1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ম্যান্ডেট না থাকায় ভারতের সঙ্গে কূটনীতিতে দুর্বল সরকার’

৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

‘আওয়ামী লীগ সরকারের ম্যান্ডেট না থাকায়’ ভারতের সঙ্গে দরকষাকষি করতে পারছে না বলে মনে করেন অধ্যাপক আসিফ নজরুল৷ অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে বলে মত সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খানের৷

https://p.dw.com/p/4Gecl
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন নাঈমুল ইসলাম খান ও আসিফ নজরুল৷
ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দিন জানতে চায় টকশোর একটি দৃশ্যছবি: DW

‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশো-তে এবারের আলোচনার বিষয় ছিল: শেখ হাসিনার ভারত সফর৷ অনুষ্ঠানটিতে অতিথি হিসেবে ছিলেন দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল৷

সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে দুই বক্তা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন৷ অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, তিনি শেখ হাসিনার সফর থেকে তেমন কিছুই আশা করেননি৷ কেননা এই সফরে তিস্তা চুক্তি নিয়ে কোনো প্রত্যাশা ছিল না৷ এমনকি ভারত বাংলাদেশে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করবে সেটিও তিনি আশা করেন নি৷ কারণ বাংলাদেশের মন্ত্রীরা নিজেরাই বলে সীমান্তে অপরাধীরা মারা যাচ্ছে৷  

‘‘প্রধানমন্ত্রী ঐদেশে থাকা অবস্থাতে সীমান্ত হত্যা কমিয়ে আনার সমঝোতা হলো৷ তিনি ঐদেশে থাকা অবস্থাতেই আমাদের একটা তরুণকে হত্যা করা হলো,’’ বলেন তিনি৷

আসিফ নজরুলের মতে, ‘‘এই সরকারের মুখ্য বিবেচনাই হলো, ‘আমাকে ক্ষমতায় রাখো, তুমি যা চাও আমি দিব৷ মোমেন সাহেবের কথাতেই এটাই ফুটে উঠেছে৷’’

সম্প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনের প্রকাশিত একটি বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা হয়৷ এরপর ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হয়৷ সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান মনে করেন, ‘‘একটা দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এরকম করে কথা বলতে পারেন না৷''

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে মূল্যায়নে তিনি বলেন, ‘‘প্রতিটি সফর প্রধানমন্ত্রী গেলেই মাইলস্টোন হতে হবে এমনটা আমি মনে করি না৷’’ তার মতে সম্পর্কের ধারাবাহিকতার জন্যেও দুই দেশের মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ে এমন সফরের প্রয়োজন আছে৷ 

ভারতকে বাংলাদেশ কোথায় বেশি দিচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তরে আসিফ নজরুল বলেন, ‘‘কোথায় না৷’’ তার মতে নদীর পানি বণ্টন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, করোনার টিকা, যোগাযোগ সবক্ষেত্রেই ভারতকে বাংলাদেশ সুবিধা দিয়ে আসছে৷

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে যত অবকাঠামো হচ্ছে সেগুলো ভারতের উন্নয়নের জন্য৷’’

তার মতে, বর্তমান সরকারের উপর ‘জনগণের ম্যান্ডেট না থাকায়’ ভারতের সঙ্গে তাদের দরকষাকষির ক্ষমতা নেই ৷ এক্ষেত্রে ভারতও জানে যে ক্ষমতায় থাকার জন্য বাংলাদেশের সরকার তাদের উপর নির্ভরশীল৷

‘‘শেখ হাসিনার সরকার যদি ৯৬ এর মতো জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতেন তাহলে শক্তভাবে দরকষাকষি করতেন,’’ বলেন তিনি৷

তবে সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান মনে করেন বর্তমান সরকার ভারতের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কই বজায় রেখেছে৷ শেখ হাসিনা সরকার ভারত নির্ভর বলেও মনে করেন না তিনি৷ তার মতে, চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশের সঙ্গেই জটিল ভারসাম্য বজায় রাখে বাংলাদেশ যেটি অভূতপূর্ব৷ এক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গেও দরকষাকষি করে সরকার৷

এফএস/কেএম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য