1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাতীয়তাবোধ নয়, জার্মানরা আঞ্চলিকাতায় বেশি গর্বিত

২৮ আগস্ট ২০২০

জার্মানিতে এসে অনেক বিদেশি লক্ষ্য করেন যে, জার্মানরা বাইরের আচরণে খুব দেশপ্রেমিক নয়৷ তবে নিজেদের শহর বা অঞ্চলের বিষয়ে খুব অনুভূতিপ্রবণ তারা৷ নিজের শহর নিয়ে রীতিমতো গর্ববোধ করেন জার্মানরা৷

https://p.dw.com/p/3hcqU
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Krick

জার্মানিতে মাত্র কয়েক বছর আগেও প্রকাশ্যে জাতীয় পতাকা দেখানোর তেমন চল ছিলনা, যা বড় ফুটবল ম্যাচেও বোঝা গেছে৷  বেশিরভাগ জার্মানেরই প্রকাশ্যে দেশপ্রেম দেখানো পছন্দ নয়, তবে বিষয়টা এমন নয় যে, তারা জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, তবে তারা নিজের অঞ্চলের কথা বলতেই বেশি পছন্দ করেন, গর্ব করেন বলে জানিয়েছেন ডানা রেগেভ৷

রাইনল্যান্ড অঞ্চলের দুই বড় শহর কোলোন এবং ড্যুসেলডর্ফের মধ্যে  দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার, অথচ  ঐতিহাসিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে খেলাধুলা এবং সংস্কৃতি বিষয়ে দুই শহরের মানুষের মধ্যে রয়েছে ভীষণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা৷ সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়  কাছাকাছি প্রতিবেশী শহররগুলোর মধ্যে৷ মাইন্স বনাম ভিজবাডেন, ফ্রাঙ্কফুর্ট বনাম অফেনবাখ কিংবা ডর্টমুন্ড বনাম গেলজেনকির্শেন- অনেকটা এরকম৷ ধরা যাক, মানহাইম শহরের কাউকে যদি প্রশ্ন করা হয় লুডভিকসহাফেনের কাছাকাছি সবচেয়ে সুন্দর জায়গা কোনটা, স্বাভাবিকভাবেই তার কাছ থেকে উত্তর আসবে- রাইন ব্রিজ৷ কারণ, মানহাইমে যাওয়ার পথে রাইন নদী পড়ে৷

দক্ষিণ জার্মানির বাডেব্যুর্টেমব্যার্গ রাজ্যের দুই প্রতিবেশী অঞ্চল সোয়াবিয়া আর বাডেনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঐতিহ্যগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা৷ তাছাড়া বার্লিনবাসীরা দেশের রাজধানীতে থেকে সম্ভবত নিজেদের শহর ছাড়া অন্য শহর  নিয়ে জানার তেমন আগ্রহ দেখায় না৷

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে নিয়ে হলোকস্ট বা নামিবিয়ান গণহত্যার মতো ঐতিহাসিক ঘটনার কথা বলতে জার্মানদের অনেকেই তেমন স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না৷

ডানা রেগেভ/এনএস