জলহস্তির জন্মনিয়ন্ত্রণে তির
জলহস্তি যে হারে বাড়ছে তাতে ভবিষ্যতে কলম্বিয়ার অনেক মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে৷ তাই কলম্বিয়ায় চলছে বিশেষ ধরনের তির ছুঁড়ে জলহস্তির প্রজনন ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের অভিযান৷ দেখুন ছবিঘরে...
৯০ থেকে হাজারের আশঙ্কা
৩০ বছর আগে ব্যক্তিগত চিড়িয়াখানার জন্য কিছু জলহস্তি আমদানি করেছিলেন মাদক মাফিয়া পাবলো এসকোবার৷ ইতিমধ্যে হিংস্র প্রকৃতির এই জলহস্তির সংখ্যা ৯০ ছাড়িয়েছে৷ বায়োলজিক্যাল কনজারভেশন জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে কলম্বিয়ায় জলহস্তির সংখ্যা হাজার ছাড়াতে পারে৷
ঝুঁকির মুখে মানুষ ও পরিবেশ
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বর্তমান হারে সংখ্যাবৃদ্ধি চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে জলহস্তির আক্রমণে অনেক মানুষের মৃত্যু হতে পারে৷ দেশময় ছড়িয়ে পড়তে থাকা এই প্রাণীর মল-মূত্রে জলজ পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে৷ তাছাড়া প্রচুর ফসল ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে এসব প্রাণীর মাধ্যমে৷
যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা
জনজীবন এবং পরিবেশকে শঙ্কামুক্ত রাখতে কলম্বিয়ায় জলহস্তির জন্মনিয়ন্ত্রণ এখন সময়ের দাবি৷ তবে এই জলহস্তিদের অস্ত্রোপচার করা ঝুঁকিপূর্ণ এবং ব্যয়সাপেক্ষ৷ তাই কলম্বিয়ার সহায়তায় এগিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার’স অ্যানিমেল অ্যান্ড প্ল্যান্ট হেল্থ ইন্সপেকশন সার্ভিস (এপিএইচআইএস)৷ ৭০ ডোজ গনাকন পাঠিয়েছে তারা৷ ওপরের ছবিতে জলহস্তির শরীরে গনাকন ছোঁড়ার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত এক বিজ্ঞানী৷
বিশেষ অভিযান
আক্রমণাত্মক প্রাণীদের জন্য তৈরি গর্ভনিরোধক গনাকন৷ এখন তির দিয়ে এই ওষুধ ছোঁড়া হচ্ছে কলম্বিয়ার জলহস্তিদের গায়ে৷ ওপরের ছবিতে বিশেষ ধরনের তিরে গনাকন প্রবেশ করানোর মুহূর্ত৷
হরিণের তির জলহস্তির গায়ে
এতদিন এই ধরনের তিরের সহায়তায় হরিণের গায়ে গর্ভনিরোধক ছোঁড়া হতো৷ এখন সেই ‘অস্ত্রে ঘায়েল’ হচ্ছে জলহস্তি৷