1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাদুবিদ্যার মিউজিয়াম

৫ অক্টোবর ২০১৮

শুধু ছোট বয়সে নয়, আবালবৃদ্ধবনিতা ম্যাজিক দেখে আমোদ পায়৷ জাদুকর আমাদের বোকা বানালেও রাগের বদলে মজা লাগে৷ ফ্রান্সে আধুনিক জাদুবিদ্যার জনকের জন্মস্থানে এক মিউজিয়ামে তার স্বাদ পাওয়া যায়৷

https://p.dw.com/p/360vH
ছবি: DW

ফ্রান্সের ব্লোয়া শহরে ‘হাউস অফ ম্যাজিক’-এ  ছয় মাথার ড্র্যাগন দর্শকদের স্বাগত জানায়৷ জাদুর জাদুঘর বলে কথা, তাই বিস্ময়ের অভাব নেই৷ ডিডাব্লিউর সাংবাদিক মেগিন লেই সেই মিউজিয়ামে গিয়ে বলেন, ‘‘যারা জাদু ও হাতসাফাই দেখে আমোদ পান, তাদের অবশ্যই এখানে আসা উচিত৷ ড্র্যাগন, তাসের ম্যাজিক, ম্যাজিক শো থেকে শুরু করে বিভ্রমের আলাদা একটা কামরাও রয়েছে৷ এই মিউজিয়ামকে জাদুবিদ্যার মন্দির বলা চলে৷ গিয়ে দেখি, কথাটা ঠিক কিনা৷’’

মিউজিয়ামের ভেতরে জাদুর জগত৷ প্রথম দর্শনে যা মনে হয়, বাস্তবে তা একেবারেই ভিন্ন৷ সেখানে মাটিও মালের মতো জাদুকরও আছেন৷ তাসের ম্যাজিক দেখিয়ে তিনি আমাদের সহকর্মীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন৷ এই ধরনের ম্যাজিকের জন্য চাই ছলচাতুরি, দ্রুততা ও নিখুঁত হাতসাফাইয়ের ক্ষমতা৷ মাটিও সেই কাজে অত্যন্ত দক্ষ৷

গভীর মনোযোগ নিয়ে তাকিয়ে থেকেও মেগিন জাদুর কৌশল ধরতে পারলেন না৷ মাটিও মালে বলেন, ‘‘আমাদের সমাজে সব কিছু অত্যন্ত যুক্তিনির্ভর৷ জাদুই একমাত্র ক্ষেত্র, যার মধ্যে গোপনীয়তা, রহস্যের অস্তিত্ব রয়েছে৷ এটাই মানুষকে গোপন, জাদুময় জগত আঁকড়ে ধরার সুযোগ দেয়, সমাজে যার আর কোনো জায়গা নেই৷’’

আধুনিক জাদুবিদ্যার জনক বলে পরিচিত জন-উজেন রোবের-উদ্যাঁ-কে উৎসর্গ করেই মিউজিয়ামটি তৈরি হয়েছে৷ ১৮০৫ সালে তিনি ব্লোয়া শহরে জন্মগ্রহণ করেন৷ কাকতালীয়ভাবে তিনি প্যারিসে জাদুচর্চা শুরু করেন এবং নিজেই একটি থিয়েটার পত্তন করেন৷ তাঁর জাদুর কৌশল অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল৷

‘হাউস অফ ম্যাজিক’ অবশ্য সব প্রশ্নের জবাব দিতে পারে না৷ কারণ এখানকার মূলমন্ত্রই হলো, ‘জাদুকর কখনো তাঁর সেরা কৌশলগুলি ফাঁস করেন না'৷ মেগিন বলেন, ‘‘হাউস অফ ম্যাজিক-এ আমার সময় শেষ হচ্ছে এবং স্বীকার করতে হচ্ছে, যে কোনো কৌশল ধরতে পারলাম না৷ তবে জাদু সম্পর্কে আমার আগ্রহ বেড়েছে৷ ব্লোয়া থেকে বিদায় জানাচ্ছি৷’’

মেগিন লেই/এসবি