ছোট কাজ, বড় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ
ফুটবল, ক্রিকেট বা হকি বিশ্বকাপ দেখে ধরে নেয়া ঠিক নয় যে, বিশ্বকাপ মানেই গুরুগম্ভীর বা সিরিয়াস কোনো আয়োজন৷ এমন বিষয়েও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ হয়, যেগুলো সাধারণ অর্থে কোনো কাজই নয়৷ ছবিঘরে এমনই কিছু মজার বিশ্বকাপের কথা৷
ভান করার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ
কোনো কাজ করলেন না, শুধু কাজের ভান করলেন – এটা কি কোনো ‘সিরিয়াস’ ব্যাপার হতে পারে? অবশ্যই হতে পারে৷ না হলে কি ‘এয়ার গিটার’-এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ হতো কখনো? ‘এয়ার গিটার’ কিন্তু কোনো গিটার নয়, এটা স্রেফ খালি হাতে খুব কায়দা করে গিটার বাজানোর অভিনয়৷ ফিনল্যান্ডের ওলু-তে এমন অভিনয়েরই বিশ্ব চ্যাম্পিযনশিপ হয়েছে৷
হাই হিলে ঝড়
দৌড় প্রতিযোগিতা সব দেশেই হয়৷ অলিম্পিকে, অ্যাথেলেটিক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও হয়৷ কিন্তু হাই হিল পরে দৌড়ানোর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই হয়৷ ওয়াশিংটন ডিসি-তে এমন আসর বসছে গত ৩০ বছর ধরে৷
পনিরের জন্য...
পাহাড় থেকে গড়িয়ে নামে বিশাল এক চাকা৷ চাকা বা গোলকটি পনিরের৷ তাই লোভনীয় বস্তুটির পেছনে ছুটতে শুরু করেন কয়েকশ’ লোক৷ ঘণ্টায় প্রায় ৭০ কিলোমিটার বেগে গোলকটি নামতে থাকে, পেছন পেছন দৌড়াতে গিয়ে পড়ে কারো হাত ভাঙে, কারো পা বা অন্য কোনো অঙ্গ৷ এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ পথ অতিক্রম করে প্রথমে যে পাহাড়ের নীচে পৌঁছায়, তাঁর ভাগ্যেই জোটে পুরস্কার৷ অদ্ভুত এ প্রতিযোগিতাটি হয় ইংল্যান্ডের গ্লস্টারশেয়ার৷
হরিণ ডাকার প্রতিযোগিতা
প্রাচীন কালে হরিণীকে শিকার করার জন্য শিকারিরা পুরুষ হরিণের মতো করে ডাকতেন৷ সেই ডাকে সাড়া দিয়ে কাছে এসে মৃত্যুবরণ করত হরিণী৷ জার্মানির ডর্টমুন্ডে বসে ইউরোপের সবচেয়ে বড় শিকার মেলা৷ সেখানে প্রতিযোগীরা প্লাস্টিকের পাইপ, শামূকের খোলস বা ষাঁড়ের শিংয়ে ফু দিয়ে হরিণের ডাকের মতো শব্দ করেন৷ যাঁর ডাক সবচেয়ে ভালো হয়, তিনিই জেতেন পুরস্কার৷
যেখানে-সেখানে ইস্ত্রি করা
এই প্রতিযোগিতাটি শুধু কাপড় ইস্ত্রি বা ‘আয়রন’ করার নয়৷ প্রতিযোগিতাটি আসলে বিভিন্ন পরিবেশে ইস্ত্রি করার৷ তাই কখনো পানির নীচে, কখনো গহীন বনে, কখনো খাড়া দেয়ালে, কখনো বা গাড়ির ওপরে দাঁড় করিয়ে বলা হয়, ‘শুরু করো’৷ যে কোনো পরিবেশে যিনি সবচেয়ে ভালো কাপড় ইস্ত্রি করতে পারেন, তাঁকেই দেয়া হয় চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি৷ এই প্রতিযোগিতাটি শুরু হয়েছিল ইংল্যান্ডে৷