জনবল সংকটে ‘জার্মান ইঞ্জিনিয়ারিং’ ব্র্যান্ড হুমকির মুখে
‘জার্মান ইঞ্জিনিয়ারিং’ ব্র্যান্ডের খ্যাতি বিশ্বজোড়া৷ কিন্তু জার্মানিতে বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমছে৷ তাই এই ব্র্যান্ড এখন হুমকির মুখে পড়ছে৷
শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে
জার্মানির কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান সংস্থা সম্প্রতি জানিয়েছে, গত এক বছরে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশলী ও গণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি ছয় শতাংশ কমেছে৷
হুমকির মুখে ‘জার্মান ইঞ্জিনিয়ারিং’ ব্র্যান্ড
একদিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে, অন্যদিকে অনেক প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এখন অবসরে যাচ্ছেন৷ তাই ‘জার্মান ইঞ্জিনিয়ারিং’ ব্র্যান্ডের সুনাম এখন হুমকির মুখে পড়ছে৷
বিশেষজ্ঞের ঘাটতি
জার্মান ইকোনমিক ইনস্টিটিউট গতবছর এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০২২ সালের এপ্রিলে জার্মানিতে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশলী ও গণিত বিষয়ের প্রায় তিন লাখ ২০০ বিশেষজ্ঞের ঘাটতি ছিল৷
কারণ অনুসন্ধান
একটি কারণ জার্মানিতে জনসংখ্যা কমছে৷ এছাড়া জার্মানির প্রখ্যাত গাড়ি নির্মাতা বিএমডাব্লিউ, ফলক্সভাগেন ও মার্সিডিজ-বেনৎস ইলেক্ট্রিক গাড়ি নির্মাণ খাতে তেমন ভালো অবদান রাখতে পারছে না বলে তরুণরা এই খাতে কাজ করবে কিনা, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছে না৷
আগের মতো আকর্ষণীয় নয়
কার্লসরুয়ে ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেকাট্রনিক্স ফ্যাকাল্টির ডিন রোব্যার্ট ভাইস বলেন, ‘‘আগে গাড়ি শিল্পে কাজ করা যতটা আকর্ষণীয় ছিল, এখন হয়ত ততটা নয়৷’’ তিনি জানান, পাঁচ বছর আগেও তার ফ্যাকাল্টিতে পড়ার সুযোগ পেতে একটি স্থানের বিপরীতে সাতজন আবেদন করতো৷ এখন সেটা তিনে নেমে এসেছে৷
বিদেশি কর্মী
ঘাটতি মেটাতে জার্মানিতে বাইরে থেকে জনবল আনা হচ্ছে৷ গত এক দশকে প্রকৌশল ও কম্পিউটার বিজ্ঞান খাতে কাজ করা ভারতীয় পাসপোর্টধারীর সংখ্যা তিন হাজার ৮০০ থেকে বেড়ে প্রায় ২৫ হাজার হয়েছে৷ এছাড়া মিশর, টিউনিশিয়া ও মরক্কো থেকেও অনেকে জার্মানিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে কাজ করতে আসছেন৷
তবে সমস্যাও আছে
আমলাতান্ত্রিক বাধা ও ডিজিটালাইজেশনের অভাবে বিদেশি কর্মীদের জার্মানিতে কাজের অনুমতি পেতে কয়েকমাস অপেক্ষা করতে হয়৷ তাই কর্মক্ষেত্র হিসেবে অনেক দেশের মতো আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারছে না জার্মানি৷