জাদুকরের মতো ভেলকি দেখাতে পারেন এই শিল্পীরা!
সত্যি না মিথ্যে? কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যে? যা দেখছি, তা কি শিল্প, না স্বপ্ন, না জাদু কিংবা মায়া? অতিবাস্তব অঙ্কণ বা ত্রিমাত্রিক স্ট্রিট আর্ট কাকে বলে, জানেন? আসুন তাহলে আমাদের ছবিঘরে৷
হাওয়ার্ড লি’র অতিবাস্তব চিত্রাঙ্কণ
বলুন দেখি, ছবিতে দু’টি ‘হট ডগ’-এর মধ্যে কোনটি বাস্তব আর কোনটি মায়া? হাওয়ার্ড লি এমন নিখুঁতভাবে ছবি আঁকেন যে, বস্তু আর তার প্রতিমূর্তির মধ্যে ফারাকটা ধরার উপায় নেই, যদি না লি-র নিজের আপলোড করা ইউটিউব ভিডিওগুলো দেখেন৷ লি-র প্রায় এক লক্ষ ত্রিশ হাজার নিয়মিত ফলোয়ার৷ তাহলে বলেই দেওয়া যাক– সত্যিকারের হট ডগটা বাঁদিকে৷
সিলভিয়া ভাল্ডের কৃত্রিম সসেজ
নিজে নিরামিষাশী হয়েও কিন্তু সিলভিয়া যে খেলনা বা বালিশগুলো তৈরি করেন, সেগুলো সসেজ, বেকন অথবা কিমার রূপ নেয়৷ বার্লিনে সিলভিয়ার ‘মাংসের দোকানে’ ৪০টি এ ধরনের শিল্পকলা দেখতে পাওয়া যাবে৷ তবে সসেজের আকারের বালিশ বা মুরগির ঠ্যাংয়ের আকারের কোল-বালিশ দেখে আশ্চর্য হবেন না কিন্তু!
অ্যালেক্স চিনেকের মায়াবি স্থাপত্য
লন্ডনের কোভেন্ট গার্ডেন শপিং স্কোয়ারের প্রবেশপথে এই বাড়িটিকে দেখতে পাবেন – যেন মাঝখান থেকে কে বা কারা ভেঙে দিয়েছে৷ ব্রিটিশ শিল্পী অ্যালেক্স চিনেক ২০১৪ সালে এই ইনস্টলেশনটি সৃষ্টি করেন, যার রহস্য হলো একটি অদৃশ্য ইস্পাতের কাঠামো৷ চিনেক বলেন, যাঁরা সাধারণত মিউজিয়ামে যান না, তাঁদের জন্যই তাঁর শিল্পকলা৷
লেয়ন কিয়ারের ত্রিমাত্রিক স্ট্রিট আর্ট
ওলন্দাজ শিল্পী লেয়ন কিয়ার পথেঘাটে তাঁর ত্রিমাত্রিক ছবিগুলি প্রদর্শন করেন৷ কম্পিউটারে ছবিগুলির নকশা করে, পরে অকুস্থলে সেগুলিকে ‘প্রোজেক্ট’ করেন কিয়ার৷ ত্রিমাত্রিক অনুভূতি পাবার জন্য ছবিটিকে একটি বিশেষ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে৷
মিরিয়ানা মিলোসেভিচের ‘মায়ার’ শরীর
বডি পেইন্টিং মানে নিজের বা অপরের শরীরকে চিত্রপট হিসেবে ব্যবহার করে ছবি আঁকা৷ ‘কিকি’ নামের সার্বিয়ান শিল্পী মিরিয়ানা মিলোসেভিচ বডি পেইন্টিংকে বডি ইলিউশন বা বিদেহী মায়া করে তোলেন কালো পর্দার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে৷ মেক-আপ শিল্পী মিলোসেভিচ তখন নিঃশ্বাস পর্যন্ত নিতে পারেন না, কেননা, তাহলে ইলিউশন বা মায়াটি ভঙ্গ হবে৷ নিজের বাস্তব থেকে মায়ায় উত্তরণের ভিডিও ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে থাকেন ‘কিকি’৷