জলের তলায় কাছার, বাংলাদেশ সীমান্তেও বন্যা
ভয়াবহ বন্যার কবলে আসামের কাছারের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। গ্রামের পর গ্রাম চলে গেছে জলের তলায়। বিপন্ন ৩২ লাখ মানুষ।
জলের তলায়
চারপাশে শুধু বন্যার ঘোলা জল। পুরো গ্রাম জলের তলায়। সেই জলের মধ্যে বসে এক কিশোর। শিলচর শহর থেকে গাড়িতে এক ঘণ্টার দূরত্বে এই গ্রাম।
সীমান্তে যাওয়ার পথ
কাছার জেলার শিলচর থেকে সিলেট সীমান্ত যাওয়ার মূল রাস্তা ভেসে গেছে। রাস্তার পাশের অবস্থা আরো খারাপ। সেখানে বন্যার জল ভাসিয়ে দিয়েছে সবকিছু।
ডুবে গেছে মন্দির
গ্রামের মন্দির জলের তলায়। চারপাশে যতদূর দৃষ্টি যায় শুধু জল আর জল। গত দুই দিনে বন্যার জল একটু কমলেও, আবার তা বাড়তে শুরু করেছে।
সীমান্তের পাশে
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার পাশে বর্ডার রোডে প্লাস্টিকের শিট দিয়ে অস্থায়ী আশ্রয়ে থাকছেন বন্যাদুর্গত মানুষরা।
কাঁটাতারের ওপারেও বন্যা
কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে দেখা যাচ্ছে, সিলেটের বিস্তীর্ণ এলাকাও জলের তলায়।
জলের তলায় স্কুল
গ্রামের নাম নিশ্চিন্তপুর। সেখানে মানুষ আর নিশ্চিন্তে নেই। স্কুলও জলের তলায় চলে গেছে। শিলচর থেকে এক ঘণ্টার রাস্তা এই নিশ্চিন্তপুর।
বন্যার কবলে মসজিদ
নিশ্চিন্তপুরের মসজিদ জলের তলায় চলে গেছে। মসজিদের গেটের সামনে বালির বস্তা দিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু বন্যার জল সেখানে ভয়ংকর গতিতে বইছে।
বিপজ্জনক যাত্রা
শিলচর থেকে চল্লিশ মিনিটের দূরত্বে রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে জল বইছে। যাতায়াতের জন্য বানানো হয়েছে বাঁশের সাঁকো। সাইকেল কাঁধে একজন বিপজ্জনকভাবে যাতায়াত করছেন।
গ্রামের মধ্যে নদী বইছে
গ্রামের ভিতর ঢুকে গেছে বলেশ্বর নদী। এই নদী সিলেটে গিয়ে সুরমায় পড়েছে। মেঘালয় পাহাড় থেকে নামে এই খরস্রোতা নদী।
এর মধ্যেই থাকছেন মানুষ
হাঁটু পর্যন্ত জল। রাস্তা, মাঠঘাট কিছুই আর আলাদা করা যাচ্ছে না। তার মধ্যেই মানুষ থাকছেন।
হাসপাতালে জল
শিলচরের কাছে এই হাসপাতালটিও ডুবে বন্যার জলে।
ভয়াবহ পরিস্থিতি
আসামে বন্যায় এখনো পর্যন্ত ১৬৪ জন মৃত। কাছারে মারা গেছেন ২৪ জন। প্রচুর নিখোঁজ। ৩২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পরিস্থিতি খুবই খারাপ।