউরোপের অন্য সব দেশে ডিসেম্বরের ২৪ তারিখ সন্ধ্যায় ক্রিসমাস মুহূর্ত, অর্থাৎ ‘পবিত্র সন্ধ্যা’ শুরু হলেও রাশিয়ান অর্থোডক্সদের কাছে কিন্তু বিষয়টি এমন নয়৷ জানুয়ারির ৬ তারিখ সন্ধ্যার আকাশে প্রথম তারাটি দেখা দেয়ার মুহূর্তটিকেই ক্রিসমাসের শুভক্ষণ বলে বিবেচনা করেন তাঁরা৷
বরফশীতল পানিতে সাঁতার
জানুয়ারি ইউরোপের একটি শীতলতম মাস হলেও প্রায় সময়ই তাপমাত্রা মাইনাসে থাকা উত্তর জার্মানি ও পূর্ব ইউরোপের লোকেরা কিন্তু এসময় ঠান্ডাকে ভয় পান না৷ বরং ধর্মীয় সংস্কৃতির অংশ হিসেবে অনেকেই তখন শীতল পানিতে গোসল করেন৷ এর মধ্য দিয়ে পাপ মোচন হয় বলে ধারণা তাঁদের৷
পাদ্রির ছুঁড়ে দেয়া ক্রুশ
সাধারণত জানুয়ারির ৬ তারিখ, অর্থাৎ ক্রিসমাসের ১২ তম দিনটি খ্রিষ্টানদের জন্য একটি বিশেষ দিন৷ দিনটি বিশেষ আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয় গ্রিসে৷ কাঠের তৈরি একটি ক্রুশ একজন পাদ্রি ছুঁড়ে মারেন এক বিশেষ পানিতে আর সেটি ছুঁতে পানিতে ঝাঁপিয়ে পরেন অনুসারীরা৷ এটি না ছুঁলে যে নতুন বছরে শুভ হবে না!
শিশু যিশুর খোঁজে
ইতিহাস বলে, বেফানা নামের এক বৃদ্ধাই প্রথম শিশু যিশুকে বেথেলহেমে পড়ে থাকতে দেখেছিলেন৷ কিন্তু যিশুকে উদ্ধারে পদক্ষেপ নিতে তিনি দেরি করে ফেলেছিলেন৷ আর সেই থেকেই আক্ষেপ৷ এই অতৃপ্তি থেকেই প্রতি বছর জানুয়ারির ৬ তারিখে তিনি আসেন এবং শিশুদের চকলেট দেন বলে বিশ্বাস করেন ইটালীয়রা৷
‘সেন্ট নুট ডে পালন’
ফিনল্যান্ড ও সুইডেনে সেন্ট নুট ডে পালিত হয় অনেকটা বৈচিত্র্যময় পরিবেশে৷ জানুয়ারির ১৩ তারিখে উদযাপিত সেন্ট নুট ডে৷ দিনটি উপলক্ষে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের শিশুরা প্রথমে ক্রিসমাস ট্রি থেকে সব আলোকসজ্জা সরিয়ে ফেলে৷ এ কাজটি করার পুরস্কার হিসেবে তাদেরকে উপহার দেয়া হয় চকলেট৷
স্লেজগাড়িতে চড়া
স্লেজগাড়ি সাধারণত খড়কুটো বহনের কাজে ব্যবহার করা হয়৷ তবে জার্মানির বায়ার্ন-এর গার্মিশ-পার্টেনকির্শেন এলাকাটিতে গত ৪০ বছর ধরে স্লেজগাড়ির ভিন্ন রকম ব্যবহার দেখা যাচ্ছে৷ জনুয়ারির বরফ জমা শীতে একটু সাহসী অভিযাত্রীদের দেখা যায় স্লেজগাড়ি নিয়ে প্রায় ১ দশমিক ২ কিলোমিটার উপর থেকে বাতাসের গতিতে নেমে আসছেন৷
রাজার বেশে শিশুরা
জানুয়ারির ৬ তারিখে জার্মানির কিছু এলাকায় দেখা যায় বাইবেলে বর্ণিত তিন রাজা কাসপার, মেলশিয়র ও বালথাসার -এর বেশে রাস্তায় নেমে আসতে৷ এ সময় তাঁরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন৷