1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাতীয় বিতর্কের আহ্বান জানালেন মাক্রোঁ

১৪ জানুয়ারি ২০১৯

সব ধরনের আন্দোলন থামিয়ে বিক্ষোভাকারীদের জাতীয় বিতর্কে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ জাতির উদ্দ্যেশে লেখা এক চিঠিতে৷

https://p.dw.com/p/3BVW6
Paris Rede Macron Elysee Palast
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Corsan

এক চিঠিতে তিনি বিক্ষোভকারীদের আলোচনায় অংশগ্রহনের মাধ্যমে ‘ক্ষোভকে সমাধানে' রুপান্তরিত করার আহ্বান জানান৷

গত ডিসেম্বর থেকে দেশটির প্রধান প্রধান কয়েকটি শহরে ‘হলুদ জ্যাকেট' পরে হাজার হাজার নাগরিক সরকারি নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে আসছে৷ বিক্ষোভে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে৷ গত শনিবার বিক্ষোভকারীরা সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের অংশ হিসেবে আবারো দেশটির বিভিন্ন শহরে জড়ো হতে থাকে৷

এ পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ দেশবাসীর উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে সবাইকে আলোচনায় অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন ‘‘আলোচনায় আপনাদের অংশগ্রহণ দেশের জনগণের প্রতি সরকারের ও পার্লামেন্টের কর্তব্যের বিষয়টি নির্ধারণ করবে৷ এ আলোচনা ইউরোপ ও আন্তর্জাতিক বিশ্বে ফ্রান্সের অবস্থান বিষয়েও নির্দেশনা দেবে৷''

রবিবার প্রকাশিত এ চিঠিতে বলা হয়,  প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ দেশের বিভিন্ন শহরের টাউনহলে বিভিন্ন আলোচনাসভায় অংশ নেবেন৷ চলতি সপ্তাহে শুরু হয়ে ১৫ মার্চ  পর্যন্ত চলবে এ আলোচনা৷ আগামী মঙ্গলবার ফ্রান্সের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর বোর্গথেরোল্ডে প্রথম আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হবে৷ দেশব্যাপী অনুষ্ঠেয় এ আলোচনার ফলাফল ১৫ই মার্চের পর জানানো হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়৷

সংশ্লিষ্ট যে কোনো বিষয় নিয়েই আলোচনা হতে পারে উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ বলেন, সরকার সম্পদের উপরে বসানো করের সিদ্ধান্ত থেকে না-ও সরে আসতে পারে৷ তবে কর, সরকারি খরচের খাত, গণভোট ও অভিবাসন বিষয়ে জনগণের সঙ্গে সরকারের এ আলোচনা হবে বলে জানা গেছে৷

গত নয় সপ্তাহ ধরে  ফ্রান্সে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ‘ইয়েলো ভেস্ট' আন্দোলনকারীরা৷ ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি এবং অতীতে উচ্চবিত্তদের উপর যে ‘সম্পদ কর' ধার্য ছিল, সেটি আবারও ফিরিয়ে আনাসহ নানা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা৷ মাক্রোঁ প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সম্পদ কর বাতিল করে দিয়েছিলেন৷ এর পক্ষে তাঁর যুক্তি ছিল, ধনী ব্যক্তিরা এতে উৎসাহী হয়ে বিনিয়োগ বাড়াবে, যা নতুন চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করবে৷ পরে আন্দোলনের মুখে তিনি নাগরিকদের জন্য দশ বিলিয়ন ইউরোর একটি কল্যাণ তহবিল গঠনের ঘোষণা দেন৷

এদিকে আন্দোলন বিষয়ে  প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁকে ‘অন্ধ' বলে আখ্যায়িত করেছেনডানপন্থি নেত্রী মারিন ল্য পেন৷ তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের সময় এসেছে৷ ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের নির্বাচন উপলক্ষে প্যারিসে অনুষ্ঠিত এক দলীয় সমাবেশে তিনি নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে মাক্রোঁকে জবাব দেয়ার জন্য তাঁর সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানান৷

আরআর/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি, এপি) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য