1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাতির উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনার ভাষণ

সাগর সরওয়ার, রিয়াজুল ইসলাম২৮ ডিসেম্বর ২০০৮

জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে মহাজোট নেত্রী শেখ হাসিনা তার বিগত সরকারের সাফল্য তুলে ধরার পাশাপাশি জোট সরকারের নানা সমালোচনা করেছেন৷

https://p.dw.com/p/GOBW
ভোটারদের কাছে অনেক প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছেন শেখ হাসিনাছবি: Mustafiz Mamun

৪৩ মিনিটের ভাষণে তিনি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের বিভিন্ন অর্জনের পুনরুল্লেখ করেন, যেমন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার আওতার মধ্যে নিয়ে আসা, কৃষিতে ভর্তুকি প্রদান, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, ১৯৯৭ এর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও ১৯৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যা সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করা এবং অপরাপর৷

শেখ হাসিনা চারদলীয় জোটের সমালোচনা করে বলেন, পাঁচ বছরের দুঃশাসন বাংলাদেশের সকল অর্জন ও সম্ভাবনাকে নস্যাত করে দেয়৷ জোট সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠে মূল্যসন্ত্রাসী সিন্ডিকেট৷ আওয়ামী লীগ সরকার যে মোটা চাল ১০ টাকায় গরীবকে খাওয়াতো সেই মোটা চালই বিএনপি সরকারের আমলে বৃদ্ধি ২০ টাকায় দাড়ায়৷ সীমাহীন দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, রাষ্ট্রীয় সম্পদের লুটপাট ও বিদেশে অর্থ পাচার এর ফলে পাঁচ বছর বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়, এক নম্বর স্থান করে নেয়৷ এটা জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাকর৷

শেখ হাসিনা বলেন, , চারদলীয় জোট জাতীয় সংসদকে কীভাবে অকার্যকর করে ছিল৷ সংসদকে পাশ কাটিয়ে জারি করা হয় একের পর এক অধ্যাদেশ৷ ২০০৭ সালের নির্বাচনে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে তারা ক্ষমতা দখল করার ষড়যন্ত্র করেছিলো৷ এ লক্ষ্যে নিজেদের দলীয় আজ্ঞাবহ লোকদের দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়৷ হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যে ভোটারতালিকা করা হয়েছিলো তাতে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার ছিল৷ তাতেও সফল না হয়ে সংবিধান লংঘন করে রাষ্ট্রপতিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বানিয়ে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অসম্ভব করে তোলে৷

শেখ হাসিনা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে বলেন, আজ মানুষ জানতে চায়, সুনির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কোন রাজনৈতিক দল দেশের জন্য কি করবে বা তাদের কোনো সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বা ভিশন আছে কি না৷ তাই একটি নির্দিষ্ট সময় পরিসরে আমরা প্রণয়ন করেছি ভিশন ২০২১৷

মহাজোট নেত্রী তার আরো প্রতিশ্রুতি দেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্থায়ী বেতন কমিশন গড়ে তোলার, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করার, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার, কৃষিতে ভর্তুকি দেওয়ার, ২০১৪ সালের মধ্যে নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার৷ তিনি সশস্ত্রবাহিনী ও আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান, জনগণ যাতে নির্ভয়ে নিজের পছন্দমতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তা' নিশ্চিত করার জন্য৷