1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

'জনগণ আওয়ামী লীগের কাছে ভীতিকর বিষয়'

১৮ নভেম্বর ২০২২

ইউটিউবে ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশো-তে আলোচক হিসেবে ছিলেন আমাদের নতুন সময় পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান এবং সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি৷

https://p.dw.com/p/4JlG0
Khaled Muhiuddin Asks 133
ছবি: DW

জাতীয় পার্টির থেকে কী চায় আওয়ামী লীগ? শোয়ের সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীনের এই প্রশ্নের উত্তরে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ''জাতীয় পার্টির রাজনীতি চিন্তাচেতনায় বিএনপির কাছাকাছি। তবে আওয়ামী লীগের কাছে গেলে জাতীয় পার্টি বি টিম হিসেবে থাকবে। বিএনপির কাছে গেলে তারা হবে সি টিম।''

বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে কেউ হারলে সে নিশ্চিহ্ন হবে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের এই মন্তব্যের কথা উল্লেখ করেন ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের প্রধান খালেদ মুহিউদ্দীন।

সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি বলেন, ''পক্ষসমূহের মধ্যে অবিশ্বাস, ঘৃণা, ক্রোধ রয়েছে। জিএম কাদের নির্মোহ বাস্তবের কথা বলেছেন। বিজয়ী পক্ষ পরাজিতকে সমূলে বিনাশ করবে।''

তার কথায়, ''জাতীয় পার্টিকে বিএনপি নেতৃবৃন্দ ডি টিম হিসেবেও নেবে না। জাতীয় পার্টির বহুমুখী সমস্যা রয়েছে। তারা এক মিনিট কোথাও দাঁড়াতে পারবে না।''

নাঈমুল ইসলাম খান যদিও বলেন, ''শেখ হাসিনা আগামী টার্মে জিতলে মূলত রাজনৈতিক লিগ্যাসি পরিবর্তন করে, সংশোধন করে একটা আকার দিতে চাইবেন।''

তার দাবি, আগামী সংসদ নির্বাচন ইন্টারেস্টিং হতে পারে। নির্বাচনে সকলে অংশ নেবে।

তবে, সাবেক সংসদ সদস্য রনির বক্তব্য, ‘‘রাজনৈতিক সমাধান এই মুহূর্তে অসম্ভব। তাই সেরকম নির্বাচন হবে না। সেটাকে হয়তো ক্ষমতায় যাওয়ার প্রক্রিয়া, হাসিনার ক্ষমতায় আসার কলাকৌশল বলা যেতে পারে। নির্বাচন বলা যাবে না।''

তিনি বলেন, ''আওয়ামী লীগের মূল রাজনৈতিক শক্তি বাঙালির জাতীয়তাবাদ৷ কিন্তু তাদের পক্ষে কথা বলার জন্য রাজনৈতিকভাবে ম্যাচিওর লোক নেই।''

কয়েকবছর আগে বিএনপিতে যোগ দেয়া সাবেক এই সংসদ সদস্যের কথায়, ‘‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিদেশি রাষ্ট্রশক্তিদের অংশগ্রহণ অস্বীকার করা যায় না। অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত পার্টনার যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকে। তাহলে তারা ক্ষমতায় আসবে।''

ইমেজ বাড়াতে সরকারের কলাম লেখক খোঁজার প্রসঙ্গ তোলেন খালেদ মুহিউদ্দীন। এই প্রসঙ্গে রনি বলেন, ‘‘২০১৪ থেকে অগণতান্ত্রিক পরিবেশ রয়েছে। জনগণ আওয়ামী লীগের কাছে ভীতিকর বিষয়।''

তাই কলাম লেখক খোঁজা চিন্তাজগতে দৈন্যতার প্রকাশ বলে মনে করেন তিনি।

নাঈমুল ইসলাম অবশ্য মনে করেন, ''কলাম লেখকতো লিখবে। আপনি পড়বেন অথবা পড়বেন না।''

গত নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আগের রাতে পুলিশ কর্মকর্তারা ব্যালট বাক্স ভরা সংক্রান্ত জাপানি রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যের প্রসঙ্গ ওঠে টকশোয়ে। নাঈমুল ইসলাম খান এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিক্রিয়া বোকামো। মন্ত্রী এটি ব্যাখ্যা করতে পারবেন।''

গোলাম মওলা রনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার হিসাবে জাপান হতাশ। হাজারো বিলিয়ন বিনিয়োগের পর তারা দেখছে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। পিঠ বাঁচাতে সত্যি কথা বলেছে তারা।''

আরকেসি/এআই