ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি ফেসবুকে শেয়ার করা হলে অনেক পাঠক সেখানে মন্তব্য করেন৷ এর মধ্যে একজন পুরনো ঢাকার মোহাম্মদ সালেক৷ সম্প্রতি তিনি জাদুঘরটি ঘুরে এসেছেন৷ সেই অভিজ্ঞতা বিস্তারিতভাবে মন্তব্যের ঘরে জানিয়েছেন৷ সালেকের মন্তব্য পড়ে কয়েকজন পাঠক ঐ জাদুঘরে যাবার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন৷ সালেক লিখেছেন, ‘‘৩ নভেম্বর ১০০ টাকার টিকেট কেটে জেলখানার পুরো এলাকাটা ঘুরে দেখি৷ সত্যিই ইংরেজরা যে আমাদের কতভাবে সত্য ইতিহাস ভুলিয়ে রেখেছিল তা আমি দুই ঘণ্টা ঘুরে হৃদয়ঙ্গম করতে পারি৷ আমার কাছে সুবে বাংলার মুঘল রাজধানীর সত্যিকারের বা আসল রূপটি ধরা পড়ে, যা অনেক ইতিহাসবিদ হয়তো বুঝবেনই না৷ অধ্যাপক জনাব মামুন অবশ্যই ঢাকা নিয়ে অনেক চিন্তা করেছেন৷
-
আলোচিত কয়েকটি জেল পলায়নের কথা
দ্বিতীয়বার
২০১৫ সালের জুলাই মাসে আবার জেল থেকে পালিয়েছেন মেক্সিকোর মাদক সম্রাট গুসমান৷ গত ১৪ বছরে দ্বিতীয়বার এই কাণ্ড করলেন তিনি৷ এবার জেলখানায় নিজের সেলের গোসলখানার নীচে টানেল তৈরি করে পালিয়েছেন তিনি৷ তাকে কিন্তু মেক্সিকোর সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবিশিষ্ট আলতিপ্লানো কারাগারে রাখা হয়েছিল৷
-
আলোচিত কয়েকটি জেল পলায়নের কথা
ভাল চেষ্টা, কিন্তু..
ছবি দেখেই বুঝতে পারছেন তিনি কীভাবে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পারেননি৷ ব্যাগের মধ্যে থাকা মেক্সিকোর এই আসামির নাম হুয়ান রামিরেস তিহেরিনা৷ অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে তার সাজা হয়েছিল৷ ২০১১ সালে তার স্ত্রী কারাগারে তার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় এই ব্যাগ নিয়ে গিয়েছিলেন৷ পরে স্বামীকে ব্যাগে করে বেরিয়ে আসার সময় ধরা পড়ে যান৷
-
আলোচিত কয়েকটি জেল পলায়নের কথা
বন্দুক আর ছুরি দিয়ে
ইউরোপের সবচেয়ে কড়া নিরাপত্তাবিশিষ্ট জেলখানাগুলোর মধ্যে একটি আয়ারল্যান্ডের দ্য মেজ৷ ১৯৮৩ সালে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সমর্থ হন স্বাধীন আয়ারল্যান্ডের স্বপ্ন দেখা আইরিশ রিপাবলিকান আর্মির ৩৮ সদস্য৷ গোপনে সংগ্রহ করা বন্দুক আর ছুরি দিয়ে তারা জেলের নিরাপত্তা কর্মীদের পরাস্ত করে পালিয়ে যান৷
-
আলোচিত কয়েকটি জেল পলায়নের কথা
ব্যাংক ডাকাতের পালানো
১৯৬২ সালে সান ফ্রান্সিসকো বে-র জেল থেকে পালিয়েছিলেন তিন ব্যাংক ডাকাত৷ ধারালো চামচ আর ড্রিল দিয়ে তারা নিজেদের সেলে গর্ত খুঁড়ে পালিয়ে যান৷ নিরাপত্তা কর্মীদের বোকা বানাতে তারা তাদের বিছানায় নকল মাথা বসিয়ে রেখেছিলেন!
-
আলোচিত কয়েকটি জেল পলায়নের কথা
হেলিকপ্টারে করে পলায়ন
মনে হবে যেন কোনো হলিউড ব্লকবাস্টার মুভির কাহিনি৷ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আসামি পাসকাল পায়ে ফ্রান্সের একটি গ্রামের কারাগার থেকে অপহরণ করা হেলিকপ্টারে করে একবার নয়, দুবার পালিয়ে যান৷ প্রথমবার ২০০১ সালে, পরের বার ২০০৭ সালে৷ শুধু তাই নয়, জেলখানায় নিজের সঙ্গে থাকা তিন কয়েদিকেও একবার হেলিকপ্টারে করে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছিলেন তিনি৷
-
আলোচিত কয়েকটি জেল পলায়নের কথা
ওজন কমিয়ে পলায়ন!
১৯৭৪ থেকে ১৯৭৮ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক নারী খুন করে আলোড়ন তুলেছিলেন থিওডোর রবার্ট বান্ডি৷ প্রথমবার জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ে পালাতে গিয়ে ধরা পড়ার পর দ্বিতীয়বার কলোরাডোর একটি জেল থেকে পালানোর জন্য নিজের ওজন ১৩.৫ কেজি কমিয়েছিলেন তিনি! সেলের উপর দেয়ালে লাইট বসানোর জন্য তৈরি করা গর্তের মধ্যে নিজের দেহ ঢোকাতে এই পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি৷ সফলও হয়েছিলেন৷ পরে অবশ্য আবারও ধরা পড়ে গিয়েছিলেন৷
-
আলোচিত কয়েকটি জেল পলায়নের কথা
ইস্টারের ডিমের জন্য!
১৯৮১ সালে সুইজারল্যান্ডের কয়েদি ভাল্টার স্টুয়র্ম করাত দিয়ে নিজের সেলের জানালা কেটে নীচে নেমে তারপর মই দিয়ে কারাগারের সীমানা পেরিয়ে যান৷ পালানোর আগে তিনি তার সেলে একটি নোট লিখে যান৷ তাতে লিখা ছিল, ‘ইস্টারের ডিম নিতে যাচ্ছি!’
লেখক: ডাগমার ব্রাইটেনবাখ/জেডএইচ
অধ্যাপক জনাব শরিফউদ্দিন ‘ঢাকা' নিয়ে অত্যন্ত মূল্যবান একটি গবেষণামূলক গ্রন্থ লিখেছেন৷ অধ্যাপক জনাব নজরুল এই শহরের ভূগোল নিয়ে অনেক চিন্তা করেছেন৷ কিন্তু কেউ সত্যটা আবিষ্কার করতে পারেন নাই৷ কারণ তাঁরা কাজ করেছেন সনদের জন্য ও রুটি-রুজির জন্য৷ অন্তরের তাগিদ তাদের কতটুকু ছিল তা তাঁরা ও আল্লাহ ভালো জানেন৷ যাই হোক সব রাজনৈতিক দল ও নেতাদের এই জায়গাটার উপর প্রচণ্ড লোভ আছে৷ তাঁরা এখান থেকে তাঁদের লাভ ও ফায়দা লুটবেনই৷ কেউ এটা রুখতে পারবে না৷ তাঁর দরকারও নেই৷ আমার বই - ঢাকা, চুরির শহর- চোরের শহর৷ এই বইতে ঢাকার আসল ও নিখাদ/সত্য ইতিহাস লিখবো বলে আল্লার কাছে প্রার্থনা করি৷ তিনি তৌফিক দিন৷ আমীন৷''
মোহাম্মদ সালেকের এই মন্তব্য পড়ে কারাগারটি দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন শিহাব উদ্দিন৷ ফজল বিন জাফরও সবার জন্য উন্মুক্ত কারাগারটি এখন দেখতে যেতে চান৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: জাহিদুল হক
-
কারাগারের জীবন এমন ভয়ংকর!
খোলা জায়গায় থাকা
গারদে যাদের জায়গা হয় না, তাদের খোলা জায়গায় রাত কাটাতে হয়, যেখানে কোনো ছাদ নেই৷ এখন ফিলিপাইন্সে বর্ষাকাল৷ প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে, আর এ সময় এমন খোলা জায়গায় রাত কাটানো কতটা কষ্টকর তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷
-
কারাগারের জীবন এমন ভয়ংকর!
গারদে কয়েক ধাপ
একটি গারদে অনেকগুলো হ্যামক ঝোলানো আছে৷ একটি হ্যামকেও যদি জায়গা পাওয়া যায়, তাহলে তার ভাগ্য ভালো৷ ৬০ বছর আগে কারাগারটি নির্মিত হয়েছে, যেখানে থাকতে পারে ৮০০ বন্দি৷ অথচ বর্তমানে সেখানে আছে ৩,৮০০ বন্দি৷
-
কারাগারের জীবন এমন ভয়ংকর!
শান্তিতে শ্বাস নেয়ার জায়গার অভাব
কারাগারের প্রতিটি ইঞ্চি পরিপূর্ণ-এক ফোটাও জায়গা যে নেই ছবি দেখলেই তা বোঝা যায়৷ বন্দিদের বেশিরভাগই পাতলা কাপড়ের উপর বা কেবল খালি মেঝেতে ঘুমিয়ে থাকে৷
-
কারাগারের জীবন এমন ভয়ংকর!
স্বাস্থ্যের দিকে নজর
ব্যায়ামাগারে এক বন্দি শরীর চর্চা করছে৷
-
কারাগারের জীবন এমন ভয়ংকর!
কঠিন নিয়ম
পেছনের সাইনবোর্ডে বন্দিদের কিছু নির্দেশনা দেয়া আছে কারাগারের নিয়ম সম্পর্কে৷ এখানে কয়েকজন বন্দিকে দেখা যাচ্ছে হাতকড়া পড়া অবস্থায়, যারা বিচারের অপেক্ষায় আছে৷
-
কারাগারের জীবন এমন ভয়ংকর!
পরিচ্ছন্নতা কাজ
অন্যরা যখন এমনি বসে সময় নষ্ট করছে, তখন একজন বন্দি কারাগারের টয়লেট পরিষ্কার করছে৷
-
কারাগারের জীবন এমন ভয়ংকর!
কাপড় ধোয়া এবং গোসল
কখনো কখনো বন্দিরা নিজেদের পরিষ্কার করার এবং কাপড় ধোয়ার সুযোগ পায়৷
-
কারাগারের জীবন এমন ভয়ংকর!
রাতের বন্দিশালা
সন্ধ্যায় কারাগারের বাইরে তালা ঝুলিয়ে দিচ্ছে এক নিরাপত্তারক্ষী, যেখানে কয়েদিরা আর একটি দুঃসহ রাত পার করার চেষ্টা চালাচ্ছে৷
-
কারাগারের জীবন এমন ভয়ংকর!
ভয়াবহ পরিস্থিতি
কারাগারের এই অমানবিক পরিস্থিতির জন্য নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডুতের্তেকে দায়ী করছেন অনেকে৷ মাদকের বিরুদ্ধে তার প্রচারণা এতটাই কড়া যে, কাউকে কোনো ছাড় দেয়া হয় না৷ তিনি মাদকাসক্তদের মেরে ফেলার জন্য মানুষকে আহ্বান জানিয়েছিলেন, যা ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল৷ এ পর্যন্ত ৬ লাখ মাদক পাচারকারী ও মাদকাসক্তের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে৷
লেখক: রোডিয়ন এবিগহাউজেন/এপিবি